চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলী থানাধীন জেলেপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে থানা থেকে লুণ্ঠিত একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় সন্ত্রাসী সাইদুর রহমান মাসুম ওরফে ‘ব্লেড মাসুম’ (২৮)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের রাণী রাসমনি ঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির সময় ওই সন্ত্রাসীকে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলে দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ ধাওয়া করে তাকে ধরতে সক্ষম হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভুঁইয়া প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, রাণী রাসমনি ঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির সময় সন্ত্রাসী ব্লেড মাসুম পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে একটি চায়না সেমি-অটোমেটিক পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ব্লেড মাসুম স্বীকার করেন, ২০২৪ সালের আগস্টে থানায় হামলার সময় পিস্তলটি লুট করা হয়। পরে তিনি অস্ত্রটি সংগ্রহ করেন। এ অস্ত্র দিয়ে তিনি নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি করতেন।

আরো পড়ুন:

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা

কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু

ব্লেড মাসুম পাহাড়তলী থানার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাকী হোটেল সংলগ্ন কাজী অফিস এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতির অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

রাজউক সার্ভারে ঢুকে নকশা অনুমোদন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইসিপিএস সার্ভার হ্যাক করে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ মে নকশা অনুমোদন-সক্রান্ত ইসিপিএস সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে মাত্র ১৭ মিনিটে একটি ভবনের অনুমোদন পাশের ঘটনাটি নজরে আসে রাজউক কর্তৃপক্ষের। 
জলাভূমি ও হাইট রেস্ট্রিকশন থাকা ভূমিতে ১৫ তলাবিশিষ্ট ১৮৫ ইউনিটের এই সুউচ্চ ভবনটির নকশা সব বিধিকে পাশ কাটিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পাস করিয়ে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। পরে রাজউক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে প্রাথমিক তদন্তে একই উপায়ে আরও তিনটি ভবনের নকশা অনুমোদন শেষ পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় পায়। তৎক্ষণাৎ সার্ভারটি বন্ধ করে মতিঝিল থানায় সেদিনই একটি জিডি করা হয়।

পাস করা নকশার সূত্র ধরে রাবেয়া বারী নামক এক প্রকৌশলীর সন্ধান পায় রাজউক, যার স্বাক্ষর নকশাগুলোতে পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মতিঝিলের নীলনকশা নামের একটি কম্পিউটারের দোকান ও সেখানকার এক কর্মচারী স্বপনের নাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে গত ২২ মে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় মতিঝিলের নীলনকশা নামক দোকানটিতে। দোকানটির সঙ্গে অননুমোদিত নকশা অনুমোদনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে দোকানটির মালিক এনামুলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে রাজউকের নির্ধারিত ফি পরিশোধের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও দোকানের কয়েকটি কম্পিউটারে ওই অবৈধ ভবনগুলোর নকশা পাওয়া যায়। এতে দোকানের মালিক এনামুল ও কর্মচারী স্বপনের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান হয়। মোবাইল কোর্ট চলাকালে তাদের কাউকেই না পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মচারীদের পুলিশের আওতায় নেওয়া হয়।

রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, এমন সংবেদনশীল বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং তাঁর নির্দেশনায় ৬ জুন রাজউক বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ধারাসহ দণ্ডবিধির ধারায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন। 

তিনি বলেন, মামলার এজাহারনামীয় ২১ নম্বর আসামি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘নীলাভ নকশাঘর’ এর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ এজাহারনামীয় ২২ ও ২৩ নম্বর আসামি সজীব ও মুকুলকে পুলিশ মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ