রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সিরামিক অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএমই) বিভাগে নিজেদের ব্যাচকে নতুন পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সিরিজের শিক্ষার্থীরা।

এ দাবিতে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভাগের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, চাকরিক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য গত জানুয়ারিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ওঠে। পরে ১০৭তম সিন্ডিকেটে বিষয়টি পাস হয়। মে মাসের শুরুতে বিভাগটির নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম পরিবর্তনের সময় চলতি ২০২৪ সিরিজের শিক্ষার্থীদেরসহ পরে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা বিভাগের নতুন নামের সঙ্গে তাঁদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাবেন বলে জানানো হয়। কিন্তু চলমান আরও তিনটি সিরিজের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পাননি। তাঁরাও নতুন বিভাগের নামে পরিচিত হতে চান।

এ বিষয়ে জিসিই (বর্তমানে সিএমই) বিভাগের ২০২১ সিরিজের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব বলেন, চাকরি ও উচ্চ শিক্ষায় সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাঁদের বিভাগের নাম ও পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু এটি ২০২৪ সিরিজসহ পরবর্তী সিরিজের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। এতে চলমান আরও কয়েকটি সিরিজের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভাগের নাম পরিবর্তন হওয়ার পর বিষয়টি তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ডিন ও বিভাগীয় প্রধানকে জানিয়েছেন। কিন্তু আশ্বাস পেলেও সেভাবে কাজ ত্বরান্বিত হচ্ছে না। তাঁরা চান, দ্রুত তাঁদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পর্যন্ত ক্লাস–পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।

সিএমই বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বদিউল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না তা বিভাগ দেখে না। এটা একাডেমিক কাউন্সিল দেখে। বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তবে এটি অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত পেতে সময় লাগবে, বিষয়টি বুঝতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স এমই ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রেই: মঈন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, “সুদীর্ঘ ১৫ বছরের আপসহীন সংগ্রামের ফসল–২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রেই।”

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘৭ নভেম্বর প্রজন্ম’ আয়োজনে ড. মারুফ মল্লিকের লেখা ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ : নাগরিক ও জাতিবাদী জাতীয়তাবাদের সংকট’ শীর্ষক বইয়ের ওপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

পাথর চুরির ঘটনায় জামায়াত নেতার নামও এসেছে : রিজভী 

‘নির্বাহী আদেশে নয়, আ.লীগ আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে’

এ সময় তিনি বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পর বিএনপির ঝান্ডা হাতে নেন তারেক রহমান। তার সুদীর্ঘ সময়ের নেতৃত্বে দেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সংঘটিত হয়েছে; যার চরম পরিণতিতে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশকে একটি নতুন যাত্রায় পরিচালিত করেছে।”

আবদুল মঈন খান বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ‘নেপথ্যের একজন কুশীলব’। তিনি (তারেক রহমান) তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবদান রেখেছিলেন, যাতে করে ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান ত্বরান্বিত হয়েছিল এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।”

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, “বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর বলপূর্বক বাঙালি জাতীয়তাবাদ আরোপ করে তাদের মৌলিক সত্তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে উদ্যত হয়েছিল ’৭৫-পূর্ববর্তী সরকার। সে মুহূর্তে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অবতীর্ণ হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তী সময় বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারাটির অবতারণা করে বাংলাদেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষকে একই সুতায় প্রোথিত করেন তিনি। বিশ্বের বুকে একটি উদার গণতান্ত্রিক সম্মানশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এখানেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে এক অনবদ্য অ্যাপ্রোচ, সেটা আমাকে উল্লেখ করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, যা একটি ফুলের মালার সমারোহ। যে মালার একেকটি ফুল হলো বাঙালি, চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, ভিল, কোল, মুন্ডা ইত্যাদি। আমাদের বুঝতে হবে, কেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন করেছিলেন। সবাইকে একটি ফুলের মালায় তিনি গ্রোথিত করেছিলেন, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন ফুল থাকবে। কিন্তু যখন বাংলাদেশের প্রশ্ন আসবে, তখন সেটি হবে একটি ফুলের মালা।”

আলোচনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উড়োজাহাজের চাকার বক্সে ঢুকে কাবুল থেকে দিল্লিতে আফগান কিশোর
  • অক্টোবরে সন্তানের জন্ম দেবেন ক্যাটরিনা?
  • শোকজের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করার দাবি ইবি অধ্যাপকের
  • বিরল রোগ: চোখের সামনে সন্তান অচল হয়ে পড়লেও কিছু করার থাকে না মা–বাবার
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক জহুরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ
  • ইবির আইন বিভাগের শিক্ষককে চাকরিচ্যুত
  • গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রেই: মঈন
  • ‘বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে না দিলে দেখবেন, আমি কী করি’, তালেবানকে হুমকি ট্রাম্পের
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা, ফরম পূরণের সময় বাড়ল ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
  • রাকসু নির্বাচনে এক বিভাগ থেকেই ভিপিসহ ২২ প্রার্থী