বিকেলের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি-বজ্রপাত হতে পারে, সতর্ক থাকুন ১৩ জেলার বাসিন্দারা
Published: 19th, May 2025 GMT
ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলার কিছু জায়গায় আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে। এ সময় এসব জেলার কিছু জায়গায় বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকায় এসব এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর জেলার কিছু স্থানে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় এসব এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অধিদপ্তর বলছে, স্থানগুলোতে বজ্রপাত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য বজ্রপাতের সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।
বজ্রপাত চলাকালীন ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বজ্রপাতের একাধিক শব্দের মধ্যে সর্বশেষ যে শব্দটি শোনা যাবে, সেই সময় থেকে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ঘরেই থাকতে হবে।
হাওর অঞ্চলের জেলাগুলোতে বজ্রপাত ও বৃষ্টির আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। হাওরাঞ্চল তুলনামূলক বেশি বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আশঙ ক
এছাড়াও পড়ুন:
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে রিটের ওপর আদেশ ২৬ মে
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ নিয়ে করা রিটের ওপর আদেশের জন্য ২৬ মে দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার শুনানি নিয়ে আদেশের এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী আবেদনকারী হয়ে ৪ মে রিটটি দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব। আদালতে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ শুনানিতে অংশ নেন, যিনি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব প্রথম আলোকে বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত ২৬ মে আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামি শরিয়তের বিধানের পরিপন্থী। দেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী। দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয়ভাবে স্পর্শকাতর। তাই এ বিষয়ে রিট করা হয়।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিভিন্ন অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত ১১.৩.১(ক), ৩.২.৩, ৩.২.৩.১.১ (ক, গ), ১০, ১২.৩.১.১ (জ), ৪.১, ১০.২, ৩.২.১.১.৩ (ক), ৩.২.২.১.৪ (খ) এবং ৬.৩.১ (ক) সুপারিশ বাস্তবায়ন ও কার্যকর করায় পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত সুপারিশ বাস্তবায়ন ও কার্যকর করা থেকে বিরত রাখতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সংস্কারের জন্য প্রস্তাবিত সুপারিশগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইনসচিব, ধর্মসচিব এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।