Samakal:
2025-07-05@13:11:58 GMT

সেমিনারে বক্তারা

Published: 21st, May 2025 GMT

সেমিনারে বক্তারা

জিও টেক্সটাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্বীপ তৈরি করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেন্ট মার্টিনের প্রবালের কোনো ধরনের ক্ষতি না করে দ্বীপটির আয়তন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়া টেকনাফসহ দেশের অন্যান্য এলাকায়ও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে ‘অ্যাপ্লিকেশন অব জিও টেক্সটাইলস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আয়োজিত এক সেমিনারে এই তথ্য উঠে আসে। আইইবির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এ আয়োজন করে।

আইইবির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আইইবির সহসভাপতি (হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট) প্রকৌশলী শেখ আল আমিন, সম্মানী সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.

মো. সাব্বির মোস্তফা খান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মোস্তফা–ই–জামান প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. সায়েদুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম আখতার বলেন, জিও টেক্সটাইলের ব্যবহার ব্যাপক। নদী রক্ষায় এই প্রযুক্তি অনেক কার্যকর। এছাড়া সেতুর গোড়ায় মাটির ক্ষয় রোধে জিও টেক্সটাইল ব্যবহার হচ্ছে। পুরকৌশলে জিও টেক্সটাইল নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও সিভিল ইঞ্জিনিয়াররাও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডে জিও টেক্সটাইলের ব্যাপক ব্যবহার হয়। এটি প্রকৌশল ক্ষেত্রে আশীর্বাদস্বরূপ। তাই এই প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু জিও টেক্সটাইলের উন্নতি নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা নেই। জিও টেক্সটাইল নিয়ে প্রচুর গবেষণা করা প্রয়োজন। 

মূল প্রবন্ধে মাহবুবুল সড়ক নির্মাণ, ড্রেনেজ সিস্টেম, উপকূলীয় মাটি ক্ষয় রোধ, কৃষি, ড্রেজিং, নদীর পাড় রক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জিও টেক্সটাইলের ব্যবহার ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, জিও টেক্সটাইল একদিকে যেমন টেকসই ও পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে এর খরচও তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়া সুয়েজ ব্যবস্থাপনা, নদীর পাড় রক্ষা এবং পাহাড় ধস রোধেও এই প্রযুক্তি কার্যকর। পাহাড়ের ঢালে পাটের কার্পেট দিয়ে ঢেকে দিলে সেখানে বৃষ্টির কারণে মাটি ক্ষয় হবে না। এছাড়া সেখানে কার্পেটের সঙ্গে সঙ্গে গাছও লাগানো হয়। এতে করে পাহাড় ধস রোধ করা সম্ভব। 

মাহবুবুল বলেন, নদীর পাড়ে ভূমির উপরিভাগের আকার অনুযায়ী জিও ব্যাগ ব্যবহার করলে নদীর পাড় রক্ষায় তা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এ সময় তিনি জিও টেক্সটাইল নিয়ে গবেষণার ওপর জোর দেন। বিশেষ করে নারকেলের খোসা নিয়ে আলাদা একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনেরও সুপারিশ করেন। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন টম র ট ন ব যবহ র কর নদ র প ড়

এছাড়াও পড়ুন:

২৪৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ

প্রথম ওয়ানডের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচেও ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হলো টাইগাররা। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করে ৪৫.৫ ওভারে ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ভিত্তি গড়েন দুই ফিফটিকার পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম মাত্র ৯ রান করে ফিরে যান। তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ধরে রাখেন এক প্রান্ত। ৬৯ বলে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। কিন্তু তার বিদায়ের পর হঠাৎ করেই ব্যাটিং বিপর্যয় নামে।

পারভেজের বিদায়ের পরপরই দ্রুত ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৯)। এরপরও কিছুটা আশা জাগান তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। কিন্তু শামীম থিতু হয়ে ফিরে যান ২২ রানে। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। ষষ্ঠ উইকেটে আসে ৪৫ রানের জুটি।

তাওহিদ হৃদয় ৬৯ বলে ৫১ রানের ইনিংসে তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডে ফিফটি। কিন্তু সেট হওয়ার পরও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় রানআউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর দ্রুত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় লাল-সবুজরা।

শেষদিকে কিছুটা ঝড় তোলেন তানজিম হাসান সাকিব। ২১ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে দুটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান এই তরুণ। তবে তার সেই চেষ্টা বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেনি। মুস্তাফিজুর রহমান (০), তানভীর ইসলাম (৪), হাসান মাহমুদ (০) কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি।

শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বাধিক চার উইকেট শিকার করেন আসিথা ফার্নান্দো। দারুণ বোলিংয়ে তিনটি উইকেট নেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা।

বাংলাদেশ একাদশে দুই পরিবর্তন এনেছে। লিটন দাসকে বাদ দিয়ে শামীম পাটোয়ারিকে একাদশে নেওয়া হয়েছে। তাসকিন আহমেদকে বিশ্রাম দিয়ে হাসান মাহমুদকে নেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কাও দুই পরিবর্তন এনেছে। পেস অলরাউন্ডার মিলান রত্নায়েকের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগে। এসান মালিঙ্কার বদলে খেলছেন পেসার দুশমন্ত চামিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী মিরাজ, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারি, তানজিম সাকিব, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: নিশান মাদুষ্কা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথা আশালঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ভেল্লালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, দুশমন্ত চামিরা, আসিথা ফার্নান্দো। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ