ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামে অজ্ঞান পার্টি ৩ টি বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

বুধবার (১৫ মে) দিবাগত গভীর রাতে অজ্ঞান পার্টি হানা দিয়ে এ লুটপাট চালায়। 

গফুর মোল্লা নামে ওই গ্রামের একজন ভুক্তভোগী জানান, গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সকালে জ্ঞান ফিরলে তারা ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান এবং মূল্যবান সামগ্রী খোয়া যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। 

তিনি বলেন, “দুর্বৃত্তরা বাসিন্দাদের অজ্ঞান করে বাড়ি থেকে নগদ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণের গহনা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেকবই লুট করে নিয়ে গেছে।”

একইভাবে তার প্রতিবেশী মনোরঞ্জন বিশ্বাসের বাড়িতে হানা দেয় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। এ সময় সেখান থেকে ১ ভরি স্বর্ণের গহনা ও ২ ভরি রুপার গহনা নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও প্রতিবেশী আরও একজনের বাড়ি থেকে ২ ভরি স্বর্ণের গহনা ও নগদ টাকা লুট হয়েছে।

শৈলকুপার ভাটই থানার এ এস আই রবিউল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে আমরা গিয়েছিলাম এবং তদন্ত চলছে। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে।”

এর আগেও শৈলকুপায় একই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র গহন

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।

দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।

আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।

স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • ‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
  • ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯