গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরো ১৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
Published: 5th, July 2025 GMT
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ১৩৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরো ৬২৫ জন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান অভিযানে গাজায় গত ২১ মাসে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ২৬৮ জনে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জন। তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলার পর গাজা উপত্যকায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল।
আরো পড়ুন:
গাজা যুদ্ধে প্রশ্নের মুখে বিবিসির সম্পাদকীয় নীতি
গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় তিন শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৭১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩ হাজার ৫৮৪ জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
গত মাসে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার পর গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘লাইলাতুল নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হয়েছে’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেছেন, “বিখ্যাত লাইলাতুল নির্বাচনের (রাতের ভোট) দায়িত্বে থাকা সব সরকারি কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে। সেই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যারা ছিলেন তাদের সবাইকে অপসারণ করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “সামনে নির্বাচন- এটি একটি কঠিন দায়িত্ব, জাতির জন্য কঠিন অগ্নিপরীক্ষা। যদি এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালিত না হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা এবং বিগত ডিসি, এসপিদের মতো পরিণতি হতে পারে।”
শনিবার (৫ জুলাই) সকালে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলে জামালপুরের চেহারা পাল্টে যাবার কথা’
বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
ফাওজুল কবির বলেন, “প্রবাসী ও তরুণরা প্রথমবারের মতো নির্বাচনে ভোট দেবেন। কে কাকে ভোট দেবেন, তা আপনি-আমি জানি না। কাজেই কাউকে নির্বাচিত করা সরকারি কর্মকর্তার কাজ নয়। যিনি নির্বাচিত হবেন, তার সঙ্গে কাজ করাই সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “আমরা সম্পদ বিবরণী জমা দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিয়েছি। সময় শেষে আবার সম্পদ বিবরণী জমা দিয়ে বিদায় নেব। জনসাধারণ দেখতে পারবেন, এই স্বল্প সময়ের মধ্যে আমাদের সম্পদের কী পরিবর্তন হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “জ্বালানি তেল কেনার সময় দরপত্র জমা, পদ্মা রেলওয়ের জন্য ভাঙ্গা স্টেশন নির্মাণে ব্যয় সংকোচন, এলপিজি কেনা এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদসহ বিভিন্নভাবে গত কয়েক মাসে তিনটি মন্ত্রণালয়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে।”
মতবিনিময় সভায় জামালপুর জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতারা এবং জেলার সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/শোভন/মাসুদ