চুয়াডাঙ্গার উথলীতে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত ১১টা ১৫ মিনিটে দিকে লাইনচ্যুত বগিগুলো সরিয়ে নিলে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। উথলী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মিন্টু কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে উথলী রেলস্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে উদ্ধারকারী রিফিল ট্রেন দিয়ে উদ্ধারকাজ শেষ করে।

এদিকে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল সচল হলে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের কিছু যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

আবার অনেক যাত্রী বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। অসংখ্য যাত্রীকে বিভিন্নভাবে যাত্রা করতে দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ইউসুফ পলাশ বলেন, “শুক্রবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটের পর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।” 

বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আশিকুর রহমান বলেন, “খুলনার মোংলা থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জগামী একটি মালবাহী ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা চুয়াডাঙ্গার উথলী এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে খুলনা-যশোর-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করায় রাত সোয়া ১১টার দিকে পূণরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে, এতে কোনো ট্রেনের সিডিউল বাতিল হয়নি। সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন হয়।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দায়ে ৩ জনের কারাদণ্ড 

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দায়ে র‌্যাবের হাতে আটক তিন ব্যক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাবের শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

রাকসু নির্বাচন: ২ হাজার পুলিশ, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র‍্যাব মোতায়ন

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বড় চর গ্রামের আব্দুন নূরের ছেলে সোহেল মিয়া (৩০), একই উপজেলার দাউদনগর গ্রামের সাঈদ আলীর ছেলে এনাম মিয়া (৩৪) এবং বানিয়াচং উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত জুনায়েদ সরদারের ছেলে মো. জলিল সরদার (৪০)।

র‌্যাব জানায়, গোপন খবর পেয়ে বুধবার ভোরে জংশনে অভিযান চালিয়ে ট্রেনের বিপুল সংখ্যক টিকিটসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাসের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রত্যেককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা করে মোট দেড় হাজার টাকা জরিমানা করেন। দুপুরে র‌্যাব তাদের হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠায়।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ