চাঁদপুরে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা, যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে আহত
Published: 20th, May 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মাদক সেবন ও বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় যুবদলের এক নেতা দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নবকলস ওয়াপদা কলোনি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত ওই নেতার নাম ইকবাল হোসেন প্রধান (৩৭)। পরে রাতে তাঁর ভাই থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি মো.
আহত ইকবাল হোসেন প্রধান উপজেলার ঢাকিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এবং মতলব পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেপ্তার মো. জয় একই এলাকার জুলফিকার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবকলস এলাকায় গতকাল রাতে মো. জয় ও আরও কয়েকজন মাদক সেবন ও বিক্রি করছিলেন। এ সময় ইকবাল হোসেন সেখানে তাঁদের মাদক সেবন করতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে জয় ও তাঁর সহযোগীরা ইকবালের বুকে, পিঠে ও পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যান।
ইকবালের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বড় ভাই জাকির হোসেন প্রধান।
জাকির বলেন, ‘মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় ও পূর্বশত্রুতার জেরে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।’
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালেহ আহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় আহত ইকবালের বড় ভাই জাকির হোসেন প্রধান বাদী হয়ে জয়সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা করেছেন। জয়কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে যুবক নিখোঁজ, স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের এক যুবক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে তার স্বজনদের কাছে অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে কল মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।
নিখোঁজ যুবকের নাম মো. ফরহাদ জুয়েল (২৭)। তিনি সাতানী গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।
শনিবার (৫ জুলাই) ওই যুবককে খু্ঁজতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক।
আরো পড়ুন:
জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে ছাত্রশিবিরের ৫ দফা
ডিপ্লোমা কোটা বাতিলসহ ৩ দাবি রুয়েট শিক্ষার্থীদের
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরহাদ জুয়েল তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে মোহনপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে (০১৯২৯৫৮২৪৬৫ ও ০১৭৩৫৫৩৩৫৬২) কল করেও সংযোগ পাননি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরদিন শনিবার সকালে পাঁচানী স্কুলের দক্ষিণ পাশে সামছু মিয়ার বাড়ির কাছে রাস্তার ধারে ফরহাদ জুয়েলের মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মতলব উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
এদিকে, নিখোঁজের পরদিন বিকেলে জুয়েলের বড় ভাই সোহেলের মোবাইলে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসে এবং তাকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় অপহরণের আশঙ্কা করছেন তারা।
নিখোঁজ যুবকের পিতা মো. আবুল হাসেম থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে বলেন, “আমার ছেলে কোথায় আছে আমরা জানি না। মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে, কিন্তু সে এখনো নিখোঁজ। এমনকি অপরিচিত নম্বর থেকে মুক্তিপণের জন্য ফোন আসায় আমরা ভীষণ আতঙ্কে আছি।”
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক বলেন, “নিখোঁজের বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দ্রুত ফরহাদ জুয়েলকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।”
ঢাকা/অমরেশ/মেহেদী