শার্ট ও ক্যাপ পরিয়ে বান্ধবীকে হলে নিয়ে রাত্রিযাপন রাবি ছাত্রের
Published: 21st, June 2025 GMT
শার্ট ও ক্যাপ পরিয়ে বান্ধবীকে হলে নিয়ে রাত্রিযাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিববুর রহমান হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী।
গত ৪ জুন হলের ১৫৩ নম্বর কক্ষে বান্ধবীকে নিয়ে রাত কাটান মো. নাজমুল ইসলাম। ঘটনাটি নিয়ে কয়েকদিন কানাঘোষা হচ্ছিল। হল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিষয়টি আলোচনা উঠে এসেছে।
আরো পড়ুন:
নতুন বাজারে সড়ক অবরোধ করে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
গোবিপ্রবির হলে হলে ফ্যান, খুশি শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম; তার বাড়ি মাদারীপুর।
নাজমুলের বান্ধবীও একই বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী দুজন ছাত্রের ভাষ্য, তারা ৪ জুন ভোরে বাড়ি ফেরার জন্য সবকিছু গুছিয়ে হলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে একটা ছেলে সাইকেল চালিয়ে তাদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। তার সাইকেলের পেছনে একটি মেয়ে বসা ছিল, মেয়েটির গায়ে স্কুলের শার্ট আর মাথায় ক্যাপ ছিল।
তারা বলেন, বিষয়টি তাদের চোখে অস্বাভাবিক ঠেকায় তারা তাকে ধরার চেষ্টা করেন কিন্তু সাইকেলের গতি এত বেশি ছিল যে পিছু নিলেও ধরতে পারেননি। এমনকি দারোয়ানও তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম নারী শিক্ষার্থীকে হলের রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “গত তিন তারিখে (৩ জুন) আমার জন্মদিন ছিল। সেদিন কেক কেটে রাত হয়ে যায়। এদিকে ওর (সাদিয়া) মেস থেকে তিন তারিখের মধ্যে চলে যেতে বলে। ও মেসে যেতে পারবে না বলে আমাকে অনুরোধ করে রাখার জন্য। পরে আমি ওকে রাতে হলে নিয়ে আসি।”
“মূলত আমি ওকে শেল্টার দেওয়ার জন্য রাখি। পরে সকালে চলে যায়। তখন কেউ হয়তো আমাদের দেখে। এ বিষয়ে প্রোভোস্ট স্যার আমাকে ডেকেছিল। আমি তাকে বিষয়টি খুলে বলি। তিনি আমাকে হল থেকে বহিষ্কার করেন। বিষয়টি জানাজানি হবে না বলে আমাকে জানান প্রক্টর স্যার,” যোগ করেন নাজমুল।
নাজমুল ইসলাম।
হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছন, হলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাদের দৃষ্টিতে এটি একটি ভয়াবহ অপরাধ, এত বড় সাহস হয় কীভাবে?
তারা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এবং ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে হলের শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষ, গেটম্যান ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি রেখে বলেছেন, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন গর্হিত কাজ কীভাবে ঘটল, তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে।
হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড.
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, “এটা অবশ্যই সাংঘাতিক একটি ঘটনা। এমন ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, সেটা অনেক বড় অপরাধ। আমরা খোঁজ নিব, বিষয়টি সত্যি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হল র ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি: এবার আড়াই ফুট করে খুলে দেওয়া হলো গেট
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় বৃষ্টিপাতের কারণে হ্রদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট আড়াই ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর দেড়টা থেকে দেড় ফুট থেকে বাড়িয়ে আড়াই ফুট করা হয়।
এতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, “হ্রদের পানি ১০৮ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) অতিক্রম করার পর বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় দুই দফায় দেড় ফুট পর্যন্ত গেট খুলে দেয়ার পরও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সকাল ১১টায় হ্রদের পানির স্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮.৭৬এমএসএল।”
তিনি আরও বলেন, “পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএলের একেবারেই কাছাকাছি চলে আসায় ঝুঁকি এড়াতে গেট আড়াই ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে তাতে জনসাধারণের আতঙ্ক হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি ৩ ফুট পর্যন্ত গেট খুললেও বন্যার আশঙ্কা নেই, তবে এর বেশি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন তিন ফুটের বেশি যেন খুলতে না হয়।”
ব্যবস্থাপক জানান, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের (জলকপাট) গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।
ঢাকা/শংকর/এস