গাইবান্ধায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
Published: 14th, May 2025 GMT
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নদীতে জেগে ওঠা চরের জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল মজিদ আকন্দ (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর দুইজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আব্দুল মজিদ কাটাবাড়ি ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামের ফসির আকন্দের ছেলে।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে সংঘর্ষে আহত ৪, কৃষকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন
আজমিরীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পলুপাড়া গ্রামের করতোয়া নদীর চরের কিছু জমি নিয়ে আব্দুল মজিদ ও আমিরুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছে। আজ সকালে ওই জমির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আব্দুল মজিদ, আমিরুল ইসলাম (৪৮), তাজেল আকন্দ (৫০), আলমগীর হোসেনসহ (৪৫) উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক আব্দুল মজিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুতর আহত একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম, তাজেল আকন্দকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের নাম জানা যায়নি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, “জমি নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। থানায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেও সমাধান করা যায়নি। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল মজিদ আকন্দের মৃত্যু হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত আহত গ ব ন দগঞ জ ল ইসল ম আকন দ
এছাড়াও পড়ুন:
শত্রুকে ‘সব দিক থেকে’ আঘাত হানতে রকেট ফোর্স গঠন করল পাকিস্তান
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক রকেট ফোর্স কমান্ড গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই কমান্ড প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর সামা টিভির
আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই ফোর্স শত্রুকে ‘সব দিক থেকে’ আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন শাহবাজ। তিনি এই ফোর্স গঠনকে দেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তার বক্তৃতায় ভারতের সঙ্গে সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে অভিযোগ করেন, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে নয়াদিল্লি বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তানে হামলা চালায়।
আরো পড়ুন:
ভারতকে এমন শিক্ষা দেব, কখনোই ভুলবে না: শাহবাজ শরিফ
কেবিসির মঞ্চে সোফিয়া-ব্যোমিকারা, শুরু বিতর্ক
আর তারই জবাবে ভারতকে ‘ঐতিহাসিক শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য তিনি সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির বাবর এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নবীদ আশরাফের প্রশংসা করেন।
শেহবাজ বলেন, মাত্র চার দিনেই ভারতের গর্ব ‘ধুলিস্যাৎ’ হয়ে গেছে। পাকিস্তানি সেনাদের বীরত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যারা জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত— এমন জাতিকে কখনও পরাজিত করা যায় না।
এ সময় তুরস্ক, সৌদি আরব, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও আজারবাইজানসহ মিত্র দেশগুলোর প্রতি সংঘাতকালে কূটনৈতিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকা/ফিরোজ