নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাউলিডাঙ্গা বিল থেকে সালমান খন্দকার (২৪) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সালমান খন্দকার উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা পর্যন্ত সালমান ও তার বন্ধুরা লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর মধুমতী নদীর পাড়ে পিকনিক করেন। পিকনিক শেষে বাড়ি ফিরে কিছুক্ষণ পর আবার বের হয়ে যান সালমান। এরপর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। এসময় মুঠোফোন নম্বরে কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা কাউলিডাঙ্গা বিলে অজ্ঞাত ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। অজ্ঞাত লাশ পড়ে থাকার খবরে সালমানের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন।

আরো পড়ুন:

নিজ গ্রামে এএসপি পলাশ সাহার শেষকৃত্য 

আশুলিয়ায় ইউপি সদস্যের ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আশিকুর রহমান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শরিফুল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ হিসেবে জাতিসংঘ পানি কনভেনশনে যুক্ত হলো বাংলাদেশ

জাতিসংঘের আন্তঃসীমান্ত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ‘প্রোটেকশন অ্যান্ড ইউজ অফ ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটারকোর্সেস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লেকস’, যা ‘জাতিসংঘ পানি কনভেনশন’ নামে পরিচিত-তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০ জুন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যোগদানের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে এই বৈশ্বিক কনভেনশনে যুক্ত হলো বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫৬তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেল।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ডেল্টা রাষ্ট্র বাংলাদেশে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা (জিবিএম) নদী ব্যবস্থাসহ ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদী প্রবাহিত। এসব নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনা পানি নিরাপত্তা, পরিবেশগত ভারসাম্য এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা প্রবেশ এবং দেশের প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষের নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের অভাব বাংলাদেশকে কার্যকর ও টেকসই পানি শাসন কাঠামোর দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

জাতিসংঘ পানি কনভেনশন আন্তঃসীমান্ত ভূ-উপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদের ব্যবস্থাপনায় একটি বিস্তৃত আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দেয়। বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকেই এই কনভেনশনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এবং ২০২৪ সালে স্লোভেনিয়ায় অনুষ্ঠিত দশম বৈঠকেও অংশ নেয়।

এ উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব সদস্য রাষ্ট্রকে কনভেনশনে যোগ দিয়ে বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জাতিসংঘ পানি কনভেনশনে যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও পানির চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। এই কনভেনশন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর পানি নীতিমালা প্রণয়নে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন, গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি, নেপাল, চীন ও ভূটানের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা কাঠামোর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিসরে পানি কূটনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে চায়।

জাতিসংঘ ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিশনের নির্বাহী সচিব তাতিয়ানা মলসিয়ান বাংলাদেশের এ যোগদানকে 'দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের চাপে আন্তঃসীমান্ত পানি ব্যবস্থাপনায় এই কনভেনশন গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠবে।'

কনভেনশনের সেক্রেটারি সোনিয়া কোয়েপেল বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, '২০২৬ সালের ২ থেকে ৪ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ পানি কনফারেন্সে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং বাস্তবায়নে জাতিসংঘ পূর্ণ সহায়তা করবে।' 

একই সঙ্গে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশকেও এই কনভেনশনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ