ইরানের ভেতর ইসরায়েলের গোয়েন্দা তৎপরতার জাল কতটা বিস্তৃত
Published: 24th, June 2025 GMT
ইরানে সাম্প্রতিক হামলায় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের নিশানা করার পেছনে বহু বছর ধরে গড়ে তোলা গোয়েন্দা পরিকল্পনা ছিল, এমনটাই জানাচ্ছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর বড় অংশ ধ্বংস হয়েছে ও বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসবের নেপথ্যে রয়েছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। সংস্থাটির দাবি, তারা ইরানের নিরাপত্তা কাঠামোর বড় অংশেই অনুপ্রবেশ করতে পেরেছে।
ইরানের ভেতরে অনেককে মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা, ইসরায়েলের পক্ষে প্রচারণা চালানো কিংবা জনমতকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কয়েক দিন আগে ইরান সরকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা টিমকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ইন্টারনেট-সংযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার না করে; যাতে ইসরায়েলি হ্যাকিং থেকে গোপন তথ্য রক্ষা করা যায়। ইতিমধ্যে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা জনগণকে অনুরোধ করেছে, গত কয়েক বছরে তাঁরা কোনো ভবন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকলে, সে সম্পর্কে যেন কর্তৃপক্ষকে জানান।
মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইরানে এ ধরপাকড় শুরু হয়েছে ইসরায়েলের নজিরবিহীন গোয়েন্দা অভিযানের জের ধরে। তাদের এ গোয়েন্দা অভিযানের ফলেই ইরানে বেছে বেছে ইসরায়েল হামলা করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কয়েক দিন আগে ইরান সরকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা টিমকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ইন্টারনেট-সংযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার না করে; যাতে ইসরায়েলি হ্যাকিং থেকে গোপন তথ্য রক্ষা করা যায়। ইতিমধ্যে, ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা জনগণকে অনুরোধ করেছে, গত কয়েক বছরে তাঁরা কোনো ভবন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকলে, সে সম্পর্কে যেন কর্তৃপক্ষকে জানান।ইরানে হামলায় মোসাদের ভূমিকা কতটা
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মোসাদের গোয়েন্দারা। হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বন্যার মতো ছড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা তৎপরতার নানা বিবরণ।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, কীভাবে মানব গোয়েন্দা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একসঙ্গে ব্যবহার করে আঘাত হানা হয়েছে, যার ফলে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
হামলার কয়েক দিন পর ১৭ জুন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর ১০ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত একটি অ্যাম্বুলেন্সের পাশে ইরানের পতাকা ধরে আছেন এক ব্যক্তি। তেহরান, ইরান, ২৩ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা, মানুষের ভোগান্তি
ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের চত্বরে দলিল লেখক কল্যাণ সমবায় সমিতির স্থাপনাকে কেন্দ্র করে মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে জেলা দলিল লেখক সমিতির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকালে নিজ কার্যালয়ে এমন অভিযোগ করেন জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন। কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা দেয়ার ফলে সেবা নিতে মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
সরেজমিন দেখা যায়, রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের বাইরে কাঠ দিয়ে ছাউনি নির্মাণের কাজ করাচ্ছেন দলিল লেখক সমিতির লোকেরা। কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলছে। যার ফলে কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে কেউ কাজ করতে পারছে না। সেবা নিতে এসে সাধারণ মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
আরো পড়ুন:
স্কাউটিংয়ের অভিজ্ঞতায় ভবিষ্যতের পৃথিবী রচনায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ল
রেজিস্ট্রার অফিসে সেবা নিতে আসা ওমর ফারুক, তানভীর, হাসানসহ বেশ কয়েকজন জানান, দুপুরে দলিল লেখকের লোকেরা তালা মেরে দিয়েছেন। তাদের নিজেদের ঝামেলা, আর সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
দলিল লেখক সমিতির লোকেরা অনেক দিন ধরে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের চত্বরে টেবিল-চেয়ার পেতে তাদের কাজ করে আসছেন। তারা জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে রোদ-বৃষ্টিতে তাদের কাজ করতে সমস্যার কথা বলেন। জেলা রেজিস্ট্রার তাদের কার্যালয়ের হলরুম ব্যবহার করার কথা বলেন।
ঠাকুরগাঁও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘‘প্রায় ৪ বছর ধরে নির্দিষ্ট জায়গার জন্য আমরা লড়াই করছি। যেখানে সরকারের রাজস্ব আদায়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখি, সেখানে কেউ আমাদের কথা শুনছেন না। কর্মকর্তাদের অনুমতিতে আমরা ওই জায়গায় বসা শুরু করেছিলাম। এখন বর্ষাকাল হওয়ার কারণে বৃষ্টি ও রোদ থেকে বাঁচতে অস্থায়ী ছাউনি দিচ্ছিলাম। কিন্তু জেলা রেজিস্ট্রার এই কাজে বাধা দেন।’’
ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সকালে দলিল লেখক সমিতির লোকেরা আমার অফিসের সামনে দখল করে কিছু পিলায় লাগিয়ে দেয়। সেই সময় তারা কিছু গাছ তুলে ফেলে। তাদের চাওয়া আমার অফিসের সামনে ঘর বানিয়ে বসার স্থান করবে। আমি তাদের বারণ করায় তারা আমাকে ও আমার অন্য কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে থাকে। এরপর কোনো কারণ ছাড়া তারা আমাদের অফিসে এসে সাধারণ জনগণকে হুমকি দেন যাতে কেউ দলিল না করেন। এক পর্যায়ে জনগণকে বের করে কার্যালয়ে মূল ফটকে তালা মেরে দেয়। আমাদের অবরুদ্ধ করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এরপর সাধারণ মানুষ রুখে দাঁড়ালে তারা তালা খুলে দেয়।’’
ঢাকা/হিমেল/বকুল