চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌরসভার বালুবাগান এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মঈন উল বারি (৪৭) নামের এক আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার বালুবাগান আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর গেটের সামনের একটি বাড়ি থেকে গলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, আইনজীবী মঈন উল বারি চার দিন আগে মারা গেছেন।

মৃত মঈন উল বারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বালুবাগান এলাকার মৃত ইউসুফ আলী বিশ্বাসের ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, বালু বাগান ৪ নম্বর গেটের সামনের বাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ পান এলাকাবাসী। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশকে খবর দেয়। পরে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং রাজশাহীর সিআইডির একটি টিমকে খবর দেয়। এরপর খবর পেয়ে রাজশাহী থেকে একটি সিআইডির টিম এসে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে খাটের ওপর মঈন উল বারির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী নাজমা বলেন, বাড়িটি থেকে গন্ধ ছড়ানোয় অনেকে কোন পশু মরে আছে ভেবে বাড়ির আশেপাশে তল্লাশি করে। কিন্তু বাড়ির আশেপাশে কিছু না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটিতে দেখে মনে হচ্ছে, ছোট ছোট পোকার সৃষ্টি হয়েছে। শরীরের মাংসগুলো কালো হয়ে গেছে। ধারনা করা হচ্ছে, তিনি কয়েকদিন আগেই মারা গেছেন।

মঈন উল বারির বোন শামিমা নাজনিন বলেন, আমার ছোট ভাই ট্যাক্সের আইনজীবী ছিলেন এবং ঢাকায় প্র্যাকটিস করতেন। পরে ঢাকা থেকে তিনি বাড়ি চলে আসেন। এরপর ৪ বছর আগে আমার বাবা মারা যান এবং ৭ মাস আগে আমার মা মারা যান। এছাড়া আমার ভাই ও ভাবির অনেক আগে ডিভোর্স হয়ে যায় এবং একমাত্র মেয়ে ঢাকায় পড়াশুনা করে। তাই, আমার ভাই বাড়িতে একাই থাকতেন এবং একাকী জীবনযাপন করতেন। গত কয়েকদিন থেকে আমার ভাইকে ফোন করছি। কিন্তু তিনি ফোন ধরছেন না। পরে এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে আমরা এখানে এসেছি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমরা খবর পাই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাড়িটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। আজ সকালে সিআইডির টিমসহ সদর মডেল থানা পুলিশ মঈন উল বারির মরদেহটি উদ্ধার করে। 
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি প্রায় ৪ দিন আগে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ১১ট র দ ক আইনজ ব মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা তিশার বিরুদ্ধে মামলা

প্রতারণার অভিযোগে অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।  

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৮ নম্বর কোর্টে ৪২০/৪০৬ ধারায় তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন এ্যাপোনিয়ার ফ্যাশনের এক্সিকিউটিভ মো. আমিনুল ইসলাম। সি. আর মামলা নম্বর ৯৬২/২০২৫। 

আরো পড়ুন:

বিরতির কারণ জানালেন তানজিন তিশা

গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক: তানজিন তিশা

মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ চাওয়া হলে, ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত তিশার বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

এ সম্পর্কে বাদী পক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সলিমুল্লাহ সরকার গণমাধ্যমে বলেন, “তানজিন তিশার মতো তারকা একজন নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে যে ধরনের প্রতারণা করেছেন তা কাম্য নয়। উনি চাইলেই বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করেছেন। একজন নারী উদ্যোক্তাকে যেখানে উনার পেট্রোনাইজ করার কথা, সেখানে প্রতারণা করলেন। এ জন্য তাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইনি নোটিশের কোনো জবাব দেননি। তাই আমার মক্কেল তিশার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন।” 

‘এ্যাপোনিয়া’ নামে একটি অনলাইন ফ্যাশন পেজ থেকে ২৮ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের একটি শাড়ি নিয়েছিলেন তিশা। কথা ছিল শাড়িটির টাকা না দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রমোশন করবেন নিজের ফেসবুক পেজে। কিন্তু তিশা তা করেননি, টাকাও দেননি। একপর্যায়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্যই প্রতারণার অভিযোগ আনেন ফ্যাশন পেজটির কর্ণধার।  

ওই নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে তিশার ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ভয়েস মেসেজে কথোপকথন পর্যালোচনা করে প্রতারণার সত্যতা পাওয়া গেছে। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সম্প্রতি তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিশা। বিষয়টি নিয়ে তিশা তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, “ওই শাড়িটি নাকি উপহার দিয়েছেন নারী উদ্যোক্তা।”  

এরপর প্রতারণা, মানহানিকর কথা ও ছলচাতুরীর অভিযোগে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে তানজিন তিশাকে (তানজিন নাহার তিশা) আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন ‘এ্যাপোনিয়া’ অনলাইন ফ্যাশন পেজের কর্ণধার ঝিনুকের হয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সলিমুল্লাহ সরকার। গত ২২ অক্টোবর তানজিন তিশার বাসার ঠিকানায় ডাকযোগে এবং তিশার হোয়াটসঅ্যাপে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিলেন এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ।  

আইনি নোটিশে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ওই নারী উদ্যোক্তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার করার জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয় তিশাকে। কিন্তু আইনি নোটিশে বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো সমাধানে যাননি তিশা। উল্টো বলেছেন, “গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক।” 

ফ্যাশন পেজের কর্ণধার ঝিনুক গণমাধ্যমে বলেন, “যে কোনো পেশাতেই একটা ইথিক্স থাকে। সেই অনুযায়ী কাজ না করলে পেশার সম্মান থাকে না। শিল্পীরা তো পানির মতো সহজ সরল হওয়ার কথা। তারা মানুষের জন্যই কাজ করেন। তাদেরকে মানুষ ফলো করেন। কিন্তু শিল্পী যদি এভাবে প্রতারণা করেন, মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেন সেটা আসলে দুঃখজনক। যেহেতু বিষয়টি মামলায় গড়িয়েছে। আমি আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। আমার বিশ্বাস ন্যায় বিচার পাব।” 

তিশা তার ক্যারিয়ারে দারুণ সময় পার করছেন। শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বড় পর্দায় পা রাখতে যাচ্ছেন। ‘সোলজার’ শিরোনামের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সাকিব ফাহাদ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিকের ওপর চড়াও আইনজীবী, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
  • যুক্তরাষ্ট্রে ৬ বছরের ছাত্রের গুলিতে আহত শিক্ষককে কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
  • আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, মেজবাহউদ্দীন ফরহাদকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান
  • পদে থেকেও নির্বাচন করা যায়: অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের হাইকোর্টে জামিন
  • সজলকে ধরে রাখে রনি, পরে একটি গুলির শব্দ পাই
  • নায়িকা তিশার বিরুদ্ধে মামলা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী: কে কেন কীভাবে
  • ভালো কাজের বিনিময়ে কারামুক্তি, কেমন আছেন তাঁরা
  • সংবিধানের ৫৩ বছর: বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলের আহ্বান