নীলফামারীতে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জামায়াতের মতবিনিময়
Published: 11th, October 2025 GMT
জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে নীলফামারীতে বিশিষ্টজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার (১১অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টের সভাকক্ষে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
উপদেষ্টাদের অনেকের ভূমিকা জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ: পরওয়ার
জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজশাহীতে জামায়াতের মিছিল
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম।
নীলফামারী পৌর জামায়াতের আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি আব্দুল কাদিম, জেলা জামায়াতের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান মন্টু, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আল ফারুক আব্দুল লতিফ, নীলফামারী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি আব্দুর রউফ, জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি সালাম হোসেন, জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মোশাররফ হোসেন সভায় বক্তব্য দেন। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড.
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন; জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান বক্তারা।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘‘যে পাঁচটি দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি, এর মধ্যে অন্যতম সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের (উভয় কক্ষে) আয়োজন করা। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সকল দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে জাতীয় সংসদে, বৈষম্য থাকবে না, স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব ঘটবে না। সব মিলিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’’
বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘‘দেশের অধিকাংশ দল পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চায়। দেশের মানুষও এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়।’’
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সারা দেশে ১ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত গণসংযোগ কর্মসূচি চলছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তৃণমূলে গিয়ে আমরা মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’’
মতবিনিময় সভায় জেলা, উপজেলা ও পৌর জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সিথুন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বোলার নয়, বল দেখে খেলতে বললেন মুশতাক
মাঠের ক্রিকেটে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে পরছে বলে মনে করছেন দলের কোচ মুশতাক আহমেদ। নির্দিষ্ট কোন বোলারের বিপক্ষে ভালো করতেই হবে, এজন্য বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করছেন ব্যাটসম্যানরা। বলের মেরিট না বুঝেই এলোমেলো শট খেলছেন। তাতে ডেকে আনছেন নিজের বিপদ৷ বিপদে ফেলছেন দলকেও।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং একেবারেই যাচ্ছেতাই হয়েছে। দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। যেখানে ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন রশিদ খান। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ধ্বংসিয়ে দলকে সিরিজ জেতান রশিদ।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সুখবর দিল বিসিবি
শারমিন-শর্নার ফিফটিতে ২৩৩ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
লেগ স্পিনারকে বাড়তি মনোযোগ দিতে গিয়েই বাংলাদেশ হিতে বিপরীত করেছে বলে মনে করছেন মুশতাক, ‘‘আমার মনে হয় তারা রশিদকে খেলছে, বলকে নয়। সে বলের বড় স্পিনার নয়। কিন্তু সে খুবই অভিজ্ঞ। সে উইকেট শিকারি। তার লাইন এবং লেন্থ খুবই ধারাবাহিক। আমার মনে হয় আমাদের মাঝে মাঝে বল খেলতে হবে, বোলারকে নয়। আমাদের দ্রুত উন্নতি করতে হবে।’’
ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটসম্যানকে মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার, ‘‘যদি তোমার মেজাজ ভালো থাকে, তাহলে তুমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোনো বোলারের বিরুদ্ধে খেলতে পারো। রশিদ আফগানিস্তানের হয়ে অনেক বছর ধরেই খুবই সফল, কিন্তু [একই সাথে] বাংলাদেশি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের জানা উচিত কিভাবে বল খেলতে হয়, বোলারদের নয়।’’
‘‘আমি মনে করি বাস্তবতা হলো আমাদের ব্যাটিং ঠিক করতে হবে। আমাদের খুব দ্রুত এই ধরণের স্পিনারদের খেলার জন্য খুব সক্রিয় হতে হবে। আমি মনে করি যদি আমরা মাঝের ওভারগুলিতে তা করতে পারি, যদি আমরা সেই কন্ডিশনে স্পিন ভালোভাবে খেলা শুরু করতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ যেকোনো দলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’’
এ বছর মাঝের ওভারগুলিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স বেশ দুর্বল। তাদের গড় ২১.৮৬, আগের দুই ক্যালেন্ডার বছরে ছিল ৩৫.১০ ছিল। ২১.৮৬ হলো ২০০৭ সালের পর তাদের সর্বনিম্ন গড়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মুশতাক বলেছেন, ‘‘মাঝের ওভারগুলিতে স্পিনারদের বিরুদ্ধে আপনার আরও ভালো কৌশলি হতে হবে, কীভাবে ভালো বলে সিঙ্গেলস পেতে হয়। যদি আপনি স্ট্রাইক ঘোরাতে পারেন, তাহলে আমার মনে হয় এটি আপনার চেয়ে বোলারদের উপর বেশি চাপ সৃষ্টি করবে। আপনি প্রচুর ডট বল খেলেন এবং তারপরে আপনাকে একটি বড় শট খেলতে হয়, তখনই আপনি উইকেট হারাতে শুরু করেন। একজন স্পিনার হিসেবে আমি জানি যে যারা সহজেই রান করে, সিঙ্গেল এবং ডাবল, তাদের উপর আরও বেশি চাপ পড়ে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল