গোলরক্ষকের ভুলে হারল পালমেইরাস, সেমিতে চেলসি
Published: 5th, July 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ক্লাবগুলো ইউরোপ চমক দিয়েছে। ম্যাচ হারিয়েছে, টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ও করেছে। সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে চেলসির বিপক্ষেও চমকের সুযোগ ছিল পালমেইরাসেরও। কিন্তু গোলরক্ষক ওয়েভারটনের ভুলে ২-১ গোলে হেরেছে তারা। সেমিফাইনালে চলে গেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি।
শনিবার সকালে ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফাইন্যান্সিয়াল ফিল্ডে ম্যাচের ১৬ মিনিটে লিড নেয় চেলসি। গোল করেন তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার কোলে পালমার। প্রথমার্ধে শুধু ওই গোলে নয় সুযোগ তৈরি ও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ বিবেচনায় পুরোটা এগিয়ে ছিল ব্লুজরা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ১৮ বছর বয়সী তরুণ এস্তেভাও উইলিয়ামসের দারুণ এক গোলে সমতায় ফেরে পালমেইরাস। তিনি ৫৩ মিনিটে বক্সের কোনা থেকে বাঁ-পায়ের দারুণ শটে চেলসি গোলরক্ষককে বোকা বানান। টুর্নামেন্টে এস্তেভাওয়ের এটি প্রথম গোল। সেটাও আবার চেলসির বিপক্ষে। ক’দিন বাদেই যে ক্লাবে যোগ দিতে যাচ্ছেন এই ব্রাজিলিয়ান।
সমতায় ফেরার পরও পালমেইরাস ব্যাকফুটে ছিল। তবে চেলসিকে সেভাবে গোলের সুযোগ দিচ্ছিল না আবেল পেরেইরার দল। বল ও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখা ব্লুজরাও বারবার আক্রমণে উঠছিল। তবে চেলসির কপাল খোলে এবং পালমেইরাসের কপাল পোড়ে ব্রাজিল জাতীয় দলের তৃতীয় পছন্দের গোলরক্ষক ওয়েভারটনের ভুলে।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে পালমেইরাস। চেলসির লুইস গুস্ত বাঁ পায়ে ছোট করে শট নেন। তা পালমেইরাস ফুটবলারের পায়ে সামান্য লেগে ওয়েভারটনের সামনে পড়ে জালে চলে যায়। বল সামান্য বাক বদলানোয় বোকা বনে যান পালমেইরাস গোলরক্ষক।
এই জয়ে সেমিফাইনালে চেলসি মুখোমুখি হবে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের। আল হিলালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের ক্লাবটি শেষ চারে এসেছে। ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ব্রাজিলের চার ক্লাব। চার দলই শেষ ষোলোয় পা রেখেছিল। সেখান থেকে শেষ আটে পৌছে দুই দল। সেমিফাইনালে রইল বাকি এক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প চ লস স ম ফ ইন ল চ লস র
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি