কক্সবাজারের চকরিয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন চকরিয়া উপজেলার জিদ্দা বাজার এলাকার শহিদুল ইসলাম (৩০) এবং ফজু মিয়াজীরচর এলাকার মো. কাইছার উদ্দিন (৩১)। শহিদুল ইসলাম কক্সবাজার জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক এবং কাইছার উদ্দিন বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আহত অটোরিকশাচালক এহেছানুল হক (৩৮) একই উপজেলার জিদ্দা বাজার এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, শহিদুল ও কাইছার অটোরিকশা ভাড়া করে বান্দরবানের লামা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সোয়া ১১টার দিকে সুরাজপুর এলাকার মো.

সরওয়ারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে সড়কে থাকা বড় আকারের স্তূপ এড়িয়ে চলতে গিয়ে চালক অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা চালবোঝাই একটি পিকআপের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই শহিদুল ও কাইছার মারা যান।

চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র এল ক র চকর য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা যুদ্ধ জিতেছি, তবে শান্তি চাই: শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধ জিতেছি, তবে শান্তি চাই। আমরা শত্রুকে শিক্ষা দিয়েছি, তবে আমরা আগ্রাসনের নিন্দা করি। আমরা এই অঞ্চলে অন্য উন্নত দেশের মতো শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নশীল পরিবেশ চাই।’

শুক্রবার ‘অপারেশন বুনইয়ান উম মারসুস’-এর সাফল্য উদ্‌যাপন উপলক্ষে ইসলামাবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ভারতকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশীর মতো সহাবস্থানের আহ্বান জানান তিনি। খবর দ্য ডনের

ইউম-ই-তাশাক্কুর বা ধন্যবাদ দিবস উপলক্ষে গতকাল ইসলামাবাদের পাকিস্তান মনুমেন্টে এক জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, তিন বাহিনীর প্রধানসহ বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ৯ ও ১০ মে রাতে সেনাবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ভারতের আগ্রাসনের ‘সীমা লঙ্ঘনের’ পর একটি পরিমিত প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে সেনাপ্রধান আমাকে সিকিউর লাইনে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, অনুমতি দিন, যাতে শত্রুকে এমনভাবে আঘাত করি যে তারা আজীবন মনে রাখে।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালানোর পর সেনাপ্রধান আবার বলেন, ‘আমরা জবাব দিয়েছি, এখন আমাদের কাছে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ আসছে। আপনার কী মত?’ আমি বলেছি, ‘যখন শত্রুর মাথা ঘুরে যায়, তখনই আসল আঘাত; তাই এই প্রস্তাব গ্রহণ করুন।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রযুক্তি শত্রুকে হতবাক করেছে এবং মিত্রদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সাফল্যের ফলে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত- যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাপান পর্যন্ত।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ