গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকায় এনার্জিপ্যাক কোম্পানির ঝুটগুদামে আগুন লেগেছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

এনার্জিপ্যাক কোম্পানির মার্চেন্ডাইজার মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমাদের একটা বৃহৎ কোম্পানি। আমাদের কোম্পানির বাইরে একটি কাপড়ের গুদাম আছে। সকালে হঠাৎ কারখানার বাইরে থাকা ঝুটগুদামে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই।’

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার ফাইটার মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘আমি এখনো ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে। নিয়ন্ত্রণে আসার পরও মাঝেমধ্যে জুটগুদামের আগুন হঠাৎ করে জ্বলে উঠছে। আমরা আগুন না নেভা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে কাজ করে যাব। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য নির্বাচন নাই: জামায়াত আম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই। ২৬-এ নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে।’’ 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে জামায়াতসহ আন্দোলনরত ৮ দলের আয়োজনে ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন’সহ ৫ দফা দাবিতে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণীত হয়েছে। গণতন্ত্রের কথা হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠরা যা বলবে, বাকিদের তা মেনে নিতে হবে। কিন্তু কেউ কেউ সেটি মেনে নিতে রাজি নয়। জুলাই সনদেই যদি কেউ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখায়, জাতীয় নির্বাচনের প্রতি তারা শ্রদ্ধা কীভাবে দেখাবে?’’

‘‘আমাদের দাবি কম, কিন্তু খুব সুস্পষ্ট। জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার সম্ভাবনা নাই।’’ 

শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘‘দলগুলো একমত হয়ে যখন জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে তখন গণভোট আগে হওয়াই যুক্তিযুক্ত। এর ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হলে কোনো সন্দেহ-সংশয় থাকবে না। জামায়াতসহ আট দল আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন চায়।’’

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজাদ্দিদ বিল্লাহ আল মাদানী, খেলাফত মজলিসের আমির আবদুল বাসিত আজাদ ও যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক, মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির সরওয়ার কামাল আজিজি, মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। 

ঢাকা/রায়হান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ