ব্রাজিল ক্লাবকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আবার ব্রাজিলের ক্লাবই পেল চেলসি
Published: 5th, July 2025 GMT
অবশেষে চেলসির কাছে হেরে থামল ক্লাব বিশ্বকাপে পালমেইরাসের যাত্রা। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে টপকে গ্রুপসেরা, এরপর শেষ ষোলোয় স্বদেশি বোতাফোগোকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। ধারণা করা হচ্ছিল, শেষ আটেও চেলসিকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে ব্রাজিলিয়ান শীর্ষ লিগের সফলতম ক্লাবটি। সেই তারা করেছেও, কিন্তু জিততে পারেনি।
আজ সকালে ফিলাডেলফিয়ায় পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮২ মিনিট পর্যন্ত সমতা ধরে রেখেছিল পালমেইরাস। তবে আত্মঘাতী গোলে কপাল পুড়েছে ক্লাবটির। সেমিফাইনালে চেলসি মুখোমুখি হবে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের।
এর আগে ২০২২ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি ও পালমেইরাস। সেই ম্যাচেও চেলসি জিতেছিল ২-১ গোলে। আজ সেই একই ফলেরই পুনরাবৃত্তি হলো। পাশাপাশি এর মধ্যে দিয়ে অফিশিয়াল ক্লাব প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি লড়াইয়েও ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর সঙ্গে সমতা ফেরাল ইংলিশ ক্লাবগুলো। দুই দেশের ক্লাবগুলোর মধ্যে হওয়া ১০ ম্যাচে ৫টিতে জিতেছে ব্রাজিল এবং অন্য ৫টিতে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুনকান্নাভেজা ম্যাচে আল হিলালকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান চমক ফ্লুমিনেন্স১ ঘণ্টা আগেলিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডের এই ম্যাচে শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভাকে। এ সময় জোতা ও আন্দ্রের নাম লেখা বিশেষ জার্সি নিয়ে মাঠে আসেন চেলসির পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড পেদ্রো নেতো।
সেমিফাইনালে ওঠার এই লড়াইয়ে চেলসির দাপট ছিল একচ্ছত্র। ৬৩ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৯ শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখে তারা। অন্য দিকে পালমেইরাস ৩৭ শতাংশ বলের দখল রাখলেও ৭টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে মাত্র ২টি। পালমেইরাসে এই ম্যাচে মূলত প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবলই খেলেছে। তবে আক্রমণে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচজুড়ে দারুণভাবে রক্ষণ সামলেছে তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি ক্লাবটি।
পালমেইরাসের খেলোয়াড়দের হতাশা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
নেদারল্যান্ডে স্মার্টফোন নিষিদ্ধে উন্নত হয়েছে পড়াশোনার পরিবেশ
নেদারল্যান্ডসের স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করায় স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ উন্নত হয়েছে বলে এক সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে।
নেদারল্যান্ডসের সেকেন্ডারি স্কুলগুলো জানিয়েছে, এখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বেশি মনোযোগী হতে পারছে (৭৫ শতাংশ), সামাজিক পরিবেশও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে (৫৯ শতাংশ), এবং কিছু স্কুল জানিয়েছে, ফলাফলেও উন্নতি হয়েছে (২৮ শতাংশ)।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ক্লাসে ফোন নিষিদ্ধের জাতীয় নির্দেশনা জারির পর বেশিরভাগ স্কুলই সেটি মেনে নিয়েছে। এখন দেশটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সেকেন্ডারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ফোন বাসায় রেখে আসতে বলা হয় বা লকারে রাখতে হয়। প্রতি পাঁচটি স্কুলের একটিতে ক্লাস শুরুর আগে ফোন জমা দিতে হয়।
সেকেন্ডারি স্কুলগুলো জানিয়েছে, এখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বেশি মনোযোগী হতে পারছে (৭৫ শতাংশ), সামাজিক পরিবেশও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে (৫৯ শতাংশ), এবং কিছু স্কুল জানিয়েছে, ফলাফলেও উন্নতি হয়েছে (২৮ শতাংশ)।
গবেষক ড. আলেকজান্ডার ক্রেপেল বলেন, 'সবচেয়ে ভালো উন্নতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগে। এখন আর কেউ লুকিয়ে কারও ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়াতে পারে না—এটা একটা বড় সামাজিক নিরাপত্তা। আগের মতো ব্রেক টাইমে সবাই ফোনে ডুবে থাকে না, এখন কথা বলতে হয়। মাঝে মাঝে ঝগড়া হলেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছে, এখন পরিবেশ অনেক ভালো।'
নেদারল্যান্ডসে ক্লাসে মোবাইল নিষিদ্ধের বিষয়ে শুরুতে স্কুল, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এখন সবাই বেশ সন্তুষ্ট, এমনটাই জানিয়েছেন ভিও-রাদ (মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল) মুখপাত্র ফ্রেয়া সিক্সমা।
তিনি বলেন, 'শুরুতে অনেক প্রশ্ন ছিল—এটা কীভাবে কাজ করবে, কে মানবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সবাই আসলে খুশি।'
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষায়িত কিছু স্কুলে যদিও বিশেষ সহায়তার জন্য মাঝে মাঝে মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়, তবুও এসব স্কুলের অর্ধেকের বেশি জানিয়েছে—নিষেধাজ্ঞার ফলে ভালো প্রভাব পড়েছে।
দেশটির প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি এডুকেশন মন্ত্রী মারিয়েলে পল বলেন, এই জাতীয় নির্দেশনা শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করেছে। আগে কোনো শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে ফোন নিষিদ্ধ করতে চাইলে তা নিয়ে বিতর্ক হতো। বিশেষ করে নতুন শিক্ষকরা সেটি প্রয়োগ করতে হিমশিম খেতেন।