এই কন্যা শিশুটি গাজায় তার পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য লড়ছে
Published: 20th, May 2025 GMT
গায়ে তার গোলাপি রঙের পাতলা একটি সোয়েটার। বয়স ১২ বছর। দুই হাতে পানিভর্তি দুটি বালতি নিয়ে সে গাজার এবড়ো-থেবড়ো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, তার চারপাশে ধ্বংসস্তূপ, ধুলো এবং ধুলোর স্তূপ। জানা নামের এই ১২ বছর বয়সী মেয়েটি একটি মিশনে রয়েছে: খাবার ও পানি খুঁজে বের করা।
জানা মোহাম্মদ খলিল মুসলেহ আল-স্কেফি জানিয়েছেন, এক বছরেরও বেশি সময় আগে একজন ইসরায়েলি স্নাইপার তার বড় ভাইকে হত্যা করে। এরপর থেকে সে তার পরিবারের জন্য খাদ্য ও পানীয় সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছে। তার বাবা-মায়ের স্বাস্থ্য খারাপ, তাই এখন তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব তার উপর।
গাজা শহরের একটি পানি বিতরণ লাইনে অপেক্ষা করার সময় জানা সিএনএনকে বলেন, “আমি চাই না আমার বাবা ক্লান্ত হয়ে পড়ুক। এই কারণেই আমি শক্তিশালী। আমি শক্তিশালী থাকতে চাই, যাতে আমার বাবা কষ্ট না পান। আমার বাবা বয়স্ক এবং তার হৃদরোগ আছে। যদি তিনি বালতি বহন করার চেষ্টা করেন, তাহলে তিনি মারা যাবেন।”
বাবাকে কঠোর পরিশ্রম থেকে অবকাশ দিতে ছোট্ট মেয়েটি পুরো পথ ধরে পানি ভর্তি দুটি ভারী বালতি বহন করে বাড়ি ফিরে গেল। ভারী বোঝায় তার আঙুল লাল হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে গাজাবাসীর জন্য অতিমূল্যবান পানিতে জানার জিন্সের প্যান্টটি ভিজে গেছে।
৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে খাবার ও পানি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ১১ সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে ইসরায়েল গাজায় সব ত্রাণের প্রবেশের উপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করার পর থেকে পরিস্থিতি আরেো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রতি পাঁচজনে একজন মানুষ অনাহারের সম্মুখীন হচ্ছে। ২১ লাখ মানুষের আবাসস্থল এই অঞ্চলটি মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহারকে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।
কয়েক মাস ধরে গাজায় পরিষ্কার পানি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ ইসরায়েল পানি পরিশোধন এবং লবণাক্তমুক্তকরণ সরঞ্জামের প্রবেশ সীমিত করেছে। ইসরায়েলের দাবি, এই জিনিসগুলো অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
জানা সিএনএনকে বলেছেন, “আপনার জন্য একটা বালতি ভরাই মুশকিল হবে। কারণ সেখানে কোনো সঠিক লাইনিং ব্যবস্থা নেই এবং অপেক্ষার পর আপনি কিছু নাও পেতে পারেন। কখনও কখনও আমাদের পানি ছাড়াই চলে যেতে হয়।। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা সেখানে বসে থাকি কেবল একটি বালতি ভরার জন্য। এটি একটি ভয়াবহ অনুভূতি।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অপুষ্টির প্রভাবে কমপক্ষে ৫৭ জন শিশু মারা গেছে। এদের মধ্যে জানার ভাইয়ের মেয়ে জানাতও ছিল।
জন্মের সময় জানাতের ওজন ছিল মাত্র ২ দশমিক ৬ কিলোগ্রাম।
তার মা আয়া সিএনএনকে জানান, শিশুটি বেড়ে উঠছিল এবং ওজনও বাড়িয়েছিল। কিন্তু জানাতের বয়স যখন ছয় সপ্তাহ তখন পরিস্থিতি বদলে যায়।
২ মার্চ ইসরায়েল গাজার উপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে, এমনকি শিশুর ফর্মুলা দুধ এবং ওষুধসহ সবচেয়ে মৌলিক সরবরাহও গাজায় প্রবেশে বাধা দেয়।
আয়া জানান, তিনি জানাতকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য সংগ্রাম করছিলেন। শিশুটির দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া হয়, পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং শিগগিরই তার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তার চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
তিনি বলেন, “(হাসপাতালে) তারা বলেছিল, একটি বিশেষ চিকিৎসা দুধ আছে যা তার ওজন বাড়াতে এবং ডায়রিয়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে- কিন্তু আমরা তা খুঁজে পাইনি। আমরা গাজাজুড়ে, হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল, ফার্মেসি থেকে ফার্মেসি পর্যন্ত অনুসন্ধান করেছি। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও আমাদের বলেছে যে এটি পাওয়া যাচ্ছে না।”
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তোলা সিএনএন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট শিশুটিকে আয়া শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। তার ছোট্ট মুখমণ্ডলের হাড়গুলো চামড়ার নিচে, এবং তাকে চার মাস বয়সী শিশুর চেয়ে নবজাতকের মতোই বেশি দেখাচ্ছে। তার পাতলা, লম্বা আঙ্গুলগুলো কম্বল থেকে বেরিয়ে আসছে, এবং তাকে ঘুমন্ত দেখাচ্ছে। তার বড় বাদামী চোখই তার ক্লান্ত শরীরের একমাত্র অংশ যা নড়াচড়া করতে সক্ষম বলে মনে হচ্ছে, তার দৃষ্টি তার চারপাশে ঘোরাফেরা করার সময় লোকেদের অনুসরণ করে।
খাবার ও পরিষ্কার পানির অভাবে দুর্বল হয়ে পড়া জানাতের মাও বাঁচার জন্য লড়াই করছিলেন। এই পরিস্থিতিতে গাজার অনেক নতুন মায়ের মতো তারও বুকের দুধ শুকিয়ে গিয়েছিল। এর ফলে তিনি তার শিশুকে খাওয়াতে পারছিলেন না।
জানাতের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। শিশুটিকে তার শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে লড়াই করতে হচ্ছিল। ডাক্তাররা বলেছিলেন যে তার রক্তে শর্করার মাত্রা বিপজ্জনকভাবে কম ছিল। তার অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছিল। অপুষ্টির কারণে তার কিডনি ও লিভার অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং ফলস্বরূপ তার রক্ত অ্যাসিডিক হয়ে যায়।
জানাতের মা বলেন, “আমি সারা বিশ্বের কাছে তাকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করেছিলাম। আমি কেবল চেয়েছিলাম কেউ তাকে বাঁচাক, তার প্রয়োজনীয় দুধ সরবরাহ করুক। কিন্তু কেউ সাহায্য করতে পারেনি। সবাই কেবল দেখছিল।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য পর থ ক ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলকে আবার যুদ্ধ শুরুর অনুমতি দেওয়া হতে পারে: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, যদি হামাস শান্তিচুক্তি মানতে না চায়, তিনি ইসরায়েলকে গাজায় আবার অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন। সিএনএনকে তিনি বলেছেন, ‘আমি বললেই ইসরায়েলি সেনারা আবার সড়কে নামবেন।’
ট্রাম্প একটি সংক্ষিপ্ত ফোনালাপে বলেন, ‘হামাসের কারণে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার দ্রুত সমাধান হবে।’
এর আগে ইসরায়েল হামাসকে অভিযুক্ত করে বলে, তারা গাজা যুদ্ধ বন্ধে করা চুক্তি মানছে না। ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস জীবিত ও মৃত জিম্মিদের ফেরত দেওয়ার শর্ত মানছে না। এতে ইসরায়েলে ক্ষোভ বাড়ছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তার সরবরাহ কমানো বা বিলম্বিত হতে পারে। কারণ, খুব কমসংখ্যক মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে হামাস।
হামাস বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় জিম্মিদের মরদেহ খুঁজে পেতে সমস্য হচ্ছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তার সরবরাহ কমানো বা বিলম্বিত হতে পারে। কারণ, খুব কমসংখ্যক মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে হামাস। ফিলিস্তিন সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় জিম্মিদের মরদেহ খুঁজে পেতে সমস্য হচ্ছে।তবে ইসরায়েলের অভিযোগের পরও এ পর্যন্ত শান্তিচুক্তি টিকে আছে।
ট্রাম্পঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার চতুর্থ ধারায় বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল যখন প্রকাশ্যে এ চুক্তি মেনে নেবে, তখন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মিকে—জীবিত ও মৃত—ফেরত পাঠানো হবে।’
গতকাল সকাল পর্যন্ত ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মির সবাই দেশে ফিরেছেন। আর হামাস আটটি মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যে চারটি হস্তান্তর করা হয়েছে গতকাল রাতে (মঙ্গলবার দিবাগত রাত)।
আরও পড়ুনট্রাম্প কীভাবে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব করলেন১০ অক্টোবর ২০২৫ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, মরদেহগুলোর মধ্যে একটি কোনো ইসরায়েলি জিম্মির নয়। বিষয়টি সম্পর্কে জানাশোনা আছে, এমন একটি সূত্র গতকাল সিএনএনকে বলেছে, ‘সন্ধ্যায় আরও চার–পাঁচটি মরদেহ ফেরত আসতে পারে।’
ট্রাম্প বলেছেন, জীবিত জিম্মিদের উদ্ধার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সিএনএনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলাপের পর জ্যেষ্ঠ দুই মার্কিন উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না যে হামাস মৃত জিম্মিদের সবার দেহ না দিয়ে চুক্তির শর্ত ভাঙছে। তাঁরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার মাধ্যমে হামাসের কাছ থেকে নিশ্চিয়তা পেয়েছে যে অবশিষ্ট মরদেহ উদ্ধার ও ফেরত দেওয়ার সব চেষ্টা করা হবে। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও ওই মরদেহগুলো খুঁজছে। অনেক ক্ষেত্রে মরদেহ ভবন বা স্থাপনার ধ্বংসাবশেষের নিচে থাকতে পারে।
জ্যেষ্ঠ দুই মার্কিন উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না যে হামাস মৃত জিম্মিদের সবার মরদেহ না দিয়ে চুক্তির শর্ত ভাঙছে। তাঁরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার মাধ্যমে হামাসের কাছ থেকে নিশ্চিয়তা পেয়েছে যে অবশিষ্ট মরদেহ উদ্ধার ও ফেরত দেওয়ার সব চেষ্টা করা হবে।এদিকে ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তির পর গাজায় হামাস ও প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংস সংঘাত শুরু হয়েছে। এক ঘটনায় হামাস প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প আগেই সতর্ক করে বলেছেন, হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে, না হলে বলপ্রয়োগে অস্ত্র সমর্পণ করানো হবে। তাঁর ২০ দফা পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে হামাস গাজার শাসনে কোনো ভূমিকা রাখবে না; উপত্যকাটি সামরিকীকরণমুক্ত করা হবে এবং স্বাধীন পর্যবেক্ষক সংস্থার অধীন থাকবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন স্বীকার করেছে যে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও কাজ বাকি আছে এবং জিম্মি–বন্দীমুক্তি চুক্তি ওই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ মাত্র।
আরও পড়ুনগাজায় উচ্ছ্বাস, কী আছে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে০৯ অক্টোবর ২০২৫ট্রাম্প সিএনএনকে বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে হামাস গিয়ে (গাজায়) সহিংস গোষ্ঠীগুলোকে সরাচ্ছে।’
ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, হামাস নির্দোষ ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আমরা তা জানতে পারব। এটি শুধু গ্যাং না–ও হতে পারে।’
হামাসের কারণে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার দ্রুত সমাধান হবে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টশান্তি পরিকল্পনার ষষ্ঠ ধারা বলছে, ‘সব জিম্মি ফেরত আসার পর হামাসের যেসব সদস্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতিশ্রুতি দেবেন ও অস্ত্র ছাড়বেন, তাঁদের ক্ষমা করা হবে। যাঁরা গাজা ছাড়তে চান, তাঁদের নিরাপদ পথ দেওয়া হবে।’
সিএনএন প্রশ্ন করেছিল, হামাস অস্ত্র পরিত্যাগ করতে না চাইলে কী হবে? ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভাবছি। যখন আমি বলব, ইসরায়েল দ্রুতই সড়কে ফিরবে (গাজায় আবার অভিযান শুরু করবে)।’
আরও পড়ুনগাজায় যেভাবে ইসরায়েলের পরাজয় আর ফিলিস্তিনের পুনর্জন্ম হলো১৭ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও নেতানিয়াহু যুদ্ধ শুরু করতে চেয়েছিল, কিন্তু তিনি তাঁদের থামিয়েছেন। এ নিয়ে বিবির (নেতানিয়াহু) সঙ্গে তাঁর তর্ক হয়েছে।
ট্রাম্প তবু দীর্ঘমেয়াদি শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী; বিশেষ করে যখন এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের এ বিষয়ে শক্ত সমর্থন রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে ৫৯টি দেশ যুক্ত। আমরা এর আগে এমন কিছু দেখিনি। তারা আব্রাহাম চুক্তির অংশ হতে চায়। এখন ইরান আর কোনো সমস্যা নয়।’
আরও পড়ুনট্রাম্পের ওপর কেন হামাস এতটা আস্থা রাখছে১৪ অক্টোবর ২০২৫