রাজধানীর নিউ মার্কেট থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ভূতের গলিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। এক যুবককে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। বিষয়টিকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ। 

গুরুতর জখম ওই যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম মুন্না (৩২)। তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) রাতে নিউ মার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ  মাহফুজুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি অপরাধীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’

তবে ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। ভিডিওতে দেখা যায় রবিবার (১৮ মে) রাত ১১ টা ৩২ মিনিটে মুন্নাকে সাদা প্যান্ট ও নেভি ব্লু ফুলহাতা জামা পরা এক যুবক প্রথমে শূন্যে তুলে মাটিতে আছড়ে ফেলছে। এরপর তাকে লাথিমারাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। কিছু সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে দুজন তরুণকে আসতে দেখা যায়। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা তরুণটি নেমে এসে প্রথম তরুণের সঙ্গে যোগ দেয়। লাথির সঙ্গে চলতে থাকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ। মুন্না মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও চলতে থাকে দুর্বৃত্তের তাণ্ডব। এবার নৃশংসতায় যোগ দেয় মোটরসাইকেলের চালক। কালো পাঞ্জাবি ও হেলমেট পরা ওই ব্যক্তি নিজের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুন্নাকে পুনরায় কুপিয়ে বাকিদের মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। 

এখানেই নৃশংসতার শেষ নয়। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল মুন্নার শরীরের ওপর দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যায়। এরপর আশপাশের লোকজন মুন্নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়া।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয় মুন্না। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন (পঙ্গু) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে, আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এবং ঘটনা পরিকল্পিত। এলাকার সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে ঘটনা কিনা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।  রাতেই নিউ মার্কেট থানা পুলিশ অপরাধীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে। ইতোমধ্যে আসামিদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। 

ঢাকা/এম/আর

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রামের বাড়ির পুকুর জলে!

আমরা গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরলাম। দুই ভাই-বোন অনেক মজা করেছি। ট্রেন ভ্রমণে খুব আনন্দ পেয়েছি। আমার বোন ফাতিহা লাফালাফি করেছে। ট্রেনের জানালার পাশে বসে আমরা দারুণ সব দৃশ্য দেখেছি। গাছপালা, নদী আর গ্রাম দেখার সময় মনে হয়েছিল, যেন আমরা কোনো গল্পের মধ্যে আছি। গ্রামে পৌঁছানোর পর গ্রাম দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গ্রামের পথ, গ্রামের সবুজ, কতো কতো ফল গ্রামে। আমার দাদার বাড়িতে বিশাল বিশাল বালুর স্তূপ। আমরা বালিতে হাত দিয়ে দুর্গ বানালাম আর পুকুরে গোসল করলাম। বাবা বললেন, ‘এই বাড়িতেই আমার সব শান্তি। তোরাও থাক, দেখবি তোদেরও শান্তি লাগবে।’ এটা শুনে আমরা ভাই-বোন খুব আনন্দিত হলাম। এরপর আমরা আত্মীয়ের বাড়িতে গেলাম। কতো কতো মানুষ আমাদের কতো আদর করলো। সূর্যের আলোতে গ্রামের সবুজ গাছগুলো খুব ঝলমল করে। আমরা বাজারে গিয়েছি বাবার সঙ্গে। বাজারের মানুষরাও দেখি বাবাকে চেনেন। বাজারটাও চারদিকে পানি আর সবুজে ঘেরা। বাজারের মানুষজন আমাদের স্থানীয় খাবার খাওয়ালেন।
এরপর আমরা গ্রামের শেষ বাড়িটায় গেলাম। সে বাড়িটা খুব ভূতুড়ে। আমরা সবাই মিলে হাতে হাত ধরে গেলাম। বাড়িতে বিশাল একটা পুকুর। আমরা পুকুর ঘাটে গেলাম। পানিতে পা ভেজালাম। বিশাল পুকুর দেখলাম। আমার দেখা এই পুকুরটাই সবচেয়ে বড় পুকুর। বাবা বলেন, এটা পুকুর না; এটা হচ্ছে দিঘি।   
আমার ছোট বোন পুকুর ঘাটে তেলাপিয়া  মাছ দেখে আনন্দে চিৎকার করতে থাকলো। কিছু মাছ এত বড় ছিল দেখে মনে হচ্ছিল, আমরা সত্যিই পুকুরের গভীরে আছি! গ্রামের ভ্রমণটি আমাদের জন্য ছিল আনন্দের স্মৃতিতে ভরা। এই স্মৃতি আমরা কখনও ভুলবো না।
n বয়স : ৩+৪+৪ বছর; চতুর্থ শ্রেণি, রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এ. কে. আজাদের বাড়িতে মিছিল নিয়ে চড়াও হওয়ার ঘটনায় গণসংহতি আন্দোলনের ক্ষোভ
  • এ. কে. আজাদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনায় গণসংহতি আন্দোলনের ক্ষোভ
  • ‌‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা অন্তর্বর্তী সরকারের বিশাল ব্যর্থতা: গণসংহতি আন্দোলন
  • আইনশৃঙ্খলার অবনতি স্পষ্ট
  • অব্যাহত ‘মব সন্ত্রাস’ করে বিচার-সংস্কার ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস চলছে: বাম গণতান্ত্রিক জোট
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার
  • গ্রামের বাড়ির পুকুর জলে!
  • ঢাকাসহ সারা দেশে গত এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৩৮০
  • জনসাধারণের সমস্যা নিয়ে সরকার কতটা চিন্তিত
  • আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিই, ‘রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয়’: হাসনাত আবদুল্লাহ