Risingbd:
2025-08-17@07:46:28 GMT

আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম

Published: 17th, May 2025 GMT

আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম

দুই দিন না যেতেই আবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে; বেড়েছে দাম, যা রবিবার (১৮ মে) থেকেই কার্যকর হচ্ছে। এখন প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়াল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) শনিবার (১৭ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গত ১৫ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বর্ণের দাম কমানোর তথ্য দিয়েছিল সমিতি।

আরো পড়ুন:

তিন দিন না যেতেই ফের কমল স্বর্ণের দাম

‘বিনাধান-২৫ চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে’ 

শনিবার প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ওঠার পর ৮, ১০ ও ১২ মে দাম কমার ঘোষণা আসে।

শনিবার রাতে দাম বাড়িয়ে বাজুসের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় ভরি প্রতি স্বর্ণের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম রবিবার থেকে কার্যকর হবে।

২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা ধরা হয়েছে, যা রবিবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে।

দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজুসের তথ্য অনুয়াযী, ভরিপ্রতি ২২ ক্যারেটের রুপার দর ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ভরি প্রতি দর ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

গত ২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ওঠে সর্বোচ্চ, সেদিন ভরিপ্রতি দাম বেড়েছিল ৫ হাজার ৩৪২ টাকা। ওই দিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকায়। তবে ১০ মে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা। তার পরদিন ফের স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা আসে বাজুসের পক্ষ থেকে।

চলতি বছর ৩৩ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২২ বার, আর কমেছে মাত্র ১১ বার। ২০২৪ সালে দেশের বাজারে ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়। তার মধ্যে দাম বৃদ্ধি করা হয় ৩৫ বার, তবে হ্রাস করা হয় ২৭ বার।

ঢাকা/এনএফ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২২ ক য র ট র স বর ণ র দ ম দ ম কম

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘের সম্মেলন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে, আশা নিরাপত্তা উপদেষ্টার

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গাবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে কক্সবাজারের অনুষ্ঠেয় সম্মেলনটি জাতিসংঘের একটি বৃহত্তর সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশবিশেষ। এই সম্মেলন রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এ সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ।

২৫ আগস্ট কক্সবাজারে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনার জন্য প্রাপ্ত বার্তা’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে ঢাকায় থাকা কূটনীতিকদের এ বিষয়ে আজ রোববার সকালে ব্রিফ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরে কক্সবাজারের সম্মেলনে যোগ দিয়ে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাস্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশ এবং জোট মিলিয়ে ৫০টি মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, একসময় রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক আলোচনার এজেন্ডা থেকে প্রায় বাদ পড়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজনের জন্য সব সদস্যরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে ও সর্বসম্মতিক্রমে সাড়া পাওয়া যায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই সম্মেলন আহ্বানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্বের ১০৬টি দেশ এই সম্মেলনকে স্পন্সর করেছে। এখন যথেষ্ট পরিমাণ আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, সম্মেলনটি রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এই সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ। এই কারণে রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর, তাদের কথা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের স্বপ্নগুলোকে সে সম্মেলনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চলছে।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোই এ ধরনের সম্মেলনে অংশ নেয়। রোহিঙ্গারা তো আর সদস্য নয়। কিন্তু কাউকে তো তাদের ভয়েসটা নিয়ে যেতে হবে। আমরা এ ধরনের প্রক্রিয়ায় সে কাজটা করছি। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি।’

ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক রাষ্ট্রদূত জানান, কক্সবাজার সম্মেলনের শিডিউল দেওয়া হয়েছে। এতে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ