ইউক্রেনের সেনা বিতাড়নের পর প্রথমবার কুরস্কে পুতিন
Published: 22nd, May 2025 GMT
রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত মাসে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের সেনাদের ওই অঞ্চল থেকে বিতাড়ন করার পর প্রথমবারের মতো তিনি সেখানে গেলেন। দুই দেশের মধ্যে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এটা ছিল রাশিয়ার অন্যতম সাফল্য।
গতকাল বুধবার ক্রেমলিন জানায়, পরিদর্শনকালে মঙ্গলবার পুতিন কুরস্কে স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি ওই অঞ্চলের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও পরিদর্শন করেছেন। আলজাজিরা জানায়, ২০২৪ সালের আগস্টে ইউক্রেনের বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ছিল প্রথম কোনো বিদেশি শক্তির রুশ ভূখণ্ড দখলের ঘটনা। ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে রাশিয়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছে। তবে এ সময় কুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা তাদের হাতছাড়া হয়।
আক্রমণের তুঙ্গে থাকাকালে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী কুরস্কের প্রায় ১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে। চলতি বছর পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করে রাশিয়া। গত এপ্রিলের শেষদিকে রাশিয়া বলেছিল, তারা অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের সেনাদের তাড়িয়ে দিয়েছে।
এ অবস্থায় ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী সুমি শহরে মঙ্গলবার বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, সেখানে একটি সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে রুশ হামলায় ইউক্রেনের অন্তত ছয় সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সেনাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র আঘাত হানে সিকান্দর ক্ষেপণাস্ত্র।
এদিকে মস্কো ও তেহরানের মধ্যে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি অনুমোদন করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এ চুক্তি নিবিড় প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় মিত্রতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান গত ১৭ জানুয়ারি এ কৌশলগত অংশীদারিত্বের দলিলে সই করেছিলেন।
এর আগে রাশিয়ার আইন পরিষদ এপ্রিলে চুক্তিটি অনুমোদন করে। রয়টার্স জানায়, এ চুক্তিতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে এতে সাধারণ সামরিক হুমকির বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার, সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতার উন্নয়ন ও যৌথ সামরিক অনুশীলনে অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র স ক রস ক
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে খামেনি
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক সংঘাত শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এসেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। গতকাল শনিবার তেহরানে ইমাম খোমেইনি মসজিদে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, খামেনি মসজিদে আসা ব্যক্তিদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। তিনি শীর্ষ ধর্মীয় নেতা মাহমুদ কারিমিকে ইরানি দেশাত্মবোধক গান ‘ও ইরান’ গাইতে উদ্বুদ্ধ করছিলেন।
সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত চলাকালে তাঁকে একটি রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল। তখন গুঞ্জন উঠেছিল, তিনি বাংকারে আত্মগোপনে আছেন। ওই সংঘাতে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল হঠাৎ করে ইরানের পরমাণু ও সেনাঘাঁটিতে হামলা করে। এরপর ইরানও পাল্টাহামলা চালায় ইসরায়েলের দিকে। ২২ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ১২৫টি সামরিক বিমান ব্যবহার করে তারা ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এ সংঘাত ১২ দিন ধরে চলেছে। ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ১২ দিনের এই সংঘাতে ৯ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনখামেনিকে একহাত নিলেন ট্রাম্প, ইরানে আবারও হামলার হুমকি২৮ জুন ২০২৫গতকাল খামেনির প্রকাশ্যে আসার বিষয়টি ছিল ইরানি সংবাদমাধ্যমের প্রধান খবর। তাঁর অনুসারীরা টেলিভিশনে তাঁকে দেখে আনন্দ প্রকাশ করছেন—এমন দৃশ্যও দেখা গেছে।
এর আগে ২৬ জুন প্রচারিত এক রেকর্ড করা ভাষণে খামেনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বান সত্ত্বেও ইরান ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
আরও পড়ুন সহযোগিতা স্থগিত করার পর ইরান ছাড়লেন আইএইএর পরিদর্শকেরা১৮ ঘণ্টা আগে