রুয়েটে সিএমই বিভাগের তিন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির দাবি
Published: 24th, June 2025 GMT
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সিরামিক অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএমই) বিভাগে নিজেদের ব্যাচকে নতুন পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সিরিজের শিক্ষার্থীরা।
এ দাবিতে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভাগের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, চাকরিক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য গত জানুয়ারিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ওঠে। পরে ১০৭তম সিন্ডিকেটে বিষয়টি পাস হয়। মে মাসের শুরুতে বিভাগটির নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম পরিবর্তনের সময় চলতি ২০২৪ সিরিজের শিক্ষার্থীদেরসহ পরে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা বিভাগের নতুন নামের সঙ্গে তাঁদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাবেন বলে জানানো হয়। কিন্তু চলমান আরও তিনটি সিরিজের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পাননি। তাঁরাও নতুন বিভাগের নামে পরিচিত হতে চান।
এ বিষয়ে জিসিই (বর্তমানে সিএমই) বিভাগের ২০২১ সিরিজের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব বলেন, চাকরি ও উচ্চ শিক্ষায় সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাঁদের বিভাগের নাম ও পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু এটি ২০২৪ সিরিজসহ পরবর্তী সিরিজের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। এতে চলমান আরও কয়েকটি সিরিজের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভাগের নাম পরিবর্তন হওয়ার পর বিষয়টি তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ডিন ও বিভাগীয় প্রধানকে জানিয়েছেন। কিন্তু আশ্বাস পেলেও সেভাবে কাজ ত্বরান্বিত হচ্ছে না। তাঁরা চান, দ্রুত তাঁদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পর্যন্ত ক্লাস–পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।
সিএমই বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বদিউল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না তা বিভাগ দেখে না। এটা একাডেমিক কাউন্সিল দেখে। বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তবে এটি অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত পেতে সময় লাগবে, বিষয়টি বুঝতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে বিতর্ক ও নাট্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার পক্ষ থেকে মাসব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেল ৪টায় আলী আহম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সরাসরি নাটক প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ সরকার, আহবায়ক, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা, নিগার সুলতানা পলি, শিক্ষক ও সহসভাপতি, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, নারায়ণগঞ্জ, ধীমান সাহা জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসিমা সরদার। প্রতিযোগিতায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন, যারা উৎসাহ ও মনোনিবেশের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন। বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান ছিল ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের এক গৌরবময় অধ্যায়।
সেই অভ্যুত্থান সামরিক-ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এক সাহসী ঘোষণা। তারা বলেন, শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন আনাই আজকের দিনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে সমাজ সচেতন, মানবিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তার ধারক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সৃজনশীল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে আয়োজকরা জানান।
সমাপনী অনুষ্ঠান: মাসব্যাপী এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে ৭ আগস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, বিকাল ৪:০০টা: আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ, সন্ধ্যা ৬:০০টা: সাংস্কৃতিক পরিবেশনা বিভিন্ন শ্রেণি ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, কুইজ, রচনা, গ্রাফিক্স প্রদর্শনীসহ নানা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার পক্ষ থেকে সকলকে আগামীকালের সমাপনী অনুষ্ঠান ও বিজয়ী সংবর্ধনায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।