দেশের অন্যতম শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সীগঞ্জ। এ জেলার ছয়টি উপজেলার কৃষকই আলু উত্তোলনের পর উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম পান কম। যে কারণে প্রতি বছর তাদের গুনতে হয় লোকসান। তাদের জন্য আশা জাগিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কম সার ব্যবহারের প্রকল্প।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গিবাড়ী, লৌহজং, সিরাজদীখান, শ্রীনগর ও গজারিয়া উপজেলার ৩০০ কৃষকের জমির মাটি পরীক্ষা করা হয়। কৃষি বিভাগ ১৫০ কৃষকের জমিতে ৫ শতাংশ করে প্রদর্শনীর প্লট তৈরি করে। এসব প্লটের জমিতে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি মিলিয়ে শতাংশপ্রতি তিন থেকে ছয় কেজি সার ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ প্লটেই পাঁচ কেজি করে সার ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ জেলার অন্য কৃষকরা আলু আবাদের জমিতে শতাংশপ্রতি ১২-১৫ কেজি সার ব্যবহার করেন।
মুন্সীগঞ্জ সদরের সুখবাসরপুর গ্রামের কৃষক মো.
সদর উপজেলার বাংলাবাজার গ্রামের কৃষক শাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, ‘আমি যখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী প্লটে কম সার ব্যবহারে আলু আবাদ করি, তখন অন্য কৃষকরা হাসাহাসি করেছেন। কিন্তু ভালো ফলন পাওয়ায় ওই কৃষকরাই যোগাযোগ করেছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘প্লটে শতাংশপ্রতি তিন থেকে ছয় কেজি করে সার ব্যবহার করে পরীক্ষা চালিয়েছি। অন্যান্য কৃষক সেখানে শতাংশপ্রতি সার ব্যবহার করেছেন ১২-১৫ কেজি। কম সার ও বেশি সার ব্যবহার করা জমি থেকে পাওয়া আলুর পরিমাণে খুব একটা তফাত নেই। এভাবে আলু আবাদ হলে বছরে মুন্সীগঞ্জের কৃষকদের অন্তত ২৫০ কোটি টাকা বেঁচে যাবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আল স র ব যবহ র কর কর ছ ন কম স র
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়ার আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর হত্যা মামলার আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে আদমদীঘি উপজেলার বাগিচাপাড়া থেকে তাকে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
আদালত চত্বরে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান, যুবক গ্রেপ্তার
মহেশখালীর মনির হত্যার রহস্য উদঘাটন, ২ আসামির জবানবন্দি
আতোয়ার রহমান বলেন, ‘‘রফিকুল ইসলামকে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপচাঁচিয়া থানার হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজিরা দিতে আনা হয়। হাজিরা শেষে জেলা কারাগারে ফেরত নেওয়ার সময় দুপুর ৩টা ৫৫ মিনিটে আদালতের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় কৌশলে পালিয়ে যায়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এ ঘটনার পরপরই ডিবি ও থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। পরে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ রফিকুলকে আদমদীঘির বাগিচাপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’
গত ৯ জুলাই বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগরের লক্ষ্মীমন্ডপ এলাকায় শ্বশুর ও পূত্রবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও ডাকাতি করা হয়। সেই মামলার অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চকপাড়া গ্রামে।
ঢাকা/এনাম/বকুল