নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি সমন্বয়ের জন্য আগামী শনিবার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের প্রশাসন শাখা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৬৮তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবি ও তেখনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
নোবিপ্রবির উন্নয়নে জাইকা প্রধানের সহযোগিতা চাইলেন উপাচার্য
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পত্র এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে পাঠানো পত্রের নির্দেশনায় আগামী ১৭ ও ২৪ মে রোজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ খোলা রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি গত ১২ মে অনুষ্ঠিত নোবিপ্রবির ৬৮তম একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হয়।
সভায় এ মর্মে সুপারিশ গৃহীত হয়েছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের গ্রীষ্মকালীন ছুটিকে ঈদের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করার সময় একদিন কম হয়েছে। এ কারণে সদস্যবৃন্দ ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রেখে শুধু আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার সুপারিশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে আগামী ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় যথারীতি খোলা থাকবে এবং ক্লাশ ও পরীক্ষাগুলো চলমান থাকবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইমিউনিটি বাড়াবেন যেভাবে
মৌসুম সামান্য রদবদলেই হাঁচি-কাশি শুরু হয়ে যায়? সম্ভবত দুর্বল ইমিউনিটিই এর কারণ। অনেকেই ভাবেন, ভালো ইমিউনিটি জিনগত ব্যাপার। জিন ছাড়াও এমন অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে, যেগুলো ইমিউনিটির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। স্ট্রেস, পুষ্টি, এক্সারসাইজ় এবং মেডিটেশন তার মধ্যে অন্যতম। ইমিউনিটি আসলে শরীরের ডিফেন্স সিস্টেম; যা বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক টক্সিন, কেমিক্যালস, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। তবে অসুস্থ হওয়া মানে এই নয় যে, আপনার লাইফস্টাইলে কোনো ত্রুটি রয়ে গেছে। চূড়ান্ত স্বাস্থ্যসচেতন মানুষও অসুস্থ হতে পারেন। তবে ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া অপুষ্টি এবং দুর্বল ইমিউনিটির পরিচায়ক। ইমিউনিটি বাড়াতে তাই নজর দিন বিশেষ কিছু দিকে।
পুষ্টি হোক শরীরের অস্ত্র
আমাদের শরীরে যে ইমিউন বডিস রয়েছে, তারা মূলত প্রোটিন দিয়ে তৈরি। সুতরাং, ভালো ইমিউনিটির জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকা জরুরি। ডেয়ারি প্রডাক্ট, লিন মিট, মাছ এবং ডাল প্রোটিনের অন্যতম উৎস। ডেয়ারি প্রডাক্টের মধ্যেও টকদই এবং ইয়োগার্ট ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে ভালো। এছাড়া প্লান্ট ফুডসও ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ক্যান্সার প্রতিরোধে নিরামিষাশীদের শরীরের শ্বেতরক্তকণিকা আমিষাশীদের চেয়ে বেশি কার্যকরী। নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসও এক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি, ই, ক্যারোটিনয়েডস, জিঙ্ক, আয়রন, কপার এবং সেলেনিয়াম তার মধ্যে অন্যতম। ভিটামিন সি-এর জন্য কাঁচালঙ্কা, পেয়ারা, টোম্যাটো, খরমুজ; ভিটামিন ই-এর জন্য চিনাবাদাম, ভেজিটেবল অয়েল, কাজু ইত্যাদি খেতে পারেন। এই দুই প্রকার ভিটামিনের সঙ্গে ক্যারোটিনয়েডস খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো। তরমুজ, সবুজ শাকসবজি, টোম্যাটো, আম ইত্যাদি শরীরে ন্যাচারাল কিলার সেল এবং টি-লিম্ফোসাইটের পরিমাণ বাড়িয়ে ইমিউনিটি আরও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে হুইট ব্র্যান, জোয়ার, বাজরা, শেলফিশ, বাদাম, বাদামের তেল খেলে সর্দি-কাশি থেকেও সুরক্ষা পাবেন। তবে অনেক সময়ই খাবারের গুণগত মানের জন্য শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। এর সঙ্গে কোনো মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নিতে পারলে ভালো।
ন্যাচারাল ইমিউন বুস্টার
‘সুপারফুডস’ প্রতিদিন ডায়েটে রাখলে সুস্থ থাকাও সহজ হবে। আমাদের চারপাশে যে সমস্ত সুপারফুডস রয়েছে, রসুন তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া মৌরি, হলুদ, আদা, লবঙ্গ এবং দারচিনিও ইনফেকশনের বিরুদ্ধে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ঘন ঘন চা-কফির অভ্যাস কমিয়ে গ্রিন-টি বেছে নিতে পারেন। এতে থাকা ক্যাটেকিনসের অ্যান্টি-কারসিনোজেন হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। মনে রাখবেন, মজবুত ইমিউনিটি গড়ে তুলতে অনবরত শরীরের খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
জীবনযাপনের রদবদল
শরীরকে আপনি যেভাবে ট্রিট করবেন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনার সুস্থতা। বিশ্রামের অভাব, অনিয়মিত বা অপর্যাপ্ত শরীরচর্চা, ঘুমের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে ইমিউনিটিতেও। জীবনধারার এই দিকগুলোয় তাই একটু নজর দিন। পরিমিত ঘুম এবং বিশ্রাম শরীরের একান্ত প্রয়োজন। দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন ট্রাই করতে পারেন।