মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে সবচেয়ে আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল’ বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হওয়ার একদিন পর আইনে পরিণত হলো।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার বিকেলে হোয়াইট হাউজে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এতে তার এজেন্ডার কয়েকটি মূল দিক—কর হ্রাস, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং অভিবাসন দমন কার্যক্রম—আইন হিসেবে কার্যকর হলো।

স্বাধীনতা দিবসের আতশবাজি ও সামরিক পিকনিকের আগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিগ বিউটিফুল বিল পাসে সহায়তাকারী কিছু রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। ট্রাম্প বিলটিতে সই করে একে আইনে রূপ দেয়ার সময় তারা দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান।

আরো পড়ুন:

কার অপেক্ষায় মাহি?

মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ২ বছর পিছিয়েছে: পেন্টাগন

ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, “এই বিলটি আমেরিকান পরিবার এবং ব্যবসার জন্য একটি নতুন সূচনা। আমরা কর কমাচ্ছি এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাচ্ছি, যাতে আমাদের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হয়।” 

ট্রাম্প হাউজ স্পিকার মাইক জনসন এবং সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জন থুনকে ধন্যবাদ জানান, যাদের নেতৃত্বে আমেরিকার উভয় কক্ষেই এই বিলটি পাস হয়েছে।

ক্যাপিটল হিলে দীর্ঘ অধিবেশনের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি ২১৮ বনাম ২১৪ ভোটে পাস হয়। এর আগে মঙ্গলবার সিনেটে এটি মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে অনুমোদিত হয়েছিল।

ট্রাম্প রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসকে এই বিল ৪ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে চূড়ান্তভাবে পাঠাতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, যাতে তিনি এটিকে আইনে পরিণত করতে পারেন।

‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল’ আইনে কর হ্রাস, সামরিক বাজেট, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য বর্ধিত ব্যয়, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিতে কর হ্রাসের মতো বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই আইনটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বৃহৎ পরিসরে নির্বাসনের জন্য ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গেও সম্পর্কিত। তবে, আইন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, এই পদক্ষেপগুলো মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দেবে। ছোট ব্যবসাকে উৎসাহিত করবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। যদিও অন্যান্য বিরোধীরা বিশ্বাস করেন এই ব্যয় দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণেই ধনকুবের ইলন মাস্ক সহ একটি বড় অংশ এই আইনের বিরুদ্ধে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ব গ ব উট ফ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে ৫ দফা দাবিতে চলছে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট

সিলেটে বন্ধ থাকা পাথরকোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ৫ দফা দাবিতে ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে সিলেট জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দাবি মানা না হলে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

এর আগে গত বুধবার সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আয়োজনে নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সময় এই ধর্মঘট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনসিলেটে পর্যটকবাহী যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২০৩ জুলাই ২০২৫

মালিক-শ্রমিকদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো সিলেটে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংস ও অভিযান বন্ধ, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটকানো বন্ধ, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ এবং সিলেট জেলা প্রশাসকের অপসারণ।

ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্যতম কর্মক্ষেত্র পাথরকোয়ারি। এগুলো বন্ধ থাকায় কর্মসংস্থান হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এ ছাড়া পরিবহন–সংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সিলেটসহ দেশের যেসব স্থানে পাথরকোয়ারিগুলো বন্ধ আছে, সেগুলো খুলে দিলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি জেলার অসংখ্য মানুষের জীবন-জীবিকার পথ সুগম হবে।

আরও পড়ুনসিলেটে পর্যটকবাহী যানবাহনে আন্দোলনকারীদের হামলা, আটক ২০১ জুলাই ২০২৫

এদিকে আজ বিকেলে সিলেট জেলার পাথর–সংশ্লিষ্ট মালিক ও ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহ্বানে পরিবহনশ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে বৈঠক আয়োজনের কথা আছে। ওই বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা কথা আছে।

জেলা পাথর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজ সরকারি ছুটি ও রোববার আশুরার জন্য সরকারি ছুটি আছে। এর মধ্যে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি ছুটি এবং ধর্মীয় দিবসের দিনে এমন কর্মসূচি যৌক্তিক নয়।

জেলা পাথর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ পাথরকোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে এর আগে বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচি পালন করেছিল।

আরও পড়ুনসিলেটে পাথর ভাঙার আরও ১৭টি যন্ত্র ধ্বংস, জব্দ ১ লাখ ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর৩০ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ