Risingbd:
2025-08-07@08:51:52 GMT

বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছি: শুভশ্রী

Published: 7th, August 2025 GMT

বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছি: শুভশ্রী

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটি শুভশ্রী গাঙ্গুলি ও দেব। তাদের পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন এই যুগল। কিন্তু শেষটা ভালো হয়নি। দুজনের পথ দুটো আলাদা হয়ে গেছে। 

দেবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শুভশ্রী। প্রায় ১০ বছর আগে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জীবনের কঠিন দিনগুলোর কথা ভাগ করে নেন শুভশ্রী। যদিও এ আলাপচারিতায় দেবের কখনো উল্লেখ করেননি।

শুভশ্রী বলেন, “আমি খুব ভাগ্যবতী কারণ অনেক কম বয়সে জীবনের খারাপ দিকটা দেখেছি। আমার জীবনে একটা সময় এসেছিল, যখন কাজ থেকে আমার ফোকাসটা একদম সরে গিয়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্তটাও আমি নিয়েছিলাম। সেই সময় আমার কাছে কাজ একদমই ছিল না। ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ সিনেমার পর আমি কাজ ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু যে জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেটাই যখন থাকল না জীবনে তখন ভীষণভাবে বুঝতে পারলাম যে, জীবনে সব কিছুই অনিশ্চিত। আমি এসবের জন্য কখনো অনুশোচনা করি না।” 

আরো পড়ুন:

‘কিরে, কেমন লাগছে?’, রাজের প্রাক্তন স্ত্রীর পোস্ট ঘিরে তোলপাড়

দেবের সঙ্গে শুভশ্রী, রাজের কী ঘুম হারাম?

সবাইকে লুকাতে বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছেন শুভশ্রী। সেই স্মৃতিচারণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “তবে সেই সময় আমি আমার ৪ বছর নষ্ট করেছিলাম। আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে সব কথা ভাগ করে নিতে পারতাম না। আমি আমার খুশিটাই বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। কিন্তু ওরা ঠিকই বুঝতে পারত আমি কষ্টে আছি। সেটা বুঝে হয়তো বাবা-মা এসেছেন। আমিও ওদের সঙ্গে হেসে হেসে গল্প করছি; পাঁচ মিনিট পর পর বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছি।” 

প্রিয় মানুষটিকে বলা একটি কথা স্মরণ করে শুভশ্রী বলেন, “যে সময় আমি শূন্য হয়ে গিয়েছিলাম, সেই সময় আমি ওই মানুষটিকে বলেছিলাম যে, ‘আমার জীবনে হারানোর কিছু নেই।’ কিন্তু আমি যদি কিছু পাই সেটা আমার পাওয়া হবে। ভগবানের আশীর্বাদে তারপর থেকেই জীবনে সাফল্য আসতে শুরু করে। আমি কোনো অতিরিক্ত কিছু করি না। নিজের প্রচার করতে পারি না। ভগবানের আশীর্বাদ আর বাবা মায়ের আশীর্বাদ আছে।” 

দেবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর শুভশ্রী ঘর বেঁধেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। আর দেব চুটিয়ে প্রেম করছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে। দীর্ঘ দিন দেব-শুভশ্রীকে এক সিনেমায় যেমন দেখা যায়নি, তেমনি অনুষ্ঠানেও না। বলা যায়, মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল! 

দেব-শুভশ্রী অভিনীত ‘ধূমকেতু’ সিনেমাটির মুক্তি দীর্ঘ দিন ধরে আটকে আছে। জটিলতা কাটিয়ে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। কয়েক দিন আগে সিনেমাটির ট্রেইলার মুক্তি অনুষ্ঠান ছিল। তাতে এক মঞ্চে হাজির হন দেব-শুভশ্রী। তাদের নজরকাড়া উপস্থিতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নিয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র সময় আম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলিম সভ্যতায় রসায়নের সোনালি যুগ

গোলাপজলের মিষ্টি সুবাস থেকে শুরু করে কেরোসিনের জ্বালানি শক্তি—মুসলিম সভ্যতার রসায়নবিদরা একটি সমৃদ্ধ রসায়নের জগত উপহার দিয়েছেন। নবম শতাব্দী থেকে তারা পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবনকে আরও সুন্দর ও কার্যকর করেছেন। তাদের আবিষ্কার আধুনিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপন করেছে, যা আজও আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

এই নিবন্ধে জাবির ইবন হাইয়ান, আল-রাজি ও আল-কিন্দির মতো পথপ্রদর্শকদের হাত ধরে মুসলিম সভ্যতার রসায়নের সোনালি যুগের সন্ধান করা হয়েছে।

পাতনের প্রথম ফল ছিল গোলাপজল, যা ছিল খাবার, পানীয়, সুগন্ধি ও প্রসাধনীতে অপরিহার্য। আল-কিন্দি সুগন্ধির রসায়ন বিষয়ে একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন, যাতে ছিল ১০৭টি ভিন্ন সুগন্ধির রেসিপি।পাতন প্রক্রিয়া: রসায়নের হৃৎপিণ্ড

নবম শতকের মাঝামাঝি মুসলিম রসায়নবিদরা স্ফটিকায়ন, জারণ, বাষ্পীভবন, পরিশোধন ও ফিল্টারেশনের মতো প্রক্রিয়া সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। (১০০১ ইনভেনশনস: দি এন্ডিউরিং লিগ্যাসি অব মুসলিম সিভিলাইজেশন, ৪র্থ সংস্করণ, পৃ. ৯০)

তাদের পরীক্ষাকে নির্ভুল করতে তারা সূক্ষ্ম দাঁড়িপাল্লা আবিষ্কার করেন, যা রাসায়নিক নমুনা ওজনের জন্য ব্যবহৃত হতো। এই পরীক্ষাগুলোর পাশাপাশি তারা নতুন তাত্ত্বিক ধারণা ও রাসায়নিক ধারণা প্রবর্তন করেন, যার কিছু কিছু টিকে ছিল শতাব্দীর পর শতাব্দী। পাতন প্রক্রিয়া ছিল তাদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান, যা তরল পদার্থকে ফুটিয়ে তার বিশুদ্ধ উপাদান আলাদা করার একটি শিল্প ছিল।

পাতনের প্রথম ফল ছিল গোলাপজল, যা ছিল খাবার, পানীয়, সুগন্ধি ও প্রসাধনীতে অপরিহার্য। আল-কিন্দি সুগন্ধির রসায়ন বিষয়ে একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন, যাতে ছিল ১০৭টি ভিন্ন সুগন্ধির রেসিপি। (১০০১ ইনভেনশনস: দি এন্ডিউরিং লিগ্যাসি অব মুসলিম সিভিলাইজেশন, ৪র্থ সংস্করণ, পৃ. ৯১)

এই প্রক্রিয়া আধুনিক সুগন্ধি শিল্পের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

আরও পড়ুনমুসলিম সমাজকে বিজ্ঞানমুখী করার উপায়০২ আগস্ট ২০২৫জাবির ইবন হাইয়ান: রসায়নের পথিকৃৎ

জাবির ইবন হাইয়ান (৭২২-৮১৫), পশ্চিমে গেবার নামে পরিচিত, ছিলেন রসায়নের জনক। কুফায় একজন ওষুধ ব্যবসায়ীর পুত্র হিসেবে তিনি পরিশোধন, স্ফটিকায়ন, পাতন, জারণ ও ফিল্টারেশনের মতো প্রক্রিয়াগুলো উন্নত করেন। (আর. আরনালদেজ-এল. ম্যাসিগনন, ইন অ্যানসিয়েন্ট অ্যান্ড মেডিয়েভাল সায়েন্স, লন্ডন: থেমস অ্যান্ড হাডসন: ১৯৬৩, পৃ. ৪১৩)

তিনি এমন কাগজ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন যা পুড়ত না এবং এমন কালি যা অন্ধকারে পড়া যায়।

তিনি অ্যালেম্বিক স্টিল ব্যবহার করে পাতন প্রক্রিয়া পরিচালনা করতেন, যা তরলকে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ উপাদান সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হতো। তিনি এমন কাগজ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন যা পুড়ত না এবং এমন কালি যা অন্ধকারে পড়া যায়।

জাবির পদার্থের শ্রেণিবিভাগ ও রাসায়নিক জ্ঞান সংগঠনের নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো পরবর্তী শতাব্দীতে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয় এবং ১৭শ শতাব্দী পর্যন্ত পুনঃপ্রকাশিত হয়। (১০০১ ইনভেনশনস: দি এন্ডিউরিং লিগ্যাসি অব মুসলিম সিভিলাইজেশন, ৪র্থ সংস্করণ, পৃ. ৯৩)

তাঁর কাজ আধুনিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মদ পাতন করে বিশুদ্ধ অ্যালকোহল তৈরি

সম্পর্কিত নিবন্ধ