Risingbd:
2025-11-07@19:07:24 GMT

বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছি: শুভশ্রী

Published: 7th, August 2025 GMT

বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছি: শুভশ্রী

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটি শুভশ্রী গাঙ্গুলি ও দেব। তাদের পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন এই যুগল। কিন্তু শেষটা ভালো হয়নি। দুজনের পথ দুটো আলাদা হয়ে গেছে। 

দেবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শুভশ্রী। প্রায় ১০ বছর আগে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জীবনের কঠিন দিনগুলোর কথা ভাগ করে নেন শুভশ্রী। যদিও এ আলাপচারিতায় দেবের কখনো উল্লেখ করেননি।

শুভশ্রী বলেন, “আমি খুব ভাগ্যবতী কারণ অনেক কম বয়সে জীবনের খারাপ দিকটা দেখেছি। আমার জীবনে একটা সময় এসেছিল, যখন কাজ থেকে আমার ফোকাসটা একদম সরে গিয়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্তটাও আমি নিয়েছিলাম। সেই সময় আমার কাছে কাজ একদমই ছিল না। ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ সিনেমার পর আমি কাজ ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু যে জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেটাই যখন থাকল না জীবনে তখন ভীষণভাবে বুঝতে পারলাম যে, জীবনে সব কিছুই অনিশ্চিত। আমি এসবের জন্য কখনো অনুশোচনা করি না।” 

আরো পড়ুন:

‘কিরে, কেমন লাগছে?’, রাজের প্রাক্তন স্ত্রীর পোস্ট ঘিরে তোলপাড়

দেবের সঙ্গে শুভশ্রী, রাজের কী ঘুম হারাম?

সবাইকে লুকাতে বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছেন শুভশ্রী। সেই স্মৃতিচারণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “তবে সেই সময় আমি আমার ৪ বছর নষ্ট করেছিলাম। আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে সব কথা ভাগ করে নিতে পারতাম না। আমি আমার খুশিটাই বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। কিন্তু ওরা ঠিকই বুঝতে পারত আমি কষ্টে আছি। সেটা বুঝে হয়তো বাবা-মা এসেছেন। আমিও ওদের সঙ্গে হেসে হেসে গল্প করছি; পাঁচ মিনিট পর পর বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছি।” 

প্রিয় মানুষটিকে বলা একটি কথা স্মরণ করে শুভশ্রী বলেন, “যে সময় আমি শূন্য হয়ে গিয়েছিলাম, সেই সময় আমি ওই মানুষটিকে বলেছিলাম যে, ‘আমার জীবনে হারানোর কিছু নেই।’ কিন্তু আমি যদি কিছু পাই সেটা আমার পাওয়া হবে। ভগবানের আশীর্বাদে তারপর থেকেই জীবনে সাফল্য আসতে শুরু করে। আমি কোনো অতিরিক্ত কিছু করি না। নিজের প্রচার করতে পারি না। ভগবানের আশীর্বাদ আর বাবা মায়ের আশীর্বাদ আছে।” 

দেবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর শুভশ্রী ঘর বেঁধেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। আর দেব চুটিয়ে প্রেম করছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে। দীর্ঘ দিন দেব-শুভশ্রীকে এক সিনেমায় যেমন দেখা যায়নি, তেমনি অনুষ্ঠানেও না। বলা যায়, মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল! 

দেব-শুভশ্রী অভিনীত ‘ধূমকেতু’ সিনেমাটির মুক্তি দীর্ঘ দিন ধরে আটকে আছে। জটিলতা কাটিয়ে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। কয়েক দিন আগে সিনেমাটির ট্রেইলার মুক্তি অনুষ্ঠান ছিল। তাতে এক মঞ্চে হাজির হন দেব-শুভশ্রী। তাদের নজরকাড়া উপস্থিতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নিয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র সময় আম

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের রণতরি উদ্বোধন, চাপে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরিটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।

ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা আধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে পারবে।

এটি চীনের নৌ সক্ষমতায় এক বড় অগ্রগতি। কারণ, বর্তমানে জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে চীনের নৌবাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড়। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবিশ্বাস্য গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ফুজিয়ানের সমতল ডেকে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমের সাহায্যে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই রণতরি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহনকারী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারবে, যা আরও দূরের শত্রু ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে এটি চীনের প্রথম দুটি রণতরি—রুশ নির্মিত ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানডং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে চীনের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বিশ্বে বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন একটি বিমানবাহী রণতরি রয়েছে, যাতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ