এনসিপির গোপালগঞ্জ কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ ব্যবসায়ীর
Published: 5th, July 2025 GMT
কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি থেকে নাম বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মুদি ব্যবসায়ী ছাদিম কাজী। বৃহস্পতিবার ঘোষিত এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয় তাকে। শুক্রবার দুপুরে ছাদিম কাজী তার ফেসবুকে এক পোস্টে তার নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি লিখেছেন, আমার অনুমতি ছাড়া আমাকে এনসিপির কমিটির (জেলা সমন্বয় কমিটি) সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। এটা আমার ও আমার পরিবারের জন্য অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করেছে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না, এনসিপি দলেরও সদস্যও না। তাই আমার নাম এনসিপি দলের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশ করা হয়। ২৯ সদস্যবিশিষ্ট ঘোষিত ওই কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয় ছাদিম কাজীকে। এ ঘটনার পর ফেসবুকে ছাদিম কাজীকে অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ছাদিম কাজী জানান, তিনি কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। গোপালগঞ্জ জেলা শহরে তিনি মুদি ব্যবসা করেন। এনসিপির কমিটিতে তার নাম দেখে অবাক হয়েছেন। তাই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন।
ছাদিম কাজী আরও বলেন, এসসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো.
এ ব্যাপারে জানতে গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো.আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। তবে ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কম ট এনস প গ প লগঞ জ জ ল র অন র ধ র সদস য এনস প র ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
৮ দিনে ৪৭বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে আট দিনে ইসরায়েল ৪৭ বার হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ইসরায়েলের হামলায় গত আট দিনে ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৪৩ জন আহত হয়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি গুলি চালানো, ইচ্ছাকৃতভাবে গোলাবর্ষণ ও লক্ষ্যবস্তুতে হামলা এবং বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা, যা যুদ্ধের ঘোষণার সমাপ্তি ঘোষণা করা সত্ত্বেও দখলদারদের অব্যাহত আগ্রাসন নীতির প্রতিফলন।”
বিবৃতিতে গাজার কর্তৃপক্ষ “দখলদারদের তাদের চলমান আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং নিরস্ত্র বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় জাতিসংঘ এবং চুক্তির জামিনদার পক্ষগুলোকে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার জন্য” আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার গাজায় একটি বাসে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি সেনারা একই পরিবারের ১১ সদস্যকে হত্যা করেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাত শিশু ও তিনজন নারী ছিলেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরে এটি ছিল ফিলিস্তিনিদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। নিহত ব্যক্তিরা আবু শাবান গোত্রের সদস্য। জেইতুন এলাকায় নিজেদের বাড়ি দেখার চেষ্টা করার সময় তাঁদের হত্যা করা হয়।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায় আটক থাকা সব নিহত জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তর করার পরেই আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ রুট রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খোলা হবে।
শনিবার তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নির্দেশ দিয়েছেন যে রাফাহ ক্রসিং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। হামাস জিম্মি ও নিহতদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার এবং সম্মত শর্তাবলী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাদের বাধ্যবাধকতা কীভাবে পূরণ করে তার উপর ভিত্তি করে এর পুনরায় খোলার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”
ঢাকা/শাহেদ