টেক্সাসে হঠাৎ বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২৫ শিশু
Published: 5th, July 2025 GMT
টেক্সাসে টানা ভারী বৃষ্টিতে গুয়াদালুপে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে একটি গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে থাকা ২৫ জন মেয়ে শিশু।
শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ভোর রাতে কার কাউন্টিতে হঠাৎ এই বন্যা শুরু হয়। কর্মকর্তারা জানান, তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল, আর খুব অল্প সময়েই পানি নদীর বিপৎসীমার অনেক উপরে উঠে যায়। ফলে আগাম সতর্কতা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়নি।
গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পটি ‘ক্যাম্প মিস্টিক’ নামে পরিচিত। সেখানে প্রায় ৭৫০ জন মেয়ে শিশু ছিল। তাদের মধ্যে অধিকাংশকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
কারভিলের নগর ব্যবস্থাপক ডাল্টন রাইস বলেন, বন্যাটা এত দ্রুত শুরু হয়েছিল যে কোনো পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়নি। দুই ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যেই নদীর পানি ভয়াবহভাবে বেড়ে যায়।
টেক্সাসের কর্মকর্তারা আগেই কিছুটা বৃষ্টি ও বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তবে শুক্রবার যেটা হয়েছে, তা পূর্বাভাসে বলা হয়নি। টেক্সাসের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান নিম কিড বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা ছিল না।
কার কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লেইথা জানান, মৃতের সংখ্যা প্রথমে ১৩ ছিল, পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪-এ। পাশের কাউন্টি থেকেও একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে, তবে সেটা বন্যাজনিত কি না, তা নিশ্চিত হয়নি।
টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, আমরা আশা করছি, নিখোঁজ সব শিশুকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যাবে। নদীর পানি মাত্র ৪৫ মিনিটে ২৬ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যায়।
বন্যায় স্থানীয় অনেক বাসাবাড়ি, ক্যাম্প ও গাড়িভিত্তিক পার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। কারভিল শহরের নদীপাড়ের মূল অনুষ্ঠানস্থলও ডুবে গেছে।
জরুরি সহায়তা দিতে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট রাজ্যে দুর্যোগ ঘোষণা করেছেন। উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে কোস্ট গার্ড, ফেডারেল সংস্থা ফেমা এবং অন্যান্য বাহিনী।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ২৩৭ জনকে উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে ১৬৭ জনকে হেলিকপ্টারে নেওয়া হয়। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা টেক্সাসের আরও কিছু এলাকায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বন য য় ম ত য বন য ম র ক ন য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
সঞ্চয়পত্রে মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না: অর্থ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়িয়ে দিলে মানুষ সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে, ব্যাংকে টাকা রাখবে না। ব্যাংকেও তো তারল্যের ব্যাপার আছে। ব্যালেন্স করে দেখতে হবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে দিলে ব্যাংক কোত্থেকে টাকা পাবে?
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, খারাপ ব্যাংকগুলোকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক এর একটি উদাহরণ। এ ব্যাংকে আস্থা ফিরে আসছে। অন্য ব্যাংকগুলোর জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট করা হয়েছে। এটার প্রথম শর্ত হলো—যারা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। কারো টাকা মার যাবে না। তবে, একটু সময় লাগতে পারে। কারণ, টাকা নিয়ে চলে গেছে অনেকে। পৃথিবীর কোনো দেশে এরকম ঘটনা ঘটেনি।
এনবিআরে চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমস্যা সমাধানে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে যা যা করা লাগবে, আমরা করব। পাঁচ সদস্যের শক্তিশালী কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী আনতে আমরা নিশ্চিত করছি যে, ব্যবসার জন্য যেন ১০-১২ জায়গায় যেতে না হয়। যত ধরনের ছাড়পত্র আছে, সেগুলো আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে করার চেষ্টা করছি।
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/পলাশ/রফিক