কুদস ফোর্সের কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
Published: 21st, June 2025 GMT
ইরানি কুদস ফোর্সের ‘প্যালেস্টানিয়ান কর্পস’–এর কমান্ডার সাঈদ ইজাদিকে হত্যার দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। খবর আল–জাজিরার
শনিবার সকালে চালানো হামলায় কোম শহরে একটি আবাসিক ভবনে ইজাদি নিহত হয়েছেন বলে জানান কাৎজ।
কমান্ডার ইজাদিকে হত্যার কথা নিশ্চিত করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ব্যক্তি ৭ অক্টোবরের ‘হত্যাযজ্ঞের আগে হামাসকে অর্থ ও অস্ত্রের’ জোগান দিয়েছিলেন।
ইসরায়েল কাৎজ আরও বলেন, ‘ইজাদিকে হত্যা ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও বিমান বাহিনীর জন্য বড় অর্জন। হত্যার শিকার ও জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের জন্য এটি সুবিচার। ইসরায়েলের লম্বা হাত তার সব শত্রুর কাছে পৌঁছাবে।’
এর আগে আল–জাজিরা জানায়, তেহরান থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল) দক্ষিণের কোম শহরের আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৬ বছর বয়সের এক কিশোর নিহত হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে, এই দুজন একই হামলায়, নাকি পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সের ব্যাটিং ঝলক আর বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়
ডাবলিনের মালাহাইড ভিলেজে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের নায়ক জর্ডান কক্স করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে লিয়াম ডসন, জেমি ওভারটন ও আদিল রশিদের বোলিং জাদুতেই ধরা খেল স্বাগতিকরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন গ্যারেথ ডেলানি। শেষদিকে তার ঝড়ো ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় দল। ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর ৩টি বিশাল ছক্কা। ওপেনার রস অ্যাডায়ার ২৩ বলে ৩৩ এবং তিন নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন। তবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে দ্রুত ফেরান ডসন। পরে টেক্টরকেও আউট করে ২ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগার দাঁড় করান তিনি।
আরো পড়ুন:
ভারতকে ১৭২ রানের টার্গেট ছুড়ল পাকিস্তান
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ভারত
জেমি ওভারটন তার চার ওভারে লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডের মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন। সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ইনিংসের শেষভাগে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৯ রানে ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই সিনিয়র ব্যাটার জস বাটলারকে শূন্য রানে ফেরান ব্যারি ম্যাককার্থি। অধিনায়ক জেকব বেথেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেন মাত্র ১৫ রান।
তবে একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালান ফিল সল্ট। ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসে দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েন কক্সের সঙ্গে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। কক্স খেলেন ৩৭ বলে ৫৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। যেখানে ছিল নিয়ন্ত্রিত শটের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত বেন হোয়াইট তাকে বোল্ড করলেও তখন জয় প্রায় নিশ্চিত।
বাকি কাজটা সেরে দেন টম ব্যান্টন ও রেহান আহমেদ। ব্যান্টনের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ১৭.১ ওভারেই ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড।
ঢাকা/আমিনুল