সেঞ্চুরিতে ‘আইডল’ তামিমের পাশে বসতে পেরে আনন্দিত পারভেজ
Published: 18th, May 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার সেঞ্চুরিতে দল জিতেছে ২৭ রানের ব্যবধানে। দলকে জয় এনে দেওয়ার পাশাপাশি ‘আইডল’ তামিম ইকবালের পাশে বসতে পেরে আনন্দিত পারভেজ। ম্যাচশেষে জানালেন সেই অনুভূতির কথা।
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। প্রায় ৯ বছর পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে তার পাশে বসেছেন পারভেজ।
তামিমের সেই সেঞ্চুরির স্মৃতি এখনো মনে আছে পারভেজের। ম্যাচশেষে কথা বলতে এসে সেটাই জানালেন এই তরুণ, ‘‘হ্যাঁ! তামিম ভাইয়ের একশটা মনে আছে। ওমানের সঙ্গে মারছিলেন। উনার সব খেলা দেখি সবসময়। তাই মনে ছিল।’’
আরো পড়ুন:
কেকেআরের বিদায়: চ্যাম্পিয়নদের পতনের পেছনের কারণগুলো
কোহলির দশম শ্রেণির মার্কশিট ভাইরাল
তামিমকে আইডল মেনেই বড় হয়েছেন পারভেজ। ৫৩ বলে ১০০ রানের ইনিংসের পর তার কথা আবারও স্মরণ করলেন। সেই সঙ্গে তার পাশে বসতে পেরে দারুণ আনন্দিত এই তরুণ। পারভেজ আরও বলেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে—আজকে সেঞ্চুরি হয়েছে। ড্রেসিংরুমে আসার পর মনে পড়ল, তামিম ভাই প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন। আমারটা দ্বিতীয়। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে। ছোটবেলা থেকে তামিম ভাইকে ফলো করতাম, উনার খেলা দেখতাম। অনেক ভালো লাগত। উনার পরেই নামটা আমার এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে।’’
ম্যাচে দারুণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন পারভেজ। একপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকায় মাথায় ছিল দলকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার ভাবনা। যেটা করতে পেরে খুশি তিনি, ‘‘উইকেট যখন পড়ছিল, তখন নিজের ইন্টেন্ট পরিবর্তন না করার চেষ্টা করছিলাম। আমি নিজের শক্তির জায়গার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এটাও মাথায় ছিল যে খেলাটা বড় করতে হবে। এক পাশ থেকে উইকেট পড়ছে, তাই আমাকে ক্যারি করতে হবে। ক্যারি করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছি।’’
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী