নতুন করে কোনো ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি না করি: নাহিদ
Published: 4th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “বাংলাদেশে গুটিকয়েক মানুষ স্বৈরাচার তৈরি করেছে, ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছে, এরাই সব সম্পত্তির মালিক হইছে। এই একটা মাত্র পরিবার, মুজিব পরিবার। এরাই সব সম্পত্তির মালিক হয়ে দেশের জমিদারি নিয়ে নিছিল। আমরা এই জমিদারি প্রথা ভাঙছি গণঅভ্যুত্থানে।”
তিনি বলেন, “নতুন করে যদি কোনো জমিদারি প্রথা, নতুন করে কোনো স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট-চাঁদাবাজ তৈরি হয়, তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে, কথা বলতে হবে। আমরা বাংলাদেশে যাতে নতুন করে কোনো ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি না করি। কোনো অন্যায়-জুলুম দেখলে প্রতিবাদ করতে হবে।”
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা শহরের ফকিরগঞ্জ বাজারে এনসিপির উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এসব কথা বলেন তিনি। দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পঞ্চগড়ে আসেন।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশপন্থিদের হাতেই চলবে বাংলাদেশ: নাহিদ
পুরনো সিস্টেম ও দখলদারিত্ব ফিরে আসার চেষ্টা চলছে: নাহিদ
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ বারবার বলেছে, তারা অসাম্প্রদায়িক দল, কিন্তু তারা কখনোই সনাতন ধর্মের মানুষের সঙ্গে ইনসাফ করেনি। বিগত আমলে আমরা দেখেছি, আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা অনেক নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের জমি দখল করা হয়েছে। তারা কোনো বিচার পান নাই। আমরা চাই, এই নতুন বাংলাদেশে ইনসাফের ভিত্তিতে, সম্প্রীতির ভিত্তিতে একসাথে নাগরিক হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা পাব।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা নিজ দলের নেতাকর্মীদের ফেলে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তার পরিবার ও দলের যারা লুটপাট করে বড়লোক হয়েছেন, অনেক বেশি জুলুমবাজ হয়েছেন, তারাও দেশ থেকে চলে গেছেন। দলের সব নেতাকর্মীকে তারা বিপদে ফেলে গেছেন। তারা কোনো দলের নেতা হতে পারেন না।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রত্যাশা দেশটাকে নতুন করে গড়ব বৈষম্যহীন ইনসাফের ভিত্তিতে, সম্প্রীতির ভিত্তিতে। এটি চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসমুক্ত একটা দেশ হবে। সেই লক্ষ্যে এই গণঅভ্যুত্থানে যেসব তরুণ-আমরা নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, তারা মিলে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। যে পার্টি আপনার কথা বলতে চায়, সাধারণ জনগণের কথা বলতে চায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে, ইনসাফের রাজনীতি করতে চায়।
সভায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প র ইনস ফ
এছাড়াও পড়ুন:
‘যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলে, আমি সত্যি তাদের জন্য দুঃখিত’
লাক্স তারকা থেকে রুপালি পর্দা, তারপর বিশ্ব মঞ্চ ও বলিউডে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। গত বছরের গণঅভ্যত্থানে সক্রিয়া ভূমিকা পালন করেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’খ্যাত এই তারকা।
বছর ঘুরে আবার জুলাই এসেছে। নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। কেউ কেউ বলে থাকেন ‘জুলাই বিপ্লব ভুল ছিল’। এ কথা যারা বলে থাকেন, তাদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বুধবার (২ জুলাই) বাঁধন লেখেন, “যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলে, আমি সত্যিই তাদের জন্য দুঃখিত। সেই মুহূর্তে জেগে ওঠার প্রয়োজন ছিল। অসংখ্য মানুষ বিচারহীনতার মুখোমুখি হচ্ছিল, তা মানবিকভাবে ভেঙে পড়ার পর্যায়ে পৌঁছেছিল।”
আরো পড়ুন:
‘অবুঝ মন’ থেকে ‘উৎসব’
অভিনয়ে মোহনলালের কন্যা
একটি সরকার রাতারাতি ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠে না। এ তথ্য উল্লেখ করে বাঁধন লেখেন, “সরকার রাতারাতি ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠে ছিল না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ফ্যাসিবাদী হয়। ধীরে ধীরে মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। সেই সময়ে আর কোনো উপায় ছিল না।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়। সেদিন অসংখ্য মানুষের সঙ্গে রাস্তায় ছিলেন বাঁধন। সেই অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বাঁধন লেখেন, “৫ আগস্ট যারা রাস্তায় ছিলেন না, তারা সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম আনন্দ অনুভব করতে পারবেন না। আর সেই মুহূর্তে কাপুরুষের মতো সে পালিয়ে যায়। সেই আনন্দ ছিল আসল, তা আমি প্রতিটি হৃৎস্পন্দনে অনুভব করেছি। রাস্তায় এই ধরনের স্বাধীনতা এবং শক্তি অনুভবের অভিজ্ঞতা জীবনে একবারই হয়েছিল।”
জুলাই বিপ্লবের পরের ঘটনা মনে করে বাঁধন লেখেন, “হ্যাঁ, বিপ্লবের পরে অনেক কিছু ঘটেছিল এবং সেগুলো সবই সুখকর ছিল না। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, সেই সময়ে জুলাই বিপ্লব সঠিক ছিল।”
ঢাকা/শান্ত