কানাডা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য। দেশটির উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের বৃত্তি দেয়। দেশটির ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টাও বৃত্তি দিচ্ছে। এ বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে আবেদন করতে পারবেন। ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা কানাডার আলবার্টার এডমন্টনে অবস্থিত। পাবলিক গবেষণাভিত্তিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমন্টনে চারটি ক্যাম্পাস রয়েছে।

আরও পড়ুনতুরস্কে বিলকেন্ট ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, আইইএলটিএসে ৬.

৫ হলে আবেদন ০৮ মার্চ ২০২৫বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা

ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা বৃত্তিতে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা পারমিটসহ বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তির আর্থিক মূল্য ৯ হাজার ডলার। চার বছরের জন্য প্রযোজ্য এ বৃত্তি। এ ছাড়া গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড বৃত্তি, ডক্টরাল বৃত্তি, মাস্টার্স প্রবেশিকা বৃত্তিসহ একাধিক বৃত্তির সুযোগ আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

পড়াশোনার বিষয়গুলো

আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০টির বেশি স্নাতক ডিগ্রি, ৫০০টির বেশি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রাম অফার করে শিক্ষার্থীদের। এগুলো হলো নার্সিং, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস, মেডিসিন ও দন্তচিকিৎসা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, আলবার্টা স্কুল অব বিজনেস, কৃষি ও পরিবেশবিজ্ঞান।

আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে হাতখরচের অর্থ২৩ মার্চ ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

*স্নাতক ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট থাকতে হবে

*মাস্টার ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে

*পিএইচডি ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য মাস্টার ডিগ্রির সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।

ফাইল ছবি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট আলব র ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা সৌভাগ্যবান মুক্তির এই দিন দেখতে পেয়েছি: ফারুকী

জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন তিনি। গণ-অভ্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখেন। পরবর্তীতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান এই গুণী নির্মাতা।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে নিজের ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফারুকী।   

গতকাল দিবাগত রাতে এক স্ট্যাটাসে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “৩৬ জুলাইয়ের চাঁদরাত পার হয়ে কালকে আমরা প্রবেশ করব ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার’ সেই দিনে। আমরা সৌভাগ্যবান মুক্তির এই দিনটা দেখতে পেয়েছি। কতভাবেই তো মানুষ চলে যায়। করোনা-হাসিনা পার হয়ে যে এই দিনটা দেখলাম—এটা সৌভাগ্যই বটে।”

আরো পড়ুন:

‘এত বড় আন্দোলনের সঙ্গে থাকতে পারাটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বন্ধ থাকবে স্টার সিনেপ্লেক্স

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদে শ্রদ্ধা জানিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “মনে পড়ছে বাংলাদেশের সাহসী মা-বাবা আর তাদের সন্তানদের। যারা দেশকে মুক্ত করে নিজেরা চলে গেছেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা। আমাদের জীবদ্দশায় এর চেয়ে বড় কিছু আমরা দেখি নাই। আলহামদুলিল্লাহ। কালকে দেখা হবে মানিক মিয়া এভিনিউতে।”

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তাতে তিনি বলেন, “রিকশা চালকরা চিৎকার করে বলছে, ‘দেশ স্বাধীন হইছে।’ তরুণরা বলছে, ‘আমাদের বিজয় দিবস।’ শত শত মানুষ বলছে, ‘স্বাধীন হইলাম।’ হাসিনা পালানোর পর পথে পথে ঘুরে মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করেছেন শাকুর মজিদ। ভিডিও দেখার লিংক কমেন্টে।”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আচ্ছা, এই মানুষদের তো কেউ শিখাইয়া দেয় নাই; তাহলে তারা কি করে বুঝলো তারা পরাধীন? কি করে বুঝলো তারা স্বাধীন? তারা যেটা বুঝলো, কতিপয় পিএইচডিওয়ালারা বুঝতে পারল না কেন? তাদের পিএইচডি মন ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বুঝতে পারছে না কেন?”

পরামর্শ দিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “মাস্টার মশাই, থিওরি নয়, কান পাতেন গিয়ে ওই দিনের উচ্ছ্বসিত মানুষদের বুকে। দেখবেন গুম-খুন-নিজ দেশে পরাধীন থাকার অপমানের বিরুদ্ধে জিকির হচ্ছিল তাদের বুকে। আর স্পন্দিত হচ্ছিল আবরার ফাহাদ। এই একটা নামের দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে গেছে ফ‍্যাসিবাদ আর আগ্রাসনবাদ।”

“আজকের এই দিনটা শুরু করেছি ‘ইউ ফেইলড টু কিল আবরার ফাহাদ’ দেখে। আজকে সারাদিন মানিক মিয়াতে আমাদের সাথে আবরার ফাহাদ থাকবে, হাজার শহীদেরা থাকবে। আর থাকবে জালেমমুক্ত হওয়ার আনন্দ। শোনো মহাজন, আমরা অনেকজন।” বলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমরা সৌভাগ্যবান মুক্তির এই দিন দেখতে পেয়েছি: ফারুকী