ইরানে সাম্প্রতিক হামলায় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের নিশানা করার পেছনে বহু বছর ধরে গড়ে তোলা গোয়েন্দা পরিকল্পনা ছিল, এমনটাই জানাচ্ছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো।

ইসরায়েলের হামলায় ইরানের প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর বড় অংশ ধ্বংস হয়েছে ও বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসবের নেপথ্যে রয়েছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। সংস্থাটির দাবি, তারা ইরানের নিরাপত্তা কাঠামোর বড় অংশেই অনুপ্রবেশ করতে পেরেছে।

ইরানের ভেতরে অনেককে মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা, ইসরায়েলের পক্ষে প্রচারণা চালানো কিংবা জনমতকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কয়েক দিন আগে ইরান সরকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা টিমকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ইন্টারনেট-সংযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার না করে; যাতে ইসরায়েলি হ্যাকিং থেকে গোপন তথ্য রক্ষা করা যায়। ইতিমধ্যে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা জনগণকে অনুরোধ করেছে, গত কয়েক বছরে তাঁরা কোনো ভবন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকলে, সে সম্পর্কে যেন কর্তৃপক্ষকে জানান।

মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইরানে এ ধরপাকড় শুরু হয়েছে ইসরায়েলের নজিরবিহীন গোয়েন্দা অভিযানের জের ধরে। তাদের এ গোয়েন্দা অভিযানের ফলেই ইরানে বেছে বেছে ইসরায়েল হামলা করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কয়েক দিন আগে ইরান সরকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা টিমকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ইন্টারনেট-সংযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার না করে; যাতে ইসরায়েলি হ্যাকিং থেকে গোপন তথ্য রক্ষা করা যায়। ইতিমধ্যে, ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা জনগণকে অনুরোধ করেছে, গত কয়েক বছরে তাঁরা কোনো ভবন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকলে, সে সম্পর্কে যেন কর্তৃপক্ষকে জানান।

ইরানে হামলায় মোসাদের ভূমিকা কতটা

ইরানে ইসরায়েলের হামলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মোসাদের গোয়েন্দারা। হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বন্যার মতো ছড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা তৎপরতার নানা বিবরণ।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, কীভাবে মানব গোয়েন্দা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একসঙ্গে ব্যবহার করে আঘাত হানা হয়েছে, যার ফলে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

হামলার কয়েক দিন পর ১৭ জুন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর ১০ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত একটি অ্যাম্বুলেন্সের পাশে ইরানের পতাকা ধরে আছেন এক ব্যক্তি। তেহরান, ইরান, ২৩ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন এক হাতে লড়াই করেছেন বদরুদ্দীন উমর

প্রয়াত বামপন্থী রাজনীতিক ও তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর শাসকশ্রেণির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন লেখনীর মাধ্যমে এক হাতে লড়াই করে গেছেন। শাসকশ্রেণির নির্মিত ইতিহাসে মিথ্যার মূর্তি ভেঙে দিয়েছেন। অতীতের গণসংগ্রামের নায়ক হিসেবে জনগণকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

পিকআপ ভ্যান শ্রমিক ঐক্য আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদরুদ্দীন উমর মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।

শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ আলমগীর স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাধারণ সম্পাদক শফী রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের রফিক আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায় ও ঢাকা অঞ্চলের সম্পাদক মো বুরহান। স্মরণসভার শুরুতে প্রয়াত বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

স্মরণসভায় ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘কমরেড বদরুদ্দীন উমর শাসকশ্রেণির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন লেখনীর মাধ্যমে এক হাতে লড়াই করে গেছেন। অতীতের গণসংগ্রামের নায়ক হিসেবে জনগণকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’

শফী রহমান বলেন, বড়লোকশ্রেণির শাসনকাঠামো উচ্ছেদ করে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনা এবং সামাজিক মালিকানা কায়েমের লক্ষ্যে বদরুদ্দীন উমর আজীবন কাজ করে গেছেন।

রফিক আহমেদ বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার উচ্ছেদ হয়ে গেলেও শ্রমজীবী জনগণের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন এক হাতে লড়াই করেছেন বদরুদ্দীন উমর
  • ৫২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মামলা হচ্ছে ৬ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে