‘ঘরে ঘরে, জনে জনে’ কর্মসূচিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে নওশাদ
Published: 13th, October 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে, জনে জনে’ কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) পঞ্চগড় পৌরসভার জ্বালাসী মোড় থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে বিএনপির এই নেতা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করছেন। তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। সেইসঙ্গে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি এবং দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে ১৮০ দিনে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরে ১ লাখ ৩৭ হাজার ভোটার বেড়েছে
আমরা রাতের অন্ধকারে ভোট চাই না: সিইসি
এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ মজিদ, মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, জেলা যুবদলের সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মানিক, জেলা মহিলা দলের সভাপতি লায়লা আরজুমান মুক্তিসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে ১৯টি টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেন, ‘‘‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা বিএনপির ৩১ দফা এবং ১৮০ দিনের কর্মসূচি গণমানুষের কাছে তুলে ধরছি। আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। মানুষের সমস্যা শুনছি।’’
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
বোলার নয়, বল দেখে খেলতে বললেন মুশতাক
মাঠের ক্রিকেটে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে পরছে বলে মনে করছেন দলের কোচ মুশতাক আহমেদ। নির্দিষ্ট কোন বোলারের বিপক্ষে ভালো করতেই হবে, এজন্য বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করছেন ব্যাটসম্যানরা। বলের মেরিট না বুঝেই এলোমেলো শট খেলছেন। তাতে ডেকে আনছেন নিজের বিপদ৷ বিপদে ফেলছেন দলকেও।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং একেবারেই যাচ্ছেতাই হয়েছে। দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। যেখানে ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন রশিদ খান। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ধ্বংসিয়ে দলকে সিরিজ জেতান রশিদ।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সুখবর দিল বিসিবি
শারমিন-শর্নার ফিফটিতে ২৩৩ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
লেগ স্পিনারকে বাড়তি মনোযোগ দিতে গিয়েই বাংলাদেশ হিতে বিপরীত করেছে বলে মনে করছেন মুশতাক, ‘‘আমার মনে হয় তারা রশিদকে খেলছে, বলকে নয়। সে বলের বড় স্পিনার নয়। কিন্তু সে খুবই অভিজ্ঞ। সে উইকেট শিকারি। তার লাইন এবং লেন্থ খুবই ধারাবাহিক। আমার মনে হয় আমাদের মাঝে মাঝে বল খেলতে হবে, বোলারকে নয়। আমাদের দ্রুত উন্নতি করতে হবে।’’
ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটসম্যানকে মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার, ‘‘যদি তোমার মেজাজ ভালো থাকে, তাহলে তুমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোনো বোলারের বিরুদ্ধে খেলতে পারো। রশিদ আফগানিস্তানের হয়ে অনেক বছর ধরেই খুবই সফল, কিন্তু [একই সাথে] বাংলাদেশি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের জানা উচিত কিভাবে বল খেলতে হয়, বোলারদের নয়।’’
‘‘আমি মনে করি বাস্তবতা হলো আমাদের ব্যাটিং ঠিক করতে হবে। আমাদের খুব দ্রুত এই ধরণের স্পিনারদের খেলার জন্য খুব সক্রিয় হতে হবে। আমি মনে করি যদি আমরা মাঝের ওভারগুলিতে তা করতে পারি, যদি আমরা সেই কন্ডিশনে স্পিন ভালোভাবে খেলা শুরু করতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ যেকোনো দলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’’
এ বছর মাঝের ওভারগুলিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স বেশ দুর্বল। তাদের গড় ২১.৮৬, আগের দুই ক্যালেন্ডার বছরে ছিল ৩৫.১০ ছিল। ২১.৮৬ হলো ২০০৭ সালের পর তাদের সর্বনিম্ন গড়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মুশতাক বলেছেন, ‘‘মাঝের ওভারগুলিতে স্পিনারদের বিরুদ্ধে আপনার আরও ভালো কৌশলি হতে হবে, কীভাবে ভালো বলে সিঙ্গেলস পেতে হয়। যদি আপনি স্ট্রাইক ঘোরাতে পারেন, তাহলে আমার মনে হয় এটি আপনার চেয়ে বোলারদের উপর বেশি চাপ সৃষ্টি করবে। আপনি প্রচুর ডট বল খেলেন এবং তারপরে আপনাকে একটি বড় শট খেলতে হয়, তখনই আপনি উইকেট হারাতে শুরু করেন। একজন স্পিনার হিসেবে আমি জানি যে যারা সহজেই রান করে, সিঙ্গেল এবং ডাবল, তাদের উপর আরও বেশি চাপ পড়ে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল