সেলিম আল দীনকে নিয়ে ভবিষ্যতে আমার চিন্তা প্রকাশ করব : সলিমুল্লাহ খান
Published: 21st, May 2025 GMT
ফেনী সাহিত্য সভার আয়োজনে প্রথমবারের মতো সেলিম আল দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫ পেয়েছেন লেখক, চিন্তক ড. সলিমুল্লাহ খান। মঙ্গলবার (২০ মে) বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় ফেনী শহরের ইস্টিশন রেস্টুরেন্টের কনভেনশন হলে ড. সলিমুল্লাহ খানকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখককে ক্রেস্ট, প্রশংসাপত্র ও ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। পরের পর্বে সলিমুল্লাহ খান প্রদান করেন একক বক্তৃতা; বিষয় ছিল—স্বাধীনতা, মনুষ্যত্ব, সম্মান : কাজী নজরুলের তিন উত্তরাধিকার।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ড.
তিনি বলেন, আজকের আয়োজনে উদ্যোক্তাদের আন্তরিকতায় আমি অভিভূত। আমি আপনাদের কাছে এইজন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেলিম আল দীনকে নিয়ে আমি ভেবেছি। সুযোগ হলে ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে আমার চিন্তা প্রকাশ করব।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে ফেনী সাহিত্য সভা কর্তৃক প্রথমবারের মতো ফেনী সাহিত্য সম্মেলনে অংশ নিতে না-পারায় গত মঙ্গলবার ফেনী এসে সলিমুল্লাহ খান পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ল ম আল দ ন প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজার থেকে হেঁটে এভারেস্ট জয় শাকিলের
অনন্য নজির গড়ে সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছেন ইকরামুল হাসান শাকিল। এত কম বয়সে এবং পদযাত্রার মাধ্যমে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট জয়ের নজির আগে আর কেউ দেখাতে পারেননি।
নেপালের স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তিনি চূড়ায় পৌঁছান বলে তার ফেসবুক পেইজে জানানো হয়।
শাকিলের এবারের অভিযান ছিল ‘সি টু সামিট’, যেখানে তিনি সবচেয়ে কম সময়ে এবং পদযাত্রায় সর্বোচ্চ পথ পাড়ি দিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। শাকিল এই রেকর্ড গড়েছেন সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে।
পর্বতারোহী শাকিল গত ৯ মার্চ ঢাকার গুলশানে সংবাদ সম্মেলন করে তার ‘সি টু সামিট’ যাত্রার বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেছিলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে পায়ে হেঁটে তিনি ৯০ দিনের মধ্যে সামিট জয়ের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছেন। ফেনী, কুমিল্লা ও মুন্সীগঞ্জের পথ ধরে তিনি তখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
যাত্রাপথে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ওপর দিয়ে প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তিনি এভারেস্টের ২৯ হাজার ৩১ ফুট উঁচু শিখরে আরোহণ করতে চান বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি ৯০ দিনের মধ্যে সামিট জয়ের লক্ষ্য ঠিক করলেও তা ৮৪ দিনেই সম্পন্ন করেছেন।
এ অভিযানের আয়োজক ছিল বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। ক্লাবটির সমন্বয়ক সাদিয়া সুলতানা শম্পা শাকিলে ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে জানান, শাকিল এভারেস্ট জয় করে ক্যাম্প ৪-এ ফিরে এসেছেন। সমুদ্র থেকে পদযাত্রা করে প্রায় ১৩শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দ্রুততম সময়ে শিখর স্পর্শ করেছেন। তবে যোগাযোগ সমস্যা থাকায় ঠিক কোন সময়ে শীর্ষে পৌঁছেছেন বা সঙ্গে কতজন ছিলেন-এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
পরে শাকিলের পেইজ থেকে আরেক পোস্টে জানানো হয়, পরিবেশ সচেতনতা, কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো এবং একক ব্যবহৃত প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাহসী পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল সম্পন্ন করলেন ২০২৫ এর অন্যতম দুঃসাহসিক অভিযান “সি টু সামিট এভারেস্ট অভিযান ২০২৫”।
পোস্টে আরও বলা হয়, এই অভিযানের মূল বিষয়বস্তু ছিল বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকতের সমুদ্র সমতল থেকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট শিখরে আরোহণ। ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইনানী সৈকত থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন শাকিল। এরপর ৬৪ দিনে প্রায় ১,৩৭৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পৌঁছান এভারেস্ট বেসক্যাম্পে। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় তিনি সাঁতরে পার হন খরস্রোতা যমুনা নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ।
সবশেষে আজ, ১৯ মে সকাল পৌনে ৭টায় শাকিল আরোহণ করেন মাউন্ট এভারেস্টের শিখর এবং সেখানে তুলে ধরেন বাংলাদেশের পতাকা।
এই অভিযানে শাকিলের সহযাত্রী হিসেবে আছে তাঁর বন্ধু, খ্যাতনামা শেরপা গাইড তাশি গ্যালজেন। তিনিও এক বিশ্ব রেকর্ডের পথে। একই মৌসুমে মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চারবার এভারেস্ট আরোহণের লক্ষ্য নিয়ে অভিযানে আছেন। ইতোমধ্যে তিনি সফলভাবে তৃতীয়বারের মতো শিখর আরোহণ করলেন।