বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডেমরা থানা। অভিযোগ রয়েছে, এক নারীকে দীর্ঘ সাত মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও মারধর করেছেন।

নোবেলকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। এ নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। নোবেলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসে সালসাবিল লেখেন, “আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছি। আমি কারো বিরুদ্ধে কোনো প্রকারের মামলা দায়ের করিনি।”

নোবেলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের একাংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সালসাবিল। এ বিষয়ে তিনি লেখেন, “নোবেলের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা হয় না ঠিক, কিন্তু ফোনে কথা হয়। আর অভিযোগ শুনলাম, ‘সাত মাস ধরে নোবেল আটকে রেখে ধর্ষণ’— আসলে ওর সঙ্গে সাত মাস কারো পক্ষে থাকা সম্ভব এটা আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ ও নেশাগ্রস্ত, তাহলে সে কীভাবে কাউকে আটকে রাখবে?”

আরো পড়ুন:

পরিস্থিতি-ব্যবস্থা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: বাঁধন

ওয়াইফাই সংযোগ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে কুবি শিক্ষার্থীরা 

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী একজন কলেজছাত্রী। গত বছরের নভেম্বরে তাকে বাসায় নিয়ে আসেন নোবেল। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং তাকে বাসায় আটকে রাখেন।

খানিকটা ব্যাখ্যা করে ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, “বিয়ের কোনো বৈধতা ছাড়াই সাত মাস ওই নারীকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তিনি এসব ঘটনার ভিডিওও ধারণ করেছিলেন।”

ভুক্তভোগী নারীর উপর নির্যাতনের একটি ভিডিও কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ওই নারী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং নোবেলকে গ্রেপ্তার করে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন অভিযোগের ভিত্তিতে ডেমরা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর নোবেল আত্মগোপনে চলে যান এবং সীমান্ত পার হয়ে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেন। এজন্য তিনি একটি মাইক্রোবাসও ভাড়া করেছিলেন। তবে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার

কুররাতুল আইন কানিজ
যুগ্ম সদস্য সচিব
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ

আন্দোলনের শুরুর দিন থেকেই আমি যুক্ত ছিলাম। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ছিলাম। আন্দোলনের শুরুর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আমি, নাহিদ ইসলাম, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, আবু সাঈদ লিওন, প্রীতম সোহাগসহ আরও কয়েকজন বের হয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সেখানে আন্দোলনের সব আপডেট দেওয়ার। আমরা নিজেদের তথ্য দিয়ে গ্রুপ খুলে ফেলি। সেখান থেকেই স্লোগান ও কর্মসূচি নির্ধারিত হয়। এরপর মাইক ভাড়া করে আন্দোলন করার জন্য এবং আরও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য টাকার দরকার হলে প্রীতম সোহাগ ভাই প্রথম তাঁর পকেট থেকে ১০০ টাকা দিয়ে ক্রাউড ফান্ডিং করা শুরু করলেন। এরপর আমরা সবাই যে যার মতো টাকা দিতাম। আমি অন্য মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে পোস্টার, ফেস্টুন ডিজাইন করে, লিখে নিয়ে আসতাম এবং তা বণ্টন করে আন্দোলন করতাম। অগ্নিঝরা স্লোগানে আন্দোলন গতি পেয়েছে। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তানভীরের চতুর্থ শিকার ভেল্লালাগে
  • আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন শামীম
  • তুর্কমেনিস্তানের জালে বাংলাদেশের গোল-বৃষ্টি
  • দাপট দেখিয়ে প্রথমার্ধেই তুর্কমেনিস্তানের জালে বাংলাদেশের ৭ গোল
  • প্রথমার্ধে তুর্কমেনিস্তানের জালে বাংলাদেশের সাত গোল
  • ৪০ মিনিটেই তুর্কমেনিস্তানের জালে বাংলাদেশের সাত গোল
  • ঘুম থেকে উঠে শিশুটি দেখল, ঘরের মেঝেতে মা আর সামনের রাস্তায় পড়ে আছে বাবার লাশ
  • জুলাই বিপ্লব নিয়ে ‌কটূক্তি করা পুলিশ সদস্য বরখাস্ত  
  • বিয়েটা ভেঙে দিলেই কী আমি রাজার আসন পেয়ে যাবো: অঞ্জনা
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার