পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর (পিওকে) থেকে সন্ত্রাসবাদের সব উৎস নির্মূল করার জন্য ভারতের আপোষহীন নীতির প্রশংসা করেছে দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গর্বিত। জয় হিন্দ!”

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক অভিযানের নাম ‘সিঁদুর’ কেন? 

সন্ত্রাসবাদের প্রতি বিশ্বকে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স-এ এক পোস্টে লিখেন, “পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে উদ্ভূত সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের একটি অটল জাতীয় নীতি রয়েছে। আমরা আমাদের ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য খুবই গর্বিত, যারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালিয়েছে। আমরা তাদের দৃঢ় সংকল্প এবং সাহসকে সাধুবাদ জানাই।”

খাড়গে বলেন, “পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার দিন থেকে, কংগ্রেস স্পষ্টভাবে সীমান্ত পার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেকোনো সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনী এবং সরকারের সাথে দাঁড়িয়েছে।” 

তিনি আরো বলেন, “এখন জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রয়োজন। কংগ্রেস সশস্ত্র বাহিনীর পাশে রয়েছে। জাতীয় স্বার্থ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা একই রকম মন্তব্য করেছেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেছেন।

যাদব বলেন, “ভারত, ভারতবাসী ও ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের দেশে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে কখনো সহ্য করেনি এবং কখনো করবেও না।”

তিনি বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী সমসময় মায়েদের গর্ভ, বোনের কব্জি এবং তাদের কপালে সিঁদুর রক্ষা করেছে।”

যাদব বলেন, “আমরা সত্য, অহিংসা ও শান্তিতে বিশ্বাসী মানুষ। আমরা ভারতীয়রা কখনও অন্যায় করি না, কিন্তু যদি কেউ আমাদের সাথে অন্যায় করে তবে আমরা তা সহ্য করি না। যারা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করে তারা যদি আমাদের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ করে, তাহলে আমরা জানি কিভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হয় এবং উপযুক্ত জবাব দিতে হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে ১৪০ কোটি ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সরকারের পাশে রয়েছে।”

সশস্ত্র বাহিনীর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও।

তিনি বলেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসী আস্তানাগুলোতে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে আমি স্বাগত জানাই। পাকিস্তানকে অবশ্যই একটি কঠিন শিক্ষা দিতে হবে যাতে আরেকটি পহেলগাম আর কখনো না ঘটে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে হবে। জয় হিন্দ!”

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মঙ্গলবার রাতে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে হামলা করেছে, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সশস ত র ব হ ন র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফটিকছড়িতে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারকে মনোনয়ন না দেওয়ায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে তাঁরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পুলিশের আশ্বাসে রাত আটটার দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ফটিকছড়ি সদরের বিবিরহাটে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর নাজিরহাট ও হেঁয়াকোতে তিন দফায় বিক্ষোভ করেন কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা অবিলম্বে সরোয়ার আলমগীরকে প্রত্যাহার ও আজিম উল্লাহ বাহারকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

এদিকে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে প্রায় দুই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশ করেন আজিম উল্লাহ বাহারের সমর্থকেরা। সমাবেশ শেষে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় তাঁর কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। তিন শতাধিক কর্মী দুই স্থানে সড়কে বসে ছিলেন এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে আমরা গিয়ে সবাইকে বোঝালে অবরোধ তুলে নেন।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িসহ ১৬ আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ফটিকছড়ি আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীরকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহারসহ পাঁচজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ