মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিষপানের পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর নিউ লাইফ ও ম্যাক্সএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও তার স্ত্রী রাখি আক্তার (১৮)। সিরাজদিখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘শনিবার সকালে রাজধানীর দুই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে, দেলোয়ার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এবং রাখি ১০টার দিকে মারা যান। নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। রবিবার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।’’

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু

গোপালগঞ্জের পুকুরে ভাই-বোনের মৃত্যু

নিহত দেলোয়ার উপজেলার চরকুন্দলিয়া গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে, রাখি একই গ্রামের রশিদের মেয়ে। প্রায় ছয় বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে প্রথমে রাখি বিষপান করেন। পরে একই বোতলের অবশিষ্ট বিষ পান করেন দেলোয়ার। পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাখিকে নিউ লাইফ এবং দেলোয়ারকে ম্যাক্সএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রী বিষপান করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা

বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ আদেশ দেন।

‘উচ্ছেদ–আতঙ্কে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা’ শিরোনামে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস, সৌমিত্র সরদার, বিপ্লব কুমার পোদ্দার ও হিন্দোল নন্দী সোমবার রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জামিলা মমতাজ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

অন্যতম রিট আবেদনকারী উৎপল বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের কলোনি থেকে উচ্ছেদ করা থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চার আইনজীবী রিটটি করেন। ১৭০ বছর ধরে তাঁরা ওখানে আছে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। ফলে যে যেভাবে আছে, সেভাবে থাকবে, অর্থাৎ আপাতত তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’

 প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্ছেদ-আতঙ্কে আছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের (সুইপার) একটি কলোনির বাসিন্দারা। নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠপট্টি এলাকার ওই কলোনিতে ৩৯টি সংখ্যালঘু হরিজন পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, আগামী দুর্গাপূজার পর তাদের এই কলোনি ছেড়ে দিতে হবে। এতে উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন এই কলোনির বাসিন্দারা।

এই উচ্ছেদপ্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে নগর ভবনে গিয়ে কলোনির বাসিন্দারা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাসিন্দাদের দাবি শতাধিক বছর ধরে তাঁরা নগরের কাঠপট্টি এলাকার এই কলোনিতে বসবাস করে নগরের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করছেন। এত বছরেও তাঁদের উচ্ছেদের চেষ্টা হয়নি। কিন্তু হঠাৎ তাঁদের নতুন জায়গায় যেতে বলা হয়েছে, যা তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ