ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও দলের সঙ্গে পরামর্শ শেষে হামাস গাজায় যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

বার্তা আদান–প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি ইতিবাচক জবাব জমা দিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার নতুন পর্বে তাৎক্ষণিকভাবে অংশ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত আছে।

আরও পড়ুনগাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদ০২ জুলাই ২০২৫

এ আলোচনার বিষয়ে অবগত আছেন, এমন একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, হামাস (চুক্তির) সামগ্রিক কাঠামো মেনে নিয়েছে। তবে তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছে। এর একটি, যদি ২০ মাস ধরা চলা এ যুদ্ধ স্থায়ীভাবে থামানো নিয়ে আলোচনা ভেঙে পড়ে, সে ক্ষেত্রেও আবার হামলা শুরু করা যাবে না—যুক্তরাষ্ট্রকে এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে।

এর চেয়ে ভালো কিছু আর আসবে না; বরং পরিস্থিতি আরও খারাপই হবে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা তারা সমর্থন করে। তবে এ প্রক্রিয়া যেন একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা চেয়েছে তারা।

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে নিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে কাজ করবে।

আরও পড়ুনগাজায় কার্যকর যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায় হামাস২২ ঘণ্টা আগে

ট্রাম্প হামাসকেও তাঁর ভাষায় ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সতর্ক করে বলেছেন, এর (নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি) চেয়ে ভালো কিছু আর আসবে না; বরং পরিস্থিতি আরও খারাপই হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ পরিকল্পনায় ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে এবং আরও ১৮ জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। এখনো প্রায় ৫০ জন জিম্মি গাজায় আটকে রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে এবং আরও ১৮ জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। এখনো প্রায় ৫০ জন জিম্মি গাজায় আটকে রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির অংশগ্রহণে গাজায় পর্যাপ্ত পরিমাণ মানবিক সহায়তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রবেশ করবে।

আরও পড়ুনগাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল, জানালেন ট্রাম্প০২ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইসর য় ল র জন জ ব ত প রস ত

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ