গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নদীতে জেগে ওঠা চরের জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল মজিদ আকন্দ (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর দুইজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) দুপুরে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আব্দুল মজিদ কাটাবাড়ি ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামের ফসির আকন্দের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে সংঘর্ষে আহত ৪, কৃষকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন

আজমিরীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পলুপাড়া গ্রামের করতোয়া নদীর চরের কিছু জমি নিয়ে আব্দুল মজিদ ও আমিরুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছে। আজ সকালে ওই জমির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আব্দুল মজিদ, আমিরুল ইসলাম (৪৮), তাজেল আকন্দ (৫০), আলমগীর হোসেনসহ (৪৫) উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক আব্দুল মজিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

গুরুতর আহত একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম, তাজেল আকন্দকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের নাম জানা যায়নি।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, “জমি নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। থানায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেও সমাধান করা যায়নি। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল মজিদ আকন্দের মৃত্যু হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত আহত গ ব ন দগঞ জ ল ইসল ম আকন দ

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ