Prothomalo:
2025-05-07@04:32:09 GMT

বিরে আরিস: আংটির কুয়ার গল্প

Published: 7th, May 2025 GMT

এই কুয়ার নামকরণের পেছনে রয়েছে একটি অলৌকিক ঘটনা আছে। কুয়াটি খনন করা হয়েছিল প্রাক্‌-ইসলামি যুগে। সে সময় এক ইহুদি কৃষককে বলা হতো আরিস। আরিস শব্দের অর্থ কৃষক। কুয়াটির নাম যদিও আরিস, তবে এটি ‘আংটির কুয়া’ নামে বেশি পরিচিত। কারণ, এই কুয়ার সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর আংটির একটি ঘটনা জড়িয়ে আছে।

মহানবী (সা.) একটি রুপার আংটি ব্যবহার করতেন, যাতে নিচের দিক থেকে ওপরে তিনটি শব্দ লেখা ছিল, ‘মুহাম্মদ-রাসুল-আল্লাহ’। আংটিটি পরবর্তী সময়ে খলিফা আবু বকর (রা.

), উমর ইবনে আল-খাত্তাব (রা.) এবং উসমান ইবনে আফফান (রা.) ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুনমদিনার ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখছেন হজযাত্রীরা২৬ জুন ২০২৪

উসমান (রা.)-এর শাসনামলে একদিন আংটিটা কুয়ায় পড়ে যায়। তিন দিন ধরে আংটিটি খোঁজার পরও তা পাওয়া যায়নি। নবীজির মোহরাঙ্কিত আংটিটি চিরতরে হারিয়ে যায়। এরপর থেকে কুয়াটি ‘বিরে আরিস’ বা ‘আংটির কুয়া’ নামে পরিচিতি পায়।

হাদিসে আছে, একদিন মহানবী (সা.) এই কুয়ার মুখে বসে কুয়ার ভেতর নিজ পা দুটো ঝুলিয়ে দেন। আবু বকর সিদ্দিক (রা.) আসেন এবং তাঁর ডানে বসেন। তিনিও নবীজির মতো নিজের পা কুয়ার ভেতর ঝুলিয়ে দেন। এরপর উমর (রা.) এসে বসেন নবীজির বাঁয়ে এবং অন্য দুজনের মতো কুয়ার ভেতর পা ঝুলিয়ে দেন। পরে উসমান (রা.) আসেন, কিন্তু তিনি কুয়ার মুখে আর জায়গা না পেয়ে তিনজনের দিকে মুখ করে এক পাশে বসেন। রাসুল (সা.) তিনজনকে জান্নাতের সুসংবাদ দেন।

একসময় কুয়াটি কালো পাথর দিয়ে নির্মিত ছিল। কুয়ার গভীরতা ছিল তখন প্রায় ৬.৩ মিটার, চওড়া ২.২ মিটার এবং পানির স্তর ছিল ১.৩ মিটার। বৃষ্টিপাতের ফলে পানির স্তর ওঠানামা করত। ১৩১৭ খ্রিষ্টাব্দে (৭১৪ হিজরি) কুয়ার তলদেশে নামার জন্য একটি সিঁড়ি তৈরি করা হয়। উসমানি শাসনামলে কুয়ার ওপর জিপসাম দিয়ে একটি গম্বুজ তৈরি করা হয় এবং এর দক্ষিণে আরেকটি গম্বুজ নির্মাণ করা হয়।

১৯৬৪ সালে (১৩৮৪ হিজরি) মদিনা পৌরসভা কুয়াটির গম্বুজ দুটো ভেঙে ফেলে এবং কুয়াটি মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়। তবে স্থানটি চিহ্নিত করে রাখতে একটি বর্গক্ষেত্রের মধ্যে একটি গোলক এঁকে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনমদিনার হজ কার্যালয় যেন 'বাংলাদেশ'২২ জুন ২০২৪

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের অত্যাধুনিক রাফায়েল যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান মঙ্গলবার রাতে ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। এগুলোর মধ্যে ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক রাফায়েল যুদ্ধবিমানও রয়েছে।

ভারত মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালায়। পাঞ্জাবের শিয়ালকোট, বাহাওয়ালপুর, এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর সহ ছয়টি স্থানে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আট বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ডন অনলাইন।

সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে ডন অনলাইন জানিয়েছে, গভীর রাতে চালানো বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে।

আরো পড়ুন:

অপারেশন সিঁদুর: ভারতীয় সেনাদের প্রশংসা করে কংগ্রেসের ঐক্যের ডাক

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক অভিযানের নাম ‘সিঁদুর’ কেন? 

স্থানীয় সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর এক ঘণ্টা পরে তিনি জানান, তৃতীয় নম্বরে রাফায়েল বিমান ধ্বংস করা হয়েছে। চতুর্থ এবং পঞ্চম ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ভোর ৫টার পরে।

তবে ভারতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনো কোনো কিছু জানানো হয়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় সরকারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাতে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত অবস্থায় তিন পাইলটকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

রাফায়েলের আক্ষরিক অর্থ বাতাসের ঝাপটা’। এর সামরিক অর্থ ‘আগুনের বিস্ফোরণ।’ ফরাসি টুইন-ইঞ্জিনের বহুমুখী যুদ্ধবিমানটির ডিজাইন করেছে ডাসাল্ট এভিয়েশন। বিস্তৃত পরিসরের অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত রাফায়েল আকাশে নজরদারি, স্থল সহায়তা, গভীরভাবে আঘাত, জাহাজবিরোধী হামলা এবং পারমাণবিক প্রতিরোধ মিশন সম্পাদনের উদ্দেশ্যে তৈরি। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডাসাল্ট এটিকে ‘সর্বনিয়ন্ত্রিত’ বিমান হিসাবে উল্লেখ করেছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ