পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির নিন্দা
Published: 12th, July 2025 GMT
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে গত বুধবার নৃশংসভাবে হত্যা, দেশে চলমান নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা এবং আইনশৃঙ্খলাব্যবস্থার চরম অবনতির নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ।
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি তামজীদ হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান। লাল চাঁদকে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা বলেন, অত্যন্ত ভয়াবহ ও বীভৎস এই হত্যাকাণ্ডের সময় আনসার ক্যাম্পের সদস্যরা আশপাশে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু এই সন্ত্রাস ঠেকানো দূরে থাক, কেউ সামনে এগিয়েও আসেননি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
নেতা-কর্মীদের অপরাধের দায় বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনগুলো এড়াতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১১ মাসে বারবার অপরাধ করার পরও লোকদেখানো বহিষ্কার এবং আবার সেই অপরাধীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে বিএনপি চরম সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনটি বলেছে, বিএনপি তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।
অপরাধীদের যথাযথ বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন বলেছে, সন্ত্রাস ও দখলদারির রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।