প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা, চেয়ার ঝুলছে আমগাছে
Published: 8th, May 2025 GMT
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ৪৮ ঘণ্টা ধরে তালা ঝুলছে। অফিসকক্ষে তাঁর বসার চেয়ার ঝুলছে বিদ্যালয়ের পাশে থাকা একটি আমগাছে। প্রধান শিক্ষক নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মোসা.
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আজ সকালে বিদ্যালয়ে এসে দেখি, তালা দেওয়াই আছে। চেয়ারটি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলা হয়েছিল। আজকে চেয়ারটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসা করলে জানান, তিনি সকাল থেকে চেয়ারটি আমগাছে ঝুলতে দেখছেন। রাতে কারা এটা করেছে, তিনি এটা জানেন না।’ ওই প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, এই চেয়ার আমগাছে যারা ঝুলিয়েছে, তারা হয়তো একটি বার্তা দিতে চাইছে। তিনি ভয়ে ও শঙ্কায় আছেন। এখন পর্যন্ত কেউ তাঁর বিদ্যালয়ে আসেননি।
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বাগধানী উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এখনো ঝুলছে তালাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আমগ ছ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে বিশ্বকবির ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এ উপলক্ষে ঢাবি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
কবিগুরুর চিন্তামালা জাতির মনন নির্মাণে সহায়ক হবে: রবি উপাচার্য
রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারা’, বৈশ্বিক জল-রাজনীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মারক বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ সালেকিন)।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “রবীন্দ্রনাথের চর্চা সবসময়ের জন্যই প্রাসঙ্গিক। বিশ্বকবির চিন্তাভাবনা, দর্শন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে আমরা যত আলোচনা করব, তার প্রাসঙ্গিকতা ততই উজ্জ্বল হবে। এ ধরনের আলোচনার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম রবীন্দ্রনাথের জীবন-দর্শন, চিন্তা-ভাবনা ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে।”
আলোচনা শেষে ঢাবির সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী