উপসর্গগুলো আপনিও অবহেলা করেন? এর পেছনে আছে মারাত্মক কোনো রোগের ইঙ্গিত
Published: 5th, July 2025 GMT
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
ডায়েট না করে বা শরীরচর্চা না করেও যদি অল্প সময়ের মধ্যে ওজন অনেক কমে যায়, তাহলে সেটা হতে পারে ক্যানসার, থাইরয়েডের সমস্যা বা ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
দীর্ঘদিনের কাশিতিন সপ্তাহের বেশি সময় চলা কাশি, বিশেষ করে যদি সঙ্গে রক্ত আসে, তাহলে এটি যক্ষ্মা বা ফুসফুসের ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে।
বুকে ব্যথাহালকা ব্যথা বা ভারী চাপের মতো, যেমনই হোক, বুকের যেকোনো অস্বাভাবিক অনুভূতি হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
মাথা ঘোরাহঠাৎ করে মাথা ঘোরা, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া বা অচেতন হয়ে পড়া হতে পারে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের সমস্যা বা স্ট্রোকের লক্ষণ।
একটানা সাত দিন বা তার বেশি সময় জ্বর চলতে থাকলে তা কোনো সংক্রামক রোগ বা বড় ধরনের সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুলকানি শুধু অ্যালার্জি বা চর্মরোগ নয়, হতে পারে মারাত্মক সব রোগের লক্ষণ
লিভারের রোগ
লিভার বা যকৃতের দীর্ঘমেয়াদি রোগ হলে চুলকানি হয়। কোলেস্ট্যাটিক লিভার ডিজিজ যেমন অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস, প্রাথমিক পিত্তনালির প্রদাহ বা প্রাইমারি বিলিয়ারি কোলানজাইটিস, প্রাইমারি স্ক্লেরসিং কোলানজাইটিস রোগেও চুলকানি অন্যতম প্রধান উপসর্গ। পিত্তরস ও পিত্ত অ্যাসিড রক্তে জমে ত্বকের স্নায়ু উত্তেজিত করে, এই চুলকানি রাতে বেশি হয়।
কিডনির রোগদীর্ঘমেয়াদি রোগ বিশেষ করে ডায়ালাইসিস করতে হয় এমন রোগীদের মধ্যে এ রকম চুলকানি দেখা যায়। সাধারণত এটি সারা শরীরে হয়। বেশি হয় রাতে। রাতের ঘুম নষ্ট করে।
রক্তের রোগরক্তশূন্যতায় শরীর চুলকাতে পারে, বিশেষ করে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতায়। পলিসাইথেমিয়া নামে রক্তের এক বিশেষ রোগ, যেটিতে রক্তের হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা বেড়ে যায়, তাতেও চুলকানি হতে পারে। গোসলের পর বা গরম পানিতে চুলকানি এটির একটি সাধারণ উপসর্গ। রক্তের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও অনেক সময় চুলকানি প্রাথমিক সতর্কসংকেত। অন্যান্য কিছু রক্তের ক্যানসারেও চুলকানি হতে পারে।
আরও পড়ুনওষুধেও চুলকানি পুরো নিরাময় হচ্ছে না?২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪আরও যেসব রোগের লক্ষণডায়াবেটিসে চামড়া শুষ্ক হয়। শুষ্ক ত্বকে চুলকানি হতে পারে। ডায়াবেটিসে বারবার ছত্রাক বা ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণ হতে পারে।
থাইরয়েডের রোগে বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েডিজম হলে চুলকানি দেখা দিতে পারে। ত্বকের শুষ্কতার জন্য এটি হয়।
গর্ভাবস্থায় কারও কারও পিত্তরস জমে শরীর চুলকায়, বিশেষ করে হাত-পায়ের তালুতে চুলকানি বেশি থাকে।
এইডস হলে বা এইচআইভি সংক্রমণে শরীর চুলকাতে পারে।
হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সংক্রমণে চুলকানির সঙ্গে ভাসকুলাইটিস থাকতে পারে।
কৃমি হলে বা পরজীবীর সংক্রমণেও চুলকানি দেখা দেয়।
স্নায়ুজনিত কিছু রোগ যেখানে প্রান্তিক স্নায়ু ও সংবেদনে সমস্যা হয়, সেগুলোতে চুলকানি হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, ডিপ্রেশনে চুলকানি দেখা যায়।
আরও পড়ুন বিশেষ স্থানে চুলকানি হলে কী করবেন১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪মনে রাখতে হবেচুলকানির কিছু বৈশিষ্ট্য যা জটিল রোগের দিকে ইঙ্গিত করে। এর মধ্যে অন্যতম সারা শরীর চুলকানো।
কোনো দৃশ্যমান ত্বকের চিহ্ন বা র্যাশের অনুপস্থিতি, রাতে চুলকানি বেড়ে যাওয়াও খারাপ লক্ষণ।
নির্দিষ্ট সিস্টেমিক উপসর্গের সঙ্গে থাকা যেমন জন্ডিস, কিডনি ফেইলিউর, ওজন কমা, রক্তশূন্যতা, লিম্ফনোড ফোলা ইত্যাদি।
চুলকানি শুধু অ্যালার্জি বা চর্মরোগ নয়, লিভার, কিডনি, রক্ত, হরমোন, ইনফেকশন ও স্নায়ুজনিত সমস্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুনসারা শরীরে চুলকানি, অ্যালার্জি না স্ক্যাবিস বুঝবেন কীভাবে?১৩ আগস্ট ২০২৫