বেফাঁস মন্তব্য, এবার সুর বদল করলেন কাজল
Published: 24th, June 2025 GMT
কাজল তাঁর নতুন হরর সিনেমা ‘মা’-এর প্রচারের সময় আলটপকা মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন। অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে এটিকে ‘ভুতুড়ে জায়গা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, বলাই বাহুল্য তাঁর এই কথা অনেকেরই ভালো লাগেনি। সমালোচনার পর কাজল তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে নতুন একটি পোস্টে সুর বদল করেন।
কাজলের বক্তব্য
নতুন বিবৃতিতে কাজল বলেন, ‘আমার ছবি “মা”-এর প্রচারের সময় রামোজি ফিল্ম সিটি নিয়ে আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করতে চাই। আমি রামোজি ফিল্ম সিটিতে একাধিক প্রকল্পের শুটিং করেছি এবং বছরের পর বছর ধরে সেখানে অনেকবার থেকেছি। আমি বরবারই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এটিকে পেশাদার জায়গা বলে মনে করেছি। দেখেছি অনেক পর্যটক এখনে ঘুরতে আসেন। এটি একটি দুর্দান্ত পর্যটন গন্তব্য; পরিবার ও শিশুদের জন্য একেবারে নিরাপদ।’
যেভাবে বিতর্ক
গালাট্টা ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, কাজলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কখনো নেতিবাচক শক্তির অভিজ্ঞতা পেয়েছেন কি না।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে যুবশক্তির ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৯ জনের পদত্যাগ
জাতীয় যুবশক্তির নোয়াখালী জেলা শাখার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর দফায় দফায় পদত্যাগ করছেন নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ৪১ সদস্যের নোয়াখালী শাখা কমিটি প্রকাশ করা হয়। এর পর ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে একে একে ২৯ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেন।
প্রথমে পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত। তার পরপরই যুগ্ম সদস্য সচিব–১ ছাড়া অন্য সব যুগ্ম সদস্য সচিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিবসহ একাধিক পদধারী নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
পদত্যাগ করা ব্যক্তিদের অভিযোগ, তৃণমূলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিংয়ের ভিত্তিতে কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এতে প্রকৃত ত্যাগী ও মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপেক্ষিত হয়েছেন।
পদত্যাগকারী একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন, তারা সংগঠনের প্রতি অনুগত থাকলেও ন্যায়বিচারহীন এই কমিটিতে থেকে তাদের রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে আপস করা সম্ভব নয়।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্য ও জুলাই আন্দোলনে আহত যোদ্ধারাও আছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই জেলা কমিটির ভেতরে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে, যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পদত্যাগী সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম। তারও আগে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। জেল, হামলা, হুলিয়া সবই হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। আজ আমরাই বৈষম্যের শিকার হলাম। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পছন্দের মানুষ দিয়ে কমিটি করেছে। তাই, পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। সব মিলিয়ে এই কমিটি আর চলার মতো অবস্থায় নেই।
তিনি আরো বলেন, ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৯ জন পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, শহীদ পরিবারের সদস্য, জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা থেকে শুরু করে অনেকে আছেন। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে এই কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করব। এটা আমাদের প্রতিবাদ। আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।
যুবশক্তির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, কমিটি করার জন্য ভাইভা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সে অনুযায়ী কমিটি হয়নি। তৃণমূলের ক্ষোভ বিষয়ে আমরা অবগত আছি। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যালোচনা করা হবে।
ঢাকা/সুজন/রফিক