আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচার এবং নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবিতে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল চারটায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

খেলাফত মজলিসের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলীর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন। প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় উলামা সম্পাদক মুফতী আলী হাসান উসামা। 

এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন দেশবরেণ্য অসংখ্য আলেম ওলামা কেরামগন সহ লক্ষ লক্ষ বিনা অপরাধ মানুষদেরকে নির্বিচারে জেল জুলুম সহ নানান নির্যাতন করেছে খুনি হাসিনা সরকার।

শুধু তাই নয় আলেমসমাজ সহ মাদরাসার অবুজ শিশুদের  মতিঝিলের শাপলাচত্বরে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে এই খুনি হাসিনা সরকার। তাই সন্ত্রাসী দল হিসাবে এই দলকে অতি দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। নাহলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলবো। 

মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন- মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসাইন, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান, মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহআলম, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ মাদানী, ডাঃ শামীম ভূঁইয়া, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল গনী, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাফেজ আওলাদ, বন্দর থানা পূর্ব সভাপতি মুফতী আবুল কাশেম, ভৈরব উপজেলা সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাহেল, রুপগঞ্জ থানা সভাপতি মাওলানা নোমান আহমদ, সোনারগাঁও থানা সভাপতি মুফতী সিরাজুল ইসলাম,  মহানগর উলামা সম্পাদক মুফতী নুর হুসাইন নূরানী, ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মাইদুল ইসলাম, মহানগর ডাঃ মোতাহার হুসাইন, জেলা সভাপতি রিফাত আহমদ সাজিদ, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ, প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ইসল ম মজল স

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি জায়গা বন্দোবস্তে সীমা ছাড়িয়েছে ‘সীমান্তিক’

সিলেটকেন্দ্রিক এনজিও ‘সীমান্তিক’। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে নিজের এই এনজিওকে কাজে লাগিয়ে একচেটিয়া দেশি-বিদেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও তিনি। আত্মীয়তার কারণে কবিরের ছায়া হয়ে ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও তাঁর ভাই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের সময়কালে সরকারি জায়গা বন্দোবস্তে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন ড. কবির। তাঁর এনজিও সীমান্তিক সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। সিলেট নগরীতেই ১৩০ শতক জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে দাঁড় করানো হয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ইনস্টিটিউট, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ এলাকায় সীমান্তিকের এখন অন্তত ২০টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল রয়েছে।
জানা গেছে, সীমান্তিকের প্রতিষ্ঠাতা ড. কবিরের গ্রামের বাড়ি জকিগঞ্জের কালীগঞ্জে। মন্ত্রীর আত্মীয়তার সুযোগে ২০০৯ সালে রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান তিনি। কয়েক বছর আগে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও হন। 

গত সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন কবির। নির্বাচনী হলফনামায় আহমদ আল কবির তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৭ কোটি ৭৯ লাখ ৬ হাজার ৩২৯ টাকার। বার্ষিক আয় দেখান ৪৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর সম্পদ দেখান ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৭ টাকার। নগরীর উপশহরে একাধিক বাড়িসহ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। 
সরকারি জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে নীতিমালার তোয়াক্কা না করে গড়ে তোলেন একের পর এক প্রতিষ্ঠান। ২০১০ সালে ড. কবির নগরীর পূর্ব শাহি ঈদগাহ এলাকায় ৩৩ শতক জায়গা বন্দোবস্ত নেন আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষা ও মানবসম্পদ কেন্দ্রের নামে। দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে ৯ তলা ভবন করেন। তৎকালীন মন্ত্রী আবুল মাল মুহিতের নাম ভাঙিয়ে জায়গা বাগিয়ে নেন ড. কবির। 
সরেজমিন দেখা গেছে, ওই ভবনে আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষা ও মানবসম্পদ কেন্দ্রের পাশাপাশি আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, আরটিএম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা ও শিশু স্বাস্থ্য ক্লিনিক, সিলেট সদর উপজেলা ডায়াবেটিক সমিতি, আরটিএম নার্সিং কলেজ, আরটিএম ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড পুনর্বাসন কেন্দ্র, আরটিএমআই ম্যাটস ও আইএইচটি নামে প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে একটি ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠানও। স্বাস্থ্যসহ জনগণের সেবার কথা বলে বন্দোবস্ত নেওয়া হলেও করা হয়েছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। নিয়মে না থাকলেও দেওয়া হয়েছে ভাড়া। 
পূর্ব শাহি ঈদগাহের মতো নগরীর মাছিমপুর এলাকায় সিলেট ল’ কলেজের পাশে একইভাবে ড. কবির এনজিও সংস্থার নামে বন্দোবস্ত নেন ৯৭ শতক জমি। জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, ২০১২ সালে ৯৭ শতক জায়গা ৯৯ বছরের জন্য সীমান্তিকের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। পরে ওই জায়গায় গড়ে তোলা হয় সীমান্তিক হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, সীমান্তিক আইডিয়াল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটউট এবং সীমান্তিক মহিলা ডিগ্রি কলেজ। 

সরেজমিন দেখা গেছে, সেখানে চারটি ভবন আছে। ২০১৯ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) থেকে ছয় তলার অনুমোদন নিয়ে ভবন করা হয়েছে আট তলা পর্যন্ত। বিষয়টি নজরে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান। 
২০০৭ সাল থেকে সিটি করপোরেশনের মাতৃসদন বিনোদিনী হাসপাতালটি সীমান্তিক পরিচালনা করে আসছে। পরিবার পরিকল্পনাসহ সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়ন করে এই এনজিও। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে সীমান্তিকের চেয়ারপারসন শফি মিয়া সমকালকে বলেন, ঢাকা ও সিলেটে তাদের  সম্পদ রয়েছে। ভবন অনুমোদনের বাইরে করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ইউএসআইডির ফান্ড নেই দাবি করে শফি মিয়া জানান, আগামী জুনে তাদের সব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।  
 ড. আহমদ আল কবির দাবি করেন, সীমান্তিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। নিয়ম মেনে বন্দোবস্ত ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেনীতে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও সেনা ব্রিগেড দাবি
  • নারায়ণগঞ্জকে রক্ষা করতে হলে নদীকে রক্ষা করতে হবে : ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার
  • ভারতে ৬ টিভির ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ: ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে সরকার
  • আরও দুই টিভির ইউটিউব চ্যানেল ভারতে বন্ধ, ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপের কথা বললেন বিশেষ সহকারী
  • আ.লীগকে নিষিদ্ধ করে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে
  • সরকারি জায়গা বন্দোবস্তে সীমা ছাড়িয়েছে ‘সীমান্তিক’
  • চাঁদাবাজি করে দেশকে অশান্ত করে তুলেছে বিএনপি: চরমোনাই পীর
  • ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন 
  • ফতুল্লায় জ্বলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন