শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ দিনের রিমান্ডে ২ যুবক
Published: 23rd, June 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দুই শিক্ষার্থীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক হারুন রশিদ এ আদেশ দেন। রিমান্ড শুনানিকালে দুই আসামি আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক।
এর আগে, রবিবার (২২ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ শামছুল হাবিব আসামিদের পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন:
প্রকৃতির আলোয় সিলেটের ‘বনলতা’
জলাবদ্ধতা নিরসনে সিসিকের কন্ট্রোল রুম চালু
ঈদের পূর্বে সিলেটের রিকাবীবাজারে একটি কনসার্টে যাওয়ার পূর্বে অচেতন করে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন, ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ।
শুধু যৌন নির্যাতন নয়, ঘটনার ভিডিও ধারণ করে নিয়মিত অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে ব্লাকমেইল করছিল বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ১৯ জুন রাতেই দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ২০ জুন সিলেট কোতোয়ালী থানায় আটক দুইজন ও অজ্ঞাতসহ পাঁচজনের বিরূদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
ঢাকা/নুর/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৃদ্ধের পোড়া লাশ উদ্ধার: হত্যার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার, ছেলে পলাতক
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি কলাবাগান থেকে গত মঙ্গলবার রাতে ছামছুর আলী খলিফা (৬০) নামের এক বৃদ্ধের পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার পর হত্যার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তির বাড়ি থেকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর আলামত জব্দের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল বুধবার নিহত ছামছুরের ছোট ভাই মুজাহিদ খলিফা বাদী হয়ে তাঁর ভাতিজা মো. রাসেল খলিফা ও ভাবি মোছা. রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর বৃদ্ধের ছেলে রাসেল খলিফা আত্মগোপনে আছেন।
নিহত ছামছুর আলী খলিফার বাড়ি পাশের নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী গ্রামে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দূরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া-বটতলী এলাকার একটি কলাবাগানে বস্তা ভরা তাঁর দগ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ছামছুর আলীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার বৃদ্ধ ছামছুর আলী ও তাঁর ছেলে বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ ওই দিন রাতে আক্কেলপুরে কলাবাগানে পোড়া লাশ উদ্ধারের পর বৃদ্ধের ছেলেকে ফোন করে। তখন তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার নগরকুসুম্বি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাসেল খলিফা পুলিশকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা বলার পর ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান। পরদিন পুলিশের একটি দল নিহত ব্যক্তির বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির আঙিনায় একটি মাটির পাতিলের ভেতরে বৃদ্ধের মুঠোফোন ও লাশ পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত গোবরের লাকড়ি জব্দ করে। পরে লাশ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাসেল খলিফার অটোরিকশাটিও জব্দ করা হয়। তবে এখনো রাসেল খলিফার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
মামলার বাদী মুজাহিদ খলিফা বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে আমার বড় ভাই ছামছুর খলিফাকে তাঁর ছেলে রাসেল খলিফা হত্যা করেছে। লাশ গুম করতে কলাবাগানে আমার ভাইয়ের মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি।’
জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জিন্নাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত পেয়েছি। মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।’