নিজেদের তিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার কড়া জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটি বলেছে, ভারতে ও ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আজ শনিবার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এর মধ্যে একটি পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরের বিয়াস এলাকায়। এখানে ভারতের ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতাগার রয়েছে।

‘ব্রহ্মোস’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। সামরিক যান, সাবমেরিন ও জাহাজ থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যায়। ছোড়া যায় যুদ্ধবিমান থেকেও। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোমিটার বা ৪৯৭ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

‘ব্রহ্মোস’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। সামরিক যান, সাবমেরিন ও জাহাজ থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যায়। ছোড়া যায় যুদ্ধবিমান থেকেও।

ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। এটি ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) ও রাশিয়ার রকেট ডিজাইন ব্যুরো এনপিও মাশিনোসট্রোয়েনিয়ার একটি যৌথ উদ্যোগ।

ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদ ও রাশিয়ার মস্কভা নদীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে এ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম রাখা হয়েছে ব্রহ্মোস।

আরও পড়ুনপাকিস্তানে ভারতের অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন০৭ মে ২০২৫

এদিকে আরবি শব্দ ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’–এর অর্থ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’। আজ পাকিস্তানের তিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার উল্লেখ করে পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে বলে, ‘ভারত আমাদের দেশ, জনগণ ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাই আমরা এই জবাব দিয়েছি।’

বিবিসির খবরে জানা যায়, পাকিস্তানি বাহিনীর পাল্টা হামলার বিষয়ে ভারত এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

আরও পড়ুনভারতের সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলার কথা জানাল পাকিস্তান, কাশ্মীরে বিস্ফোরণের শব্দ৩ ঘণ্টা আগে

কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে আসছে ভারত, যদিও তা নাকচ করেছে পাকিস্তান। এ ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশ দুটি।

এমন উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারত। ওই অভিযানের নাম ছিল ‘অপরারেশন সিঁদুর’। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন।

তিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের সেনাবাহিনীভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের লড়াইয়ে নজর বিশ্বের সামরিক শক্তিগুলোরভারতের পাঠানো ৩০টি ইসরায়েলি হারপ ড্রোন ধ্বংস করার দাবি পাকিস্তানের.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প রসন ক লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আর কোনো আপস নয়: নুরুল হক

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আর কোনো আপস করা হবে না বলে বললেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, সরকারকে অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অন্যথায় গণ অধিকার পরিষদ যমুনা ঘেরাও করবে।

যেসব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগসহ সারা দেশে কর্মসূচি পালন করছে, তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক এ কথা বলেন।

এ সময় গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার ব্যর্থ দাবি করে নুরুল হক অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনেরও দাবি জানান। ছাত্র প্রতিনিধিরা সরকারে থেকেও এত দিন কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নেননি, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

নুরুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে আবার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সংকট তৈরি হবে। বড় রাজনৈতিক দল সমঝোতার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও বড় আঘাতটা আসবে বিপ্লবীদের ওপর।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু আগামী নির্বাচন নয়, কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করতে পারবে না। জাতীয় সংলাপ আহ্বান করে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

এরপর প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে গণ অধিকার পরিষদের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল তাঁর বাসভবন যমুনায় যায়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম ও আবদুজ জাহের এবং যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাব্বির আহমেদ তাঁদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন বলে জানান আবু হানিফ।

স্মারকলিপিতে ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার, আহতদের পুনর্বাসন, শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, শহীদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা প্রণয়নের অগ্রগতি জানানো এবং হত্যা মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গ আনা হয় বলে গণ অধিকার পরিষদ জানায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ