কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীর বনগ্রাম খেয়া ঘাট নিয়ে বিরোধের সমঝোতা বৈঠক চলাকালে ইজাদারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকালে উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম-সারুটিয়া খেয়া ঘাটের ইজারাদারের সাথে স্থানীয়দের একটি সমঝোতা বৈঠক শুরু হয়। এর কিছু সময় পর হঠাৎ করেই ঘাটের ইজারাদার মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার লোকদের উপর স্থানীয়রা হামলা করে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ইজারাদার ও তার লোকদের উপর চেয়ার দিয়ে হামলার দৃশ্য দেখা যায়। হামলায় ইজারাদার মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ভাই সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন আহত হন। 

আহতদের প্রথমে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে রাতেই আহত ফিরোজ হোসেনকে কুষ্টিয়া ট্রমা সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। 

রাত ৯টার দিকে মুঠোফোনে সাংবাদিক ফিরোজ হোসেনের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, তার ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় জেলা পরিষদ থেকে খোকসার বনগ্রাম ও ঝিনাইদহের সারুটিয়ার মধ্যকার খেয়া ঘাট ইজারা নেন। ইজারার শর্ত অনুয়ায়ী চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখে তারা ঘাটের দখল নিতে যায়। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসীরা তাদের ঘাট থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যস্থতায় শুক্রবার বিকালে স্থানীয়দের সাথে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে ঘাটের বর্তমান দখলদাররা তাদের উপর হামলা করে। 

তিনি আরও জানান, তার ভাই ঘাটের বৈধ ইজারাদার। তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সমঝোতা করার চেষ্টা করেন। ঘাটের দখল ও পরিচালনায় বাঁধা দিলে ঘাট পারাপার ব্যহত হবে। হামলায় তার বামহাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। প্রয়োজনে তিনি প্রশাসনের কাছে যাবেন। 

মধ্যস্থতাকারী বিএনপি নেতা আবু হেনা মোস্তফা সালাম লুলু বলেন, ‘বংশ পরম্পরায় প্রায় ২০০ বছর ধরে বর্তমান মাঝি (পাটনি) এলাকাবাসীদের ঘাট পারাপার করে আসছেন। এবারই প্রথম বাইরের ইজারাদার ঘাট নিয়েছে। এ ঘটনায় নদীর দুই পারের সাত গ্রামের মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়েছেন, শুক্রবার বৈঠকে ঘাটের ইজারাদার ও গ্রামবাসীর মধ্যে মধ্যস্থতার পর্যায়ে চলে এসেছিল। কিন্তু তখন নদী পারের কিছু লোক এই হামলার ঘটনা ঘটায়।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ইজ র দ র সমঝ ত র উপর

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলের ৭ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা 

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে টাঙ্গাইলে ৮টি আসনের মধ্যে ৭টিতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তবে, টাঙ্গাইল-৫ আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজার-১ আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী সালাহউদ্দিন

বিএনপির মনোনয়ন পেলেন নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী

প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে ওবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ারে) আসনে উপজেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আউয়াল লাভলু, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক  আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এবং টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।  

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীর সর্থকদের উল্লাস করতে দেখা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে সব আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রার্থী ছিল। এর মধ্যে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল ব্যাপক গণসংযোগে করেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের ধারণা ছিলো, টুকু ও ফরহাদের মধ্যে একজন টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন। 

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ