‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতিসহ ৪ দফা দাবিতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে শতাধিক প্রবাসী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। 

 ‘জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, জেলফেরত প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা’ ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। 

রবিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে পরীবাগ মোড়ে প্রবাসীরা জড়ো হয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা দেন। তবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রাজসিক মোড়ে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এ কারণে শাহবাগ ও বাংলামোটর সংযোগ সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে ফেরত আসা প্রবাসীদের পুনর্বাসন ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানানো হলেও কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে আমিরাতের কারাগার থেকে ১৮৯ জন প্রবাসী দেশে ফিরলেও একই মামলায় এখনো ২৫ জন প্রবাসী আবুধাবির আল সদর কারাগারে আটক আছেন। এছাড়া সিআইডির হেফাজতে রয়েছেন আরও শতাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী।

আন্দোলনকারী প্রবাসীদের চার দফা দাবি:

১.

 বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আটক ২৫ জনসহ আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে আটক সকল প্রবাসীর দ্রুত মুক্তি।

২.  দেশে ফেরত আসা প্রবাসীদের  ‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি।

৩.  ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন।

৪.  একই মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীদের রাষ্ট্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্তি।

ঢাকা/এমআর/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ১১ লাখ ৯০ হাজার মানুষের

প্রতি বছরে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ নিহত হয়। তাদের মধ্যে ৯২ শতাংশ মৃত্যু হয় নিম্ন ও মধ্যেম আয়ের দেশে এবং মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি পথচারী, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহী।

রেববার রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন সকলের জন্য প্রয়োজন' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান।

উপস্থাপনায় শারমিন রহমান জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনাকবলিত ১৮৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬তম। সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও তার সঠিক প্রয়োগ ব্যতীত দেশে রোডক্র্যাশ কমানো বা রোধ করা সম্ভব নয়। সবার জন্য প্রয়োজন একটি সমন্বিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।

সভায় সাংবাদিক শুভ্র দেবের সঞ্চালনায় নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক জামিউল আহ্ছান শিপু ও সাংবাদিক ইমন রহমান।

এ সময় আলোচকরা বলেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং এর বিধিমালা মূলত সড়ক পরিবহন খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত কিন্তু সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এসব যথেষ্ট নয়। সড়ক অবকাঠামো ও যানবাহনের নিরাপত্তা, সড়ক ব্যবহারকরীর নিরাপত্তা, দুর্ঘটনার পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এতে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। সুতরাং সড়কে সব ধরনের সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য পৃথক 'সড়ক নিরাপত্তা আইন' প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ও সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ মূলত পরিবহন সংক্রান্ত আইন। রোডক্র্যাশ কমাতে এই আইন ও বিধিমালা যথেষ্ট নয়। এ জন্যই জাতিসংঘ প্রস্তাবিত বর্ণিত ৫টি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়ন জরুরি।

জাতিসংঘের প্রস্তাবের মধ্যে– বহুমুখী যানবাহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা; নিরাপদ যানবাহন; নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো; নিরাপদ সড়ক ব্যবহার এবং রোডক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ করণ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ