বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার কমপার্টমেন্টে লুকিয়ে দিল্লিতে নামলো আফগান কিশোর
Published: 23rd, September 2025 GMT
যাত্রীবাহী বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার কমপার্টমেন্টে লুকিয়ে কাবুল থেকে দিল্লিতে গিয়েছে ১৩ বছর বয়সী এক আফগান কিশোর। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর আফগানিস্তানের কুন্দুজ শহরের বাসিন্দা ওই কিশোরকে সোমবার বিমানটি অবতরণের পর দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে কয়েক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে একই ফ্লাইটে তাকে কাবুলে ফেরত পাঠানো হয়।
ছেলেটি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, সে কৌতূহলবশত এই যাত্রা করেছিল।
ভারতীয় কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ছেলেটি কাম এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আরকিউ-৪৪০১- এ করে রবিবার রাত ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ দিল্লিতে অবতরণ করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোর ইরানে ভ্রমণ করতে চেয়েছিল এবং সে জানত না যে সে যে বিমানে উঠেছিল তা দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে, তেহরানের উদ্দেশ্যে নয়। এর আগে ছেলেটি কাবুল বিমানবন্দরে লুকিয়ে ছিল এবং যাত্রীদের একটি দলের পিছু পিছু বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে পরে। নিরাপত্তা চোখ এড়িয়ে সে বিমানের পিছনের চাকায় - ল্যান্ডিং গিয়ার রাখার কমাপার্টমেন্টে লুকিয়ে পড়ে। তার সঙ্গী হিসেবে ছিল শুধু লাল রঙের একটি স্পিকার।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুমে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার, ১৮ মিনিট চক্কর খেল উড়োজাহাজ
ফ্রান্সের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ করসিকার আকাশে চক্কর খাচ্ছে, অবতরণের জন্য সেটি অনুমতির অপেক্ষায়। বারবার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন পাইলট, কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া নেই। বিমানবন্দরের একমাত্র এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার যে তখন বেঘোরে ঘুমাচ্ছেন! তাঁকে ঘুম থেকে তুলতে অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী ও পুলিশ পর্যন্ত ডাকতে হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে। রাজধানী প্যারিস থেকে উড়াল দেওয়া এয়ার করসিকার ‘এয়ারবাস এ৩২০’ যাচ্ছিল নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরটি করসিকা দ্বীপের রাজধানী আজাক্সিওতে।
রেডিও বার্তা দিয়ে ১৮ মিনিট আকাশে চক্কর খাওয়ার পরও যখন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন পাইলট উড়োজাহাজটি নিয়ে ফরাসি দ্বীপটির আরেক প্রান্তের শহর বাস্তিয়ার দিকে প্রায় রওনা হন।
স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকাকে পাইলট বলেন, অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা টাওয়ার থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশ ডাকেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দশকের পেশাজীবনে আমি কখনো এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়িনি। আমাদের যাত্রা খুব সংক্ষিপ্ত ছিল। তাই সেখানে আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। সবাই শান্ত ছিলেন। যাত্রীরা এটিকে মজার ঘটনা হিসেবে নিয়েছিলেন।’
সেই রাতে ফ্লাইটটি আগেই এক ঘণ্টা দেরি করেছিল। পরে অবতরণের জন্য পাইলটরা কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারলে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফরা কন্ট্রোল টাওয়ারের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে তাঁদের বেশ দেরি হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত গ্রাউন্ড স্টাফরা যখন কন্ট্রোল টাওয়ারে পৌঁছান, দেখেন কন্ট্রোলার তাঁর ডেস্কে ঘুমাচ্ছেন। তাঁরা তাঁকে ঘুম থেকে তোলেন। জেগে ওঠা কন্ট্রোলার এরপর বিমানবন্দরে রানওয়ের বাতি জ্বালিয়ে দেন এবং উড়োজাহাজটিকে অবতরণের অনুমতি দেন। ভাগ্য সুপ্রসন্ন, কোনো অসুবিধা ছাড়াই উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করে।
কী কারণে ট্রাফিক কন্ট্রোলার বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন, তা খুঁজে বের করতে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এর আগে ফ্রান্সের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা কাজের পরিবেশ ও মজুরি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রচণ্ড চাপে তাঁরা মানসিক অবসাদে ভোগেন ও ভীষণ ক্লান্ত থাকেন।