চকরিয়ায় অটোরিকশা-পিকআপের সংঘর্ষে যুবদল নেতাসহ নিহত ২
Published: 17th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন চকরিয়া উপজেলার জিদ্দা বাজার এলাকার শহিদুল ইসলাম (৩০) এবং ফজু মিয়াজীরচর এলাকার মো. কাইছার উদ্দিন (৩১)। শহিদুল ইসলাম কক্সবাজার জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক এবং কাইছার উদ্দিন বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আহত অটোরিকশাচালক এহেছানুল হক (৩৮) একই উপজেলার জিদ্দা বাজার এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, শহিদুল ও কাইছার অটোরিকশা ভাড়া করে বান্দরবানের লামা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সোয়া ১১টার দিকে সুরাজপুর এলাকার মো.
চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র এল ক র চকর য় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালির ‘হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’ ভালো ছিল না: বাবা রামদেব
মানুষ এমন এক জীবন যাপন পদ্ধতি বেছে নিয়েছে যেখানে তার মস্তিষ্ক, চোখ এবং পাকস্থলির ওপর বেশি চাপ প্রয়োগ করছে। আর তাতেই গড় আয়ু পেরোনোর আগেই মরে যাচ্ছে মানুষ—এমনটাই মনে করেন ভারতের বিখ্যাত ইয়োগা গুরু বাবা রামদেব। বলিউডজুড়ে ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুর কারণ নিয়ে একদিকে বিতর্ক শুরু হয়েছে অন্যদিকে রামদেব বলছেন, ‘‘শেফালির হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’- ভালো ছিল না। অর্থাৎ বাইরে থেকে শেফালিকে সুস্থ মনে হলেও তিনি ভেতরে ভেতরে অসুস্থ ছিলেন।
পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, শেফালির রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়ার কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়। তার ফলেই মৃত্যু হয়। রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে গ্লুটাথিয়ন নামের এক রাসায়নিক। যা প্রাথমিকভাবে বয়স প্রতিরোধী ওষুধের (অ্যান্টি এজিং) মধ্যে পাওয়া যায়। শেফালির বাড়ি থেকেও বার্ধক্য প্রতিরোধকারী ওষুধের ২টি বাক্স খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ফলে সেই ওষুধের প্রভাবেও হঠাৎ কমে যেতে পারে রক্তচাপ।
অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার ভালো না মন্দ সেই বিতর্কে না গিয়ে রামদেব বলেছেন, ‘‘মানুষের স্বাভাবিক গড় আয়ু ১০০ বছর নয়, বরং ১৫০ থেকে ২০০ বছর।’’
আরো পড়ুন:
স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালে করণীয়
স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন
বাবা রামদেব বলেন, ‘‘মানুষ নিজের মস্তিস্ক, চোখ, পাকস্থলীর ওপর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাপ দিয়ে ফেলে। যে খাবার ১০০ বছরে একজন মানুষের খাওয়া উচিত, সেই খাবারই মাত্র ২৫ বছরে খেয়ে নেয় মানুষ।’’
এই যোগগুরুর বষয় ৬০ বছর পেরিয়েছে। কিন্তু তিনি যথেষ্ট সুস্থ আছেন বলে দাবি করেছেন। কেবলমাত্র সঠিক খাবার গ্রহণ এবং জীবনধারণের জন্যই সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন রামদেব।
রামদেবে মতে কেবলমাত্র বাইরে থেকে নয়, প্রকৃত সুস্থ থাকার অর্থ ভেতর থেকেও সবল থাকা। সুস্থ থাকার জন্য তাই নিজের জীবনে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট থাকতে হবে। খাদ্যাভাস, আচার ব্যবহার, সব কিছুর ওপরেই সুস্থ থাকা নির্ভরশীল।
ঢাকা/লিপি