খুলনার সঙ্গে ৬ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
Published: 5th, July 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার উথলীতে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত ১১টা ১৫ মিনিটে দিকে লাইনচ্যুত বগিগুলো সরিয়ে নিলে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। উথলী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মিন্টু কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে উথলী রেলস্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে উদ্ধারকারী রিফিল ট্রেন দিয়ে উদ্ধারকাজ শেষ করে।
এদিকে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল সচল হলে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের কিছু যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
আবার অনেক যাত্রী বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। অসংখ্য যাত্রীকে বিভিন্নভাবে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ইউসুফ পলাশ বলেন, “শুক্রবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটের পর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।”
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আশিকুর রহমান বলেন, “খুলনার মোংলা থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জগামী একটি মালবাহী ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা চুয়াডাঙ্গার উথলী এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে খুলনা-যশোর-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করায় রাত সোয়া ১১টার দিকে পূণরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে, এতে কোনো ট্রেনের সিডিউল বাতিল হয়নি। সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন হয়।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন
পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন উপজেলা সদরের চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া ও অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়।
বিজিবি জানায়, সকালে খুনিয়াপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬৪-এর ১৯ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ১০ জনকে পুশইন করে ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ বিওপির সদস্যরা। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির শিংরোড বিওপি সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটকদের মধ্যে চারজন জন পুরুষ, তিনজন মহিলা ও তিনজন শিশু রয়েছে।
একই রাতে অমরখানা সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩-এর ৩ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে নারী, শিশুসহ ৫ জনকে পুশইন করে ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা। সকালে অমরখানা বিওপি সদস্যরা স্থানীয় বোর্ড বাজার এলাকায় তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান বিজিবি সদস্যরা। এদের মধ্যে দুই নারী, একজন পুরুষ ও দুইজন শিশু রয়েছে। আটকদের সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আটককৃতরা খুলনা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাদের মধ্যে খুনিয়াপাড়া সীমান্তে আটক ১০ জনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অমরখানা সীমান্তের আটক ৫ জনকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় বিজিবি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান, বিজিপি পক্ষ থেকে সীমান্তে পুশইন হওয়া ১০ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নিরাপদ আশ্রয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিক কিনা, এ বিষয়ে যাচাই বাছাই সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত দুই মাসে সাত দফায় নারী, শিশুসহ ১০১ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।