তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে হাজারো মানুষের মশাল প্রজ্বালন
Published: 16th, October 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের আগে নভেম্বর মাসের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করার দাবিতে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মশাল প্রজ্বালন করে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার রাতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। উপস্থিত ছিলেন তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের নেতা নজরুল ইসলাম হক্কানীসহ অন্য নেতারা।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতারা জানান, ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই মশাল প্রজ্বালন কর্মসূচিতে হাজারো মানুষ অংশ নেন। এ ছাড়া রংপুরসহ তিস্তা নদীবেষ্টিত ১০ উপজেলার ৩১টি স্থানে মশাল প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বালন করে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুর তিস্তা সেতু এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদে ‘ইতিহাস বিকৃতি ও পুনর্লিখনের’ নিন্দা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
জুলাই সনদের খসড়ায় ‘ইতিহাস বিকৃতি ও পুনর্লিখন’ ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের অভিযোগ, জুলাই সনদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ’২৪-এর জুলাই ছাত্র-জনতার ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত, যা জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের সঙ্গে একধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।
বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ‘২৪-এর জুলাই ছাত্র-জনতার যে রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট ও খুনি হাসিনার পলায়ন ঘটেছিল, তা ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রামের ফসল। যার সূচনা হয় ১ জুলাই ২০২৪-এ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠনের মধ্য দিয়ে, যা ক্রমে ৯ দফা থেকে এক দফায় রূপান্তরিত হয়। সেই এক দফা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই যে ৯ দফা এবং পরবর্তী সময়ে এক দফা, যার মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার অতি অভিপ্রায় স্পষ্ট হয়েছিল; সেই অভিপ্রায়ের ফলেই বাংলাদেশের আমূল সংস্কার, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের বনিয়াদ স্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু এই জুলাই সনদে সেই বনিয়াদকে ধ্বংস করার পাশাপাশি ছাত্র-জনতার অভিপ্রায়ের বিকৃতি ঘটেছে।’
সংস্কারপ্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জুলাইয়ের শহীদ পরিবার, আহত ব্যক্তি ও ছাত্রদের উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে রাষ্ট্রের ইতিহাসকে বিলীন করা হয়েছে, যার নজির পূর্বেও রয়েছে। অতীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বারবার প্রতারণা করতে দেখেছি। এখনো সেই একই প্রবণতা আমরা লক্ষ করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ ধরনের ইতিহাসবিকৃতির পুনরাবৃত্তিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আরও লক্ষ করেছি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও নোট অব ডিসেন্টের সমাধান না করেই দ্রুত স্বাক্ষর সম্পন্ন করার টালবাহানা চলছে।
পূর্বেও জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে এমন টালবাহানা দেখা গেছে, অথচ সেই ঘোষণাপত্র এখনো আইনি বৈধতা পায়নি। অর্থাৎ ছাত্র-জনতা এখন আর কথার এসব ফুলঝুড়িতে বিশ্বাস করে না। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জুলাই সনদের স্বাক্ষর কার্যক্রম সম্পন্নের আগে এর আইনি ভিত্তি ও নোট অব ডিসেন্টের সমাধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দল, জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহত এবং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রদের মাধ্যমে জুলাই সনদের পরিপূর্ণতা ও বৈধতা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানাচ্ছে।’